হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা হলো কর্মী ব্যবস্থাপনার উন্নত রূপ। কর্মী ব্যবস্থাপক ও হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কাজের পরিধি, বিষয়বস্তু ও ধরনে বেশ পার্থক্য রয়েছে। নিচে এদের পার্থক্য বর্ণনা করা হলো-
কর্মী ব্যবস্থাপক | হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক | |
---|---|---|
১ | কর্মী সংগ্রহ, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে জড়িত নির্বাহীকে কর্মী ব্যবস্থাপক বলে। | সঠিক কর্মী সংগ্রহ, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দান, তাদেরকে সৃজনশীল জ্ঞানসমৃদ্ধ কর্মীতে রূপান্তর এবং প্রেষণা দানের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত নির্বাহীকে হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক বলে। |
২ | এর কাজ মূলত লোকবল পরিচালনা করা। | কর্মীদের জ্ঞান, দক্ষতা, সামর্থ্য, ঝোঁক, সৃজনশীলতা প্রভৃতি হলো এর কাজের বিষয়বস্তু । |
৩ | কর্মী ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে অর্থনৈতিক পণ্য হিসেবে গণ্য করে | হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে পরিপূর্ণ । মানুষ হিসেবে গণ্য করে তাদের সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়। |
৪ | কর্মীদেরকে ব্যবস্থাপক ব্যয়কেন্দ্রিক মনে করে। এজন্য তাদের সাথে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। | এরূপ ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে মুনাফাকেন্দ্রিক হিসেবে বিবেচনা করে। এজন্য তাদের উন্নয়নে পুঁজি বিনিয়োগ করে সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। |
৫ | কর্মী ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে উৎপাদনের একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। | এরা কর্মীদেরকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করেন। তাদেরকে সামাজিক পুঁজি ও মানবমূলধন বলেও গণ্য করেন। |
৬ | কর্মী ব্যবস্থাপকের কাজের আওতা অনেক সীমিত। | হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কাজের আওতা অনেক বিস্তৃত। |
৭ | কর্মীদের উন্নতিকল্পে মধ্যস্থতাকারী (Activity) হিসেবে কাজ করে। | হিউম্যান রিসোর্সকে প্রতিশ্রুতিশীল করে গড়ে তোলা ও তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। |
তাই বলা যায়, হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা হলো কর্মী ব্যবস্থাপনার আধুনিক রূপ। তাই কর্মী ব্যবস্থাপকের চেয়ে হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কার্য পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি, আর্থিক সামর্থ্য ও কার্য পরিধির ভিন্নতার কারণে একেক প্রতিষ্ঠানে একেক ধরনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
আরও দেখুন...