প্রাথমিক তথ্য
দু'ভাবে ফলের চারা করা হয়। বীজ থেকে এবং ফলগাছের অঙ্গ থেকে। বীজের চারা সহজেই করা যায় এবং খরচও কম। বীজ থেকে গজানো চারা বড় ও শক্ত হয় এবং ফল বেশি দেয়। নারিকেল ও তালের মত কিছু ফলের চারা কেবল বীজ থেকে করা হয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে এসব পাছের চারা বীজ ছাড়াও করা যেতে পারে। বীজের চারার প্রধান অসুবিধা হলো মাতৃ গাছের গুণ বদলে যায় এবং গাছ দেরিতে ফল ধরে। কলা ও আনারসের মত কিছু ফলের গাছ বীজ থেকে করা যায় না। কলম বা অঙ্গজ পদ্ধতিতে মাতৃগাছের সকল ক্ষণ থাকে এবং কম সময়ে ফল পাওয়া যায় । কলমের সাহায্যে একই গাছে বিভিন্ন জাতের ফল ফলানো যায় এবং ইচ্ছে করলে মূল গাছের জাত বদলে দেয়া যায়। কলমের অসুবিধা হলো এর খরচ তুলনামুলকভাবে বীজের চারা থেকে বেশি। ক) জোড় কলম তৈরি অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ
গাছের আদি ঘোড়া ও উপজোড়া পরস্পর সংযুক্ত হয়ে যখন একটি একক গাছ হিসাবে বৃদ্ধি লাভ করে তখন তাকে গ্রাফট জোড় কলম বলে এবং এ জোড়া লাগানো প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় গ্রাফটিং বা জোড় কলম। যে গাছের ওপর কাঙ্ক্ষিত গাছের ছোট একটি অংশ জোড়া লাগানো হয় তাকে আদিজোড়া (rootstock) এবং কাঙ্খিত গাছের এ অংশটিকে উপজোড় (scion) বলে। সহজভাবে বলা যায় জোড় কলমের জোড়ম্যানের নিচের অংশ হলো আদিজোড় ও উপরের অংশ হলো উপজোড়।
জোড় কলম প্রধানত দু'ভাবে করা হয়ে থাকে। প্রথমত উপজোড়কে মাতৃগাছে সংযুক্ত অবস্থায় রেখে জোড়া লাগানো হয়। একে সংযুক্ত জোড় কলম বলে এবং দ্বিতীয়ত উপজোড়কে মাতৃগাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে জোড়ের সাথে জোড়া লাগানো হয়, একে বিযুক্ত জোড় কলম বলে।
সতর্কতা
১। আদিজোড় ও উপজোড়ের কর্তিত স্থান মসৃণ হতে হবে ।
২। আদিজোড় ও উপজোড় একসাথে বাঁধার পর মাঝখানে যেন কোনো ফাক না থাকে ।
খ) ভিনিয়ার জোড় কলম পদ্ধতি অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্য: ভিনিয়ার জোড় কলম এক ধরনের পার্শ্ব জোড় কলম। এ পদ্ধতিতে আদিজোড়ের এক পার্শ্বে উপজোড়ের নিম্ন প্রান্ত স্থাপন করা হয় । উপজোড়কে মাতৃগাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আদি জোড়ের সাথে জোড়া লাগানো হয়।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যসমূহ
কাজের ধাপ
সতর্কতাঃ
গ) চক্ষু কলম (ৰাডিং) পদ্ধতি অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ
বাডিং এমন এক প্রকারের জোড় কলম যাতে শাখার পরিবর্তে পল্লবের কুঁড়ি বা চোখ (ফ) উপজোড়রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । একে চোখ কলম বলে। শীতের শেষে, বসন্তে যখন গাছ বেশ সক্রিয় সম্পূর্ণ ও বর্ধনশীল হয়ে উঠে সে সময় অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাস চোখ কলমের জন্য খুবই উপযোগী। তবে ঐ সময় খুব গরম থাকলে চোখ শুকিয়ে যেতে চায়। চোখ কলমের জন্য প্রায় এক বক্সের বয়স্ক আদিজোড় নিলে ভাল হয়। বিবিধ প্রকার চোখ কলমের মধ্যে টি চোখ কলম, ভালি চোখ কলম, চক্র চোখ কলম ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য ।
ঘ) টি চোখ কলম পদ্ধতি অনুশীলন
প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ
কলম এক প্রকার চোখ কলম বা বাডিং। এ পদ্ধতিতে উন্নত ডালের একটি মাত্র চোখ ব্যবহার করে নতুন গাছ উৎপাদন করা যায় । আদি জোড়ের গারে টি- কেটে সেখানে বর্ম আকৃতির বা চোখ আকৃতির কুড়ি স্থাপন করা হয় বলে এ পদ্ধতির এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি
কাজের ধাপ
৩। সতর্কতাঃ বাঁধার সময় কুড়িটি যেন ঢাকা না পড়ে প্রস্ফুটিত কুঁড়ি ব্যবহার করা যাবে না
আরও দেখুন...