শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা
১ শিশু অধিকার
শিশু হিসেবে এ সকল সুযোগ-সুবিধা তাদের অবশ্যই পাওয়ার কথা। এগুলোই তাদের অধিকার।
ক) ইহান ও নুসাফার সুযোগ-সুবিধার কথাগুলো পড়ি এবং তাদের অধিকারগুলোর তালিকা করি-
ইহান ও নুসাফার অধিকার
০১ | |
০২ | |
০৩ | |
০৪ | |
০৫ | |
০৬ |
পৃথিবীর সকল দেশের শিশুদের কতগুলো অধিকার আছে। শিশুদের প্রধান অধিকারগুলো হলো:
◊ নাম পাওয়ার অধিকার
◊ জন্ম নিবন্ধনের অধিকার
◇ শিক্ষার অধিকার
◊ স্নেহ ও ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার
◊ পুষ্টি ও চিকিৎসার অধিকার
◊ মেয়ে ও ছেলে শিশুর সমান সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার
◊ খেলাধুলা, বিনোদন ও বিশ্রামের অধিকার
◊ নিরাপত্তা লাভের অধিকার
◇ কথা বলার অধিকার
শিশুদের সুন্দর ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য এ অধিকারগুলো পূরণ হওয়া খুবই প্রয়োজন।
২) শিশু অধিকার অর্জনে ব্যক্তি ও সংস্থা
ক) ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করি এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করে লিখি-
১নং ছবি
কোথায় গিয়েছেন?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কে শিশুকে নিয়ে গিয়েছেন?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
২নং ছবি
কাদের দেখা যাচ্ছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তারা কী করছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
৩নং ছবি
শিশুরা কী করছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কোথায় খেলছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কে খেলার ব্যবস্থা করেছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
৪নং ছবি
শিশুকে কী খাওয়ানো হচ্ছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কারা টিকা খাওয়াচ্ছেন?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কোন স্থানে খাওয়ানো হচ্ছে?
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
খ) নিচের অংশটুকু পড়ি। শিশু ইহান ও নুসাফার অধিকার পাওয়ার জন্য বাবা-মা ও অন্যান্য সংস্থার ভূমিকা চিহ্নিত ও শ্রেণিকরণ করে ছকে লিখি-
সোহরাব হোসেন ও সুবর্ণা আক্তারের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা জন্মের পরে ছেলের নাম ইহান ও মেয়ের নাম নুসাফা রাখেন। মা-বাবা ইহান ও নুসাফাকে শিশুকালে বাড়ির পাশের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে টিকা দেন। পাঁচ বছর বয়সে ইহান ও নুসাফাকে বাবা-মা ভর্তির জন্য স্কুলে নিয়ে যান। স্কুলের শিক্ষক তাদেরকে ভর্তি করান। স্কুলে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে পারে। বাবা-মা দুজনকে খুব আদর করেন। বাড়িতে তারা পড়ার সময় পড়ে, খেলার সময় খেলে ও ঘুমানোর সময় ঘুমায়। বাবা-মা তাদের পুষ্টিকর খাবার দেন যাতে তারা সুস্থ থাকে। একদিন ইহান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবা-মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে তাকে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হয়। সে সুস্থ হয়। একদিন স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অপরিচিত এক লোক তাদেরকে চকলেট দিতে চায়। তারা নিতে চায় না। কিন্তু লোকটি আরও লোভ দেখায়। একটু দূরে থাকা একজন পুলিশ সদস্য বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি দ্রুত সেখানে আসেন। অপরিচিত লোকটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ছক
ক্রমিক নং | অধিকার | ব্যক্তি/সংস্থা | ব্যক্তি/সংস্থার ভুমিকা |
১ | শিক্ষা | অভিভাবক /শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/স্কুল | ভর্তির জন্য স্কুলে নিয়ে যান / স্কুলে ভর্তি করান, পড়াশোনা করান, খেলাধুলার সুযোগ দেন |
শিশু হিসেবে আমাদের যে অধিকারগুলো আছে তা পাওয়ার জন্য মা-বাবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থা যেসকল ভূমিকা পালন করেন তা হলো:
মা-বাব্য ও পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা
◊ ছেলে ও মেয়ের নাম রাখা
◊ বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো
◊ পুষ্টি, কাপড় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
◊ খেলাধুলা ও বিশ্রামের সুযোগ দেয়া
◊ স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে লালনপালন করা
◊ শিশুকে মত প্রকাশের সুযোগ দেয়া
◊ নিরাপত্তা দিয়ে নিজের কাছে রাখা
◊ ছেলে ও মেয়েকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া
বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | হাসপাতাল | পুলিশ বাহিনী |
◊ শিশুর নিরাপত্তা দেয়া ◊ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা ◊ ছেলে ও মেয়ের সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া ◇ শিশু ভর্তির ব্যবস্থা করে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। ব্যবস্থা গ্রহণ | ◊ চিকিৎসা সেবা প্রদান | ◊ বাড়ি ও বিদ্যালয়ের বাইরে শিশুর নিরাপত্তা বিধান করা |
পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো শিশুদের অধিকারগুলো পূরণ করা। আমাদের দেশে প্রতি বছর ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করা হয়। আর প্রতি বছর ২০শে নভেম্বর সকল দেশে পালন করা হয় 'বিশ্ব শিশুদিবস'।
রাজু - আমার বাবা-মা আমাকে আর পড়াতে চান না
রিদিশা - আমাকে বাড়িতে ভাইয়ের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়
নাজিফা - আমার বিদ্যালয়ে মেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই
অভি - আমরা শ্রেণিকক্ষে প্রশ্ন করার সুযোগ কম পাই
গ) রাজু, রিদিশা, নাজিফা ও অভির অধিকার পাওয়ার জন্য আমরা কী করব তা নিচের ছকে লিখি-
নাম | কোন অধিকার পায় না | অধিকার পাওয়ার জন্য আমাদের করণীয় |
রাজু | শিক্ষা | রাজুর বাবা-মাকে পড়া বন্ধ না করার জন্য অনুরোধ করব ও বুঝাব। |
রিদিশা | ||
নাজিফা | ||
অভি |
ঘ) শিশুর বিভিন্ন অধিকার অর্জনের ভূমিকাভিনয় করি।
৩) এসো নিরাপদে পথ চলি
ক) ছবিটি পর্যবেক্ষণ করি ও নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করি-
লোকজন কী করছে?
কীভাবে রাস্তা পার হচ্ছে?
এভাবে পার হলে অসুবিধা কী?
বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ আহত এমনকি নিহত হন। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত অনেক শিশুকে পঙ্গু হয়ে সারাজীবন কষ্ট ভোগ করতে হয়। শিশু ও অভিভাবকের সড়ক চলাচলের নিয়ম সম্পর্কে ধারণার অভাব এবং অসচেতনতা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। শহরের সড়কগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষও চলাচল করে। এজন্য সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেক সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই যে সমস্ত কারণে সড়ক চলাচলের নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন তা হলো:
◇ এক গাড়ির সাথে অন্য গাড়ির সংঘর্ষ এড়ানো
◊ রাস্তায় যানজট কমানো
◊ পথচারীকে দুর্ঘটনা হতে রক্ষা করা
ছোটোরা যখনই সড়কে বা রাস্তায় বের হবে তখনই পিতা-মাতা বা অভিভাবকের হাত ধরে থাকবে। কখনোই একা সড়কে বা রাস্তায় বের হবে না। যেখানে জেব্রা ক্রসিং আছে ও ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখান দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে। আর যেখানে জেব্রা ক্রসিং নেই সে সকল রাস্তায় ডানে ও বামে তাকিয়ে সাবধানে রাস্তা পার হতে হবে
আরও দেখুন...