অতীতে পয়লা বৈশাখ গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এদিন তারা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখত, ব্যবহার্য জিনিসপত্র ধোয়ামোছা করে সকালে গোছল সেরে পূত-পবিত্র হতো। এ দিনটিতে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা ও ভালো পরতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক মনে করতো। পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া- আসা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও নানারকম আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করত।
চুকনগরের গণহত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিক্ষক সরদার মুহাম্মদ নূর আলি বলেন, "সে এক নারকীয় দৃশ্য। ভোলা যায় না। আমাদের এলাকায় প্রায় চার মাইলব্যাপী এই হত্যাযজ্ঞ চলে। কিছু লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। দুর্গন্ধ এড়াতে কিছু লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়। এলাকার লোক দুইমাস পর্যন্ত নদীর মাছ খায়নি। ভয়ে লোকজন পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত বাজারেও আসেনি।"
দুই বন্ধুর কথোপকথন-
১ম বন্ধু: জানিস বন্ধু, সমাজের সাথে তাল মেলাতে গেলে শুধু বাংলা বললেই চলে না। আমিতো ইংরেজি ভালো শিখিনি, তাই নিজের মতো করে বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে কথা বলি, তবে ছেলেটিকে ভর্তি করেছি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।
২য় বন্ধু : সমাজের সাথে তাল মেলাতে আমি মাতৃভাষায় কথা বলতে লজ্জা পাই না, আমি গর্বিত বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে। আমার সন্তানের ভাষাশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার অগ্রাধিকার দিয়েছি।
২৬ মার্চ সকালে ১৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট পুরোনো ঢাকায় তাদের অপারেশন শুরু করল। এর অগ্রবর্তী বাহিনিটি যাকেই পালাতে দেখল তাকেই লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ল। কয়েকটি জায়গায় বাঙালিদের সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারা হলো। অগ্রবর্তী দলের পেছনেই ছিল একটি ছোট দল, তাদের হাতে ছিল পেট্রোল। আশেপাশের বাড়িঘরে আগুন দিতে দিতে এগোতে লাগল দলের সৈন্যরা।
১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনির অবস্থানে আক্রমণ করলে, পাকিস্তানি সেনারা ঘাঁটিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই সময় একদিন শহীদুল ইসলাম কাজের ছেলের ছদ্মবেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনির ঘাঁটিতে যান। তাদের বিভিন্ন ফাই-ফরমাশ খেটে আস্থা অর্জন করেন। পরে গ্রেনেডসহ ঘাঁটিতে প্রবেশ করে সেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে ফিরে আসেন।