লার্ভার সর্বশেষ ধাপ হলো পোস্ট লার্ভা। এসময় বাগদা চিংড়ির পোস্ট লার্ভাগুলোকে আলাদা আলাদা চৌবাচ্চায় স্থানান্তর করা হয় এবং এসব চৌবাচ্চার আকার ও আয়তন লার্ভা প্রতিপালন ট্যাংকের সদৃশ হয়ে থাকে। পোস্ট লার্ভাকে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক, কৃত্রিম ও জীবন্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়। দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আর্টিমিয়া জাতীয় প্রাণিকণা দেয়া হয়। এছাড়াও ডায়াটম, মাইক্রোএলজি, জমাট শুকনো খাদ্য ( Spirulina powder), মাইক্রোএনক্যাপসুলেটেড আর্টিমিয়া, শামুক, উচ্ছিষ্ঠ মাছের কিমা ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বাগদা চিংড়ির পোনার দ্রুত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পরিবর্তন করে নতুন পানি যোগ করতে হয়। ফলে ট্যাংকের পানির তাপমাত্রা, অক্সিজেনের ঘনত্ব, অ্যামোনিয়ার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পানির গুণগতমান রক্ষা করতে সার্বক্ষণিক বায়ু সঞ্চালনের ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। এছাড়াও রোগ জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। উপরোক্ত ব্যবস্থাপনাগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে বাগদা চিংড়ির সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব।
আরও দেখুন...