ফ্ল্যাক্স এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ পদার্থ যা ওয়েল্ডিং এর সময় জবে অক্সিজেনের যৌগ গঠনে বাধা প্রদান করে এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক বিক্রিয়া হতে জবকে রক্ষা হবে। নিখুঁত এবং দ্রুত ওয়েল্ডিং এর জন্য এটি বিশেষ প্রয়োজন। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকারের ফ্লাক্স পাউডার, পেস্ট, কঠিন এবং তরল আকারে পাওয়া যায়। এদের কতগুলো জোড়া স্থানের ক্ষয় করে, কতকগুলি জোড়াস্থানের কম ক্ষয় করে, আবার কতকগুলি ক্ষয় করে না। এ বিচারে ফ্লাক্সগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
১। হাইলি করোসিভ ফ্লাক্স : এদেরকে কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত জোড়া স্থান হতে পরিষ্কার করা দরকার। কারণ এরা জোড়া স্থানের ক্ষয় করে।
২। ইন্টারমিডিয়েট করোসিভ ফ্লাক্স : এরা জোড়া স্থানের কম ক্ষয় করে
৩। নন-করোসিভ ফ্লাক্স : এটি জোড়া স্থানের কোন ক্ষয় করে না।
ফ্লাক্স হিসেবে যে সকল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় এদের মধ্যে কতকগুলো উল্লেখযোগ্য ফ্লাক্স হলো :
(ক) বোরাক্স
(খ) বোরিক এসিড
(গ) ম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট
(ঘ) লাইম বা চুন ইত্যাদি ।
বিভিন্ন ধাতুর ওয়েল্ডিং কাজে বিভিন্ন রকমের ফ্লাক্স ব্যবহার করতে হয় নিচের টেবিলে কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর ওয়েল্ডিং কাজে ব্যবহৃত ফ্লাক্সের নাম দেওয়া হলো ।
ধাতুর নাম | ফ্লাক্স এর নাম |
---|---|
ভামা | ফ্লাক্স ছাড়া ওয়েল্ডিং করা যায়, তবে ভালো ফল পেতে বোরাক্স ব্যবহার করা উচিত। |
ভাষার সংকর | বোরাক্স, বোরিক এসিড, ফসফেট, (ব্রাশ, বোঞ্জ) ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকেট, চুন ইত্যাদি। |
অ্যালুমিনিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম সংকর | লিথিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড |
কাস্ট আয়রন | বোরেট, সোডা অ্যাস, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি |
স্টেইনলেস স্টিল | বোরাক্স, বোরিক এসিড, ফ্লোরস্পার ইত্যাদি |
আরও দেখুন...