বিভিন্ন কারণে ওয়েল্ডিং এর দোষত্রুটি হতে পারে, যেমন কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মান সঠিকভাবে নির্বাচন করতে না পারা, মূল ধাতু ঠিকমত পরিষ্কার না করা, জোড়ার পার্শ্বদেশ ঠিকমত তৈরি করতে না পারা, ইলেকট্রোড এবং বেস মেটালের মাঝের কোণ ঠিক না হওয়া, ইলেকট্রোড চালানোর গতি ঠিক না হওয়া, ফ্লাক্স এবং ইলেকট্রোডে ময়লা থাকা প্রিহিটিং এবং পোস্টহিটিং না করা ইত্যাদি বহুবিধ কারণে ওয়েল্ডিং ত্রুটি দেখা দেয়। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ত্রুটির সম্ভাব্য কারণগুলো উল্লেখ করা হলো।
ত্রুটির ধরণ | ত্রুটির কারণ |
---|---|
ফাটল | ১। জবের অংশসমূহের খুব বেশি দৃঢ়তা, অর্থাৎ জোড়াস্থান যখন খুব উত্তপ্ত ছিল তখন তা প্রসারিত হতে না পারা এবং সংকোচনের সময় সংকোচিত হতে না পারা। ২। জোড়ার পার্শ্বদেশ প্রস্তুতি ঠিকমত না হওয়া। ৩। ইলেকট্রোড চালানোর গতি বেশি হওয়া। ৪। ইলেকট্রোডে হাইড্রোজেন এর পরিমাণ বেশি থাকা ইত্যাদি। |
ধাতুমলের অন্তর্ভূক্তি | ১। বেসমেটাল ঠিকমত পরিষ্কার না থাকলে। ২। ইলেকট্রোড বা ফ্লাক্সে ময়লা থাকলে। |
ছিদ্রময়তা | ১। ইলেকট্রোড কোটিং এ আদ্রতা থাকা। ২। দ্রুত ওয়েল্ডিং করা। ৩। মূল ধাতুতে ময়লা থাকা। ৪। বেসমেটাল বা মূলধাতুতে সালফারের পরিমাণ বেশি হওয়া । ৫। আর্ক দৈর্ঘ্য অতি ছোট বা বড় হওয়া ইত্যাদি । |
উত্তপ্ত ধাতু ছড়ানো | ১। কারেন্টের পরিমাণ বেশি হওয়া। ২। আর্ক দৈর্ঘ্য বেশি হওয়া। ৩। ইলেকট্রোডের ধরার কোণ ঠিক না হওয়া। ৪। আদ্র ইলেকটট্রেড ব্যবহার করলে |
আন্ডার কাট | ১। কারেন্টের পরিমাণ বেশি। ২। ইলেকট্রোডের ব্যাস বেশি। ৩। আর্ক দৈর্ঘ্য বেশি। ৪। বেসমেটাল বা মূলধাতুতে মরিচা পড়া। ৫। দ্রুত গতিতে ওয়েন্ডিং করা ইত্যাদি। |
পুড়ে যাওয়া | ১। কারেন্ট বেশি। ২। অতি দীর্ঘ আর্ক। ৩। ইলেকট্রোড অতি ধীরে চালানো ইত্যাদি । |
বিকৃতি | ১। অল্প ব্যাসের ইলেকট্রোড । ২। বেশি রান টানা । ৩। খুব ধীর গতিতে ওয়েল্ডিং করা। ৪। জোড়া প্রস্তুতি ঠিক না হওয়া |
ওভার ল্যাপিং | ১। কারেন্ট অতি কম হলে। ২। ইলেকট্রোড এর ব্যাস বেশি হলে। ৩। ওয়েল্ডিং এর গতি মন্থর হলে। ৪। আর্ক অতি দীর্ঘ হলে ইত্যাদি। |
আরও দেখুন...