টাকার ব্যবহার
১ আমার জীবনে টাকার ব্যবহার
কোনো বস্তুর দাম পরিশোধের আধুনিক মাধ্যম হলো টাকা। টাকা দিয়েই প্রতিদিনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করি। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার। টাকা দিয়ে উপহার কিনে প্রিয়জনকে দেই। আমরা বই, খাতা, কলম আরও নানা জিনিস কিনতে টাকা ব্যবহার করি। পরিবারের ও নিজের হঠাৎ প্রয়োজন মেটানোর জন্যও টাকা দরকার। আমরা টাকা দিয়ে ভবিষ্যতের নানা প্রয়োজন মেটাই। প্রয়োজন ছাড়া টাকা খরচ করা উচিত নয়। প্রয়োজনের বেশি খরচ করলে টাকা অপচয় হয়। আমরা অপচয় করব না।
খ) পড়ি ও নিচের ছকে তথ্য লিখি-
আমি যে যে কাজে টাকা ব্যবহার করি
১. |
২. |
৩. |
৪. |
গ) নিচের চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে টাকা নষ্ট হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করি ও চিত্রে লিখি-
ঘ) টাকা ব্যবহার করতে আমি কীভাবে যত্নশীল হব তা নিচের ছকে লিখি-
টাকা ব্যবহারে যেভাবে যত্নশীল হব
১. |
২. |
৩. |
৪. |
২ আমার প্রয়োজনে আমার সঞ্চয়
ক) ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে তার নিচে তথ্য লিখি-
মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা পেয়ে থাকে। কাজ করে বেতন পায়। কোনো কিছু বিক্রি করলে তার দাম হিসেবে টাকা পায়। এ সবই তাদের আয়। এই আয় থেকে খরচ করার পর যে টাকা বাকি থাকে তা-ই সঞ্চয়। অর্থাৎ খরচের পর যা আমরা জমাই।
ভবিষ্যতের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর জন্যই আমরা সঞ্চয় করি। হঠাৎ টাকার দরকার হলে সঞ্চয় থেকে মেটাতে পারি। আমাদের নানা ইচ্ছা পূরণের জন্য টাকার প্রয়োজন। নিজের পছন্দের বই, খেলনা কিনতে টাকা প্রয়োজন। উপহার কিনতেও টাকা দরকার। প্রয়োজনে বাবা-মাকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি। এ ধরনের কাজে আমরা নিজের সঞ্চয়ের টাকা ব্যবহার করতে পারি। সঞ্চয় হলো মানুষের বিপদের বন্ধু। তাই ছোটোবেলা থেকেই সঞ্চয়ী হতে হবে। আমরা সাধারণত মাটির ব্যাংক, কাঠের বাক্স ও প্লাস্টিকের কৌটা ইত্যাদিতে সঞ্চয় করতে পারি।
খ) পড়ি ও আমি কেন সঞ্চয় করবো তা নিচের ছকে লিখি-
যে যে কারণে আমি সঞ্চয় করব
১. |
২. |
৩. |
৪. |
গ) রাজু, অভি, আরিশা ও নূহার কথাগুলো পড়ি। আমি কীভাবে সঞ্চয়ী হব তা নিচের ছকে লিখি-
রাজু - ঈদে পাওয়া সেলামির টাকা থেকে কিছু টাকা জমা রাখি
অভি - মাঝে মাঝে টিফিনের টাকা থেকে কিছু টাকা জমাই
আরিশা - বড়োদের কাছ থেকে কয়েন পেলে তা ব্যাংকে জমাই
নূহা - জন্মদিনে পাওয়া উপহারের টাকা থেকে টাকা জমাই
আমি সঞ্চয়ী হওয়ার জন্য যা যা করব।
.১. |
২. |
৩. |
৪. |
আরও দেখুন...