প্রার্থনা

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সাহিত্য কনিকা - কবিতা | | NCTB BOOK
7

বিভো, দেহ হৃদে বল!

না জানি ভকতি, নাহি জানি স্তুতি,

কী দিয়া করিব, তোমার আরতি

                       আমি নিঃসম্বল!

তোমার দুয়ারে আজি রিক্ত করে

দাঁড়ায়েছি প্রভো, সঁপিতে তোমারে

                       শুধু আঁখি জল,

                       দেহ হৃদে বল!

 

বিভো, দেহ হৃদে বল!

দারিদ্র্য পেষণে, বিপদের ক্রোড়ে,

অথবা সম্পদে, সুখের সাগরে

ভুলি নি তোমারে এক পল,

জীবনে মরণে, শয়নে স্বপনে

                       তুমি মোর পথের সম্বল;

                       দেহ হৃদে বল!

 

বিভো, দেহ হৃদে বল!

কত জাতি পাখি, নিকুঞ্জ বিতানে

সদা আত্মহারা তব গুণগানে,

                     আনন্দে বিহ্বল!

ভুলিতে তোমারে, প্রাণে অবসাদ,

তরুলতা শিরে, তোমারি প্রসাদ

                    চারু ফুল ফল!

                    দেহ হৃদে বল!

 

বিভো, দেহ হৃদে বল!

তোমারি নিঃশ্বাস বসন্তের বায়ু,

তব স্নেহ কণা জগতের আয়ু,

তব নামে অশেষ মঙ্গল!

গভীর বিষাদে, বিপদের ক্রোড়ে,

একাগ্র হৃদয়ে স্মরিলে তোমারে

                     নিভে শোকানল।

                     দেহ হৃদে বল!

                                          (সংক্ষেপিত)

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সৌজন্য ও ভক্তি
ভক্তি ও স্তুতি
প্রীতি ও ভালোবাসা
উদারতা ও মহানুভবতা
তুমি মোর পথের সম্বল
তোমার দুয়ারে আজি রিক্ত করে
তোমারি নিঃশ্বাস বসন্তের বায়ু
তবে স্নেহ কণা জগতের আয়ু
স্রষ্টার কাছে
মায়ের কাছে
প্রিয়ার কাছে
পিতার কাছে
চোখের ভালে
উপসনা দিয়ে
প্রসাদ দিয়ে
আরাধনা দিয়ে
আপদে বিপদে
মহাসঙ্কটকালে
বিপৎকালে
বিভ্রমকালে
প্রতি মুহূর্তে
প্রতিদিন
প্রতি সময়ে
নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে
গুণাহ্র কারণে
ধার্মিক বলে
একমাত্র সম্বল বলে
কৃতজ্ঞতার কারণে
বিভো, দেহ হৃদে বল
তুমি মোর পথের সম্বল
তব স্নেহ কণা জগতের আয়ু
সদা আত্মহারা তব গুণগানে
দেহ হৃদে বল
তুমি মোর পথের সম্বল
ভুলিতে তোমারে, প্রাণে অবসাদ
স্মরিলে তোমারে, নিভে শোকানল
স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা
স্রষ্টার ওপর নির্ভরশীলতা
স্রষ্টার করুণা
স্রষ্টার পরাক্রম
বিধ্যতাকে একমুহূর্তের জন্যও না ভুলে থাকা
বিধাতা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী
বিধাতার কাছে কবি শক্তি প্রার্থনা করেছেন
বিধাতাকে ভুললে মন দুঃখ-কষ্টে ভরে যায়
সদা আত্মহারা তব গুণগানে
ভুলিতে তোমারে, প্রাণে অবসাদ
তোমারি নিঃশ্বাস বসন্তের বায়ু
তরুলতা শিরে, তোমারি প্রসাদ
বিভো, দেহ হৃদে বল
তব স্নেহ কণা জগতের আয়ু
ভুলিতে তোমারে, প্রাণে অবসাদ
তুমি মোর পথের সম্বল
নামাজের মাধ্যমে
একাগ্রচিত্তে
দরজা বন্ধ করে
মসজিদে গিয়ে
দুঃখের দিনে
অসুস্থতার সময়
গভীর বিষাদে
অন্তহীন যন্ত্রণায়
ধর্মচিন্তা করে
মানবসেবা করে
স্রষ্টার কথা স্মরণ করে
পরিজনদের সান্ত্বনা নিয়ে
কায়কোবাদ
কামিনী রায়
জসীমউদদীন
কালিদাস রায়
স্রষ্টার প্রতি ভক্তি ও অনুগ্রহ প্রার্থনা
স্রষ্টার দয়ার পথ জানা
স্রষ্টার গুণকীর্তন করা
স্রষ্টার করুণা লাভ
স্বাধীনভাবে চলতে শেখাবে
দানশীল হতে শেখাবে
স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করতে শেখাবে
মা-বাবার প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখাবে
মমতাজ উদ্‌দীন আহমদ
মুস্তাফা মনোয়ার
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
কায়কোবাদ
স্কুলমাস্টারের
স্টেশন মাস্টারের
পোস্টমাস্টারের
সংগীত মাস্টারের
মেঘনাদবধ কাব্য
মহাশ্মশান
বৃত্রসংহার
অশ্রুমালা
উদ্দীপকটি পড়ো এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও

বিধাতার কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মাধ্যমে সব ব্যথা-বেদনা দূর হয়ে যায়। মানুষের উচিত তাঁর নির্দেশমতো জীবন চালনা করা। তাঁকে স্মরণ করলে সকল দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বলে
তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন বলে
আমরা তাঁর নির্দেশ মেনে চলি বলে
আমরা তাঁকে স্মরণ করি বলে
উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও

আজমল সাহেব একজন সৎ ও ধার্মিক ব্যক্তি। বিপদে-আপদে তিনি সবসময় স্রষ্টাকেই অবলম্বন করেন।

অতিথির স্মৃতি
বঙ্গভূমির প্রতি
তৈলচিত্রের ভূত
প্রার্থনা
উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও

ছেলে সন্তানের আশায় সোবহান মিয়া আজ ছয় সন্তানের পিতা। আরও একবার সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা করছে সে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে— “চিন্তার কিছু নাই; সবই ওপরওয়ালার ইচ্ছা। মুখ দিচ্ছেন যিনি, আহারও দেবেন তিনি। "

স্রষ্টার ও পরনির্ভরতা
স্রষ্টার স্মৃতি বর্ণনা
টাকে স্মরণ
স্রষ্টার মোনাজাত

শব্দার্থ ও টীকা

4

প্রার্থনা — মুনাজাত, আবেদন।

বিভো — বিভু, স্রষ্টা, এখানে ‘বিভো” বলে কবি স্রষ্টাকে সম্বোধন করেছেন।

রিক্ত করে — শূন্য হাতে৷

পেষণে — অত্যাচারে।

কোড় — কোল।

অশেষ — যার শেষ নেই, অন্তহীন।

বিষাদ — বিষণ্ণতা, দুঃখবোধ।

স্মরিলে — স্মরণ করলে, মনে করলে।

প্রসাদ — অনুগ্রহ।

হৃদে — হৃদয়ে, মনে।

বল — শক্তি, জোর।

স্তুতি — প্রশংসা।

আরতি — প্রার্থনা।

চারু — সুন্দর।

নিকুঞ্জ — বাগান।

শোকানল — শোকরূপ অনল, যে শোক হৃদয়কে দগ্ধ করে।

Content added || updated By

পাঠের উদ্দেশ্য

5

কবিতাটি পাঠ করে শিক্ষার্থীরা স্রষ্টার মহিমা সম্পর্কে জানবে এবং সমগ্র সৃষ্টি যে স্রষ্টার প্রতি নিবেদিত তা উপলব্ধি করবে। তারা স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং সৎ ও সুন্দর জীবন গঠনে তৎপর হবে।

Content added || updated By

পাঠ-পরিচিতি

3

‘প্রার্থনা' কবিতাটি কবির ‘অশ্রুমালা' কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। কবি এ কবিতায় স্রষ্টার অপার মহিমার কথা বর্ণনা করে স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন। কবি ভক্তি বা প্রশংসা করতে না জেনেও কেবল চোখের জলে নিজেকে নিবেদন করেন। বিপদে আপদে, সুখে, শান্তিতে সব সময় তিনি বিধাতার কাছ থেকে শক্তি কামনা করেন। গাছে গাছে পাখি, বনে বনে ফুল সবই বিধাতাকে স্মরণ করে। তাঁর অফুরন্ত দয়ায় জগতের সব কিছু চলছে। তাঁর কাছেই সকলে সাহায্য প্রার্থনা করে। তাঁর অপার করুণা লাভ করেই বিশ্ব সংসারের প্রতিটি জীব ও উদ্ভিদ প্রাণধারণ করে আছে। তাঁর দয়া ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না। সুখে-দুখে, শয়নে স্বপনে তিনি আমাদের একমাত্র ভরসা। আমরা রিক্ত হস্তে পরম ভক্তি ভরে তাঁর কাছে প্রার্থনা জানাই : হে প্রভু, আমাদের দেহে ও হৃদয়ে শক্তি দাও। আমরা যেন তোমার আরাধনায় নিজেকে নিবেদন করতে পারি।

Content added || updated By

কবি-পরিচিতি

5

কায়কোবাদ ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মুহম্মদ কাজেম আল কুরায়শী। প্রবেশিকা পর্যন্ত লেখাপড়া করে তিনি ডাক বিভাগে চাকরি নেন। অনেক দিন ধরে তিনি নিজগ্রাম আগলাতে পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন। ছেলেবেলা থেকেই কবিতা লেখায় তাঁর হাতেখড়ি হয়। তারপর আপন স্বভাবে তিনি ক্রমাগত লিখে গেছেন। তাঁর রচিত ‘মহাশ্মশান’ বিখ্যাত মহাকাব্য। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘অশ্রুমালা', ‘শিবমন্দির’, ‘অমিয়ধারা’, ‘মহররম শরীফ' ইত্যাদি। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে কবি কায়কোবাদ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

Content added || updated By

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

8
Please, contribute by adding content to বহুনির্বাচনি প্রশ্ন.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দরিদ্র্য
দারিদ্র্য
দারিদ্র্যতা
দারিদ্রতা

সৃজনশীল প্রশ্ন

3
Please, contribute by adding content to সৃজনশীল প্রশ্ন.
Content
Promotion