প্রাসঙ্গিক তথ্য: বাডিং এমন এক প্রকার জোড় কলম যাতে শাখার পরিবর্তে পলবের কুঁড়ি বা চোখ (ফ) উপজোড় রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শীতের শেষে বসতে যখন গাছ বেশ সক্রিয়, রসপূর্ণ ও বর্ধনশীল হয়ে উঠে সে সময় অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মাস এর জন্য খুবই উপযোগী। চোখ কলমের জন্য প্রায় এক বৎসর বয়ক আদি জোড় নেয়া উত্তম । চোখ কলম ছয় ধরনের- ১ টি চোখ কলম ২। আই-চোখ কলম ৩। তালি চোখ কলম ৪ । চক্র চোখ কলম ৫ । কুচি চোখ কলম । ৬। ফোরকাট বা জিহ্বা চোখ কলম ।
টি চোখ কলম (T-budding)
কুঁড়ি চোখ কলম বিভিন্ন পদ্ধতি সমূহের মধ্যে একটি অত্যন্ত সুপরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি । এ পদ্ধতিতে উন্নত ডালের একটি মাত্র চোখ ব্যবহার করে নতুন গাছ উৎপন্ন করা হয় ।
উপকরণ ও যন্ত্রপাতি
১। আদি জোড় ও উপজোড়
২। বাডিং ছুরি
৩। দ্বিফলক বিশিষ্ট ছুরি
৪ । নাইলন স্ট্রিপ বা সুতলি
কাজের ধাপ
১। নির্বাচিত আদি জোড় মাটি থেকে ২০-২৫ সেমি উপরে কাণ্ডের ওপর আড়াআড়ি ভাবে ১.৩ সে.মি/ পরিমাণ লম্বা কর্তন দিতে হবে । এ কাটা দাগের মাঝখানে থেকে নিচের দিকে ৪-৫ সে.মি. পরিমাণ আরেকটি লম্বালম্বি কর্তন দিতে হবে ।
২। লম্বালম্বি দাগ বরাবর চাকু দ্বারা কাঠ থেকে বাকল আলগা করতে হবে ।
৩ । কাঙ্খিত মাতৃগাছ থেকে সুপ্ত কুঁড়িসহ একটি বাকল কেটে নিতে হবে । বাকলটিকে ঢালের মত করে তৈরি করে নিতে হবে ।
৪ । কুঁড়িসহ বাকলটি আদিজোড় কর্তিত অংশে ঢুকিয়ে দিতে হবে ।
৫। কুঁড়িটিকে বাইরে রেখে পলিথিন ফিতা দ্বারা বাকলটি আদি জোড়ের সাথে ভালোভাবে বেঁধে দিতে হবে ।
৬। সংযোজিত কুঁড়িটি ২০-৩০ দিনের মধ্যে নতুন পলব ছাড়তে শুরু করবে। তখন জংলী ডালপালা গুলো ধীরে ধীরে কেটে দিতে হবে।
সাবধানতা
১। বাধার সময় কুঁড়িটি যেন ঢাকা না পড়ে ।
২। প্রস্ফুটিত কুঁড়ি ব্যবহার করা যাবে না ।
অলি চোখ কলম অনুশীলন
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ
কাজের ধাপ
আদি জোড় নির্বাচিত করতে হবে এবং নির্বাচিত আদিজোড়ের যে কোন সুবিধাজনক স্থানে বর্গাকার বা আয়তকার বাকল তুলে ফেলতে হবে । কাঙ্খিত মাতৃ পাছ থেকে সুখ কুঁড়িসহ আদিজোর কর্তিত স্থানের অনুরূপ আকৃতির একটি বাকল তুলে এনে আদি জোড়ের কর্তিত স্থানে স্থাপন করতে হবে। কুঁড়িটি বাইরে রেখে পলিখিন কিভা বা নাইলন লিপি দ্বারা বাকলটিকে আদি জোড়ার সাথে ভালোভাবে বেঁধে দিতে হবে।
৩। সতর্কতা
ক) বাধার সময় কুঁড়িটি যেন ঢাকা না পড়ে খ) প্রস্ফুটিত কুঁড়ি ব্যবহার করা যাবে না ।
আরও দেখুন...