মানুষ সামাজিক জীব। পরোপকারের মাধ্যমে মানুষের মনুষ্যত্বের মহিমা প্রকাশ পায়। একে অপরের সাহায্য ছাড়া সমাজে মানুষ বাস করতে পারে না। সমাজ জীবনে একজন অন্যজনের সহযোগী। বিপদে আপদে পরস্পরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। একটি আদর্শ সমাজ, রাষ্ট্র গড়তে হলে পরের ভালো চিন্তা করতে হবে। মানুষ সমাজ ছাড়া বাঁচতে পারে না। আর সমাজে বাস করতে হলে মানুষকে সামাজিক হতেই হয়। পরোপকারের মধ্য দিয়ে মানুষ অধিক সামাজিক হয়ে উঠে। সহমর্মিতা প্রকাশ করে। তাই সুন্দর সমাজ জীবনের জন্য নিজের স্বার্থচিন্তা বাদ দিয়ে অন্যের মঙ্গল চিন্তা করতে হবে।
ডেভিড, তার মা বাবা ও ছোট বোন জয়েস একটি গ্রামে বাস করতো। একদিন ঝড়ে তাদের ঘরটা ভেঙ্গে যায়। ঘর ঠিক করার মতো কোনো টাকা-পয়সা তার বাবার হাতে ছিলো না। তারা খুব বিপদে পড়ে যায়। ঐ সময় গ্রামের সব যুবকরা মিলে চাঁদা তুলে ও শ্রম দিয়ে তাদের ঘরটা আবার ঠিক করে দেয়।
এতে ডেভিডের পরিবার খুব খুশি হয়। গ্রামবাসী ও যুবকদের এই উপকারের জন্য তার বাবা সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানায়।
এভাবেই সমাজে পরস্পরের বিপদে আপদে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সমাজ সুন্দর হবে। আমরা সবাই ভালো থাকবো।
ক) নিজে করি।
খ) শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় সেবামূলক কাজ করবে।
এ পাঠে শিখলাম
- সুন্দর সমাজ জীবনের জন্য নিজের স্বার্থচিন্তা বাদ দিয়ে অন্যের মঙ্গল চিন্তা করবো।
শ্রদ্ধাবোধ হলো একটি মানবিক গুণ। মানুষ মানুেেষর সঙ্গে আন্তরিক ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিবারে পিতামাতা সন্তানদের আদর-স্নেহ করেন, ভালোবাসেন এবং তাদের মঙ্গল কামনা করেন। সন্তানেরাও পিতামাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। আমরা দেখি সমাজে গুরুজনদের সবাই সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। আমাদের খ্রীষ্টমণ্ডলীতে অনেক মহান ব্যক্তি আছেন যাদের আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আমরা বুঝতে পারছি যে, শ্রদ্ধাবোধ হলো অনেক গুণের সমাহার। যেখানে আছে নম্রতা, সততা, বিশ্বস্ততা, একতা, আনন্দ, ধৈর্য, ন্যায়পরায়ণতা ও ভালোবাসা। পরস্পর পরস্পরের সাথে এ গুণগুলির আদান-প্রদান দ্বারা যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই হলো শ্রদ্ধাবোধ। জন্মদিন, বড়দিন, পাস্কা পর্ব/ইস্টার, বিবাহ উৎসব ও অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে আমাদের পরিবার ও সমাজের সদস্যদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ আরো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
আরও দেখুন...