কুশিয়ারা নদী তীরের বাসিন্দা জনাব রহিম মিয়া ঘর-বাড়ি ও জমি-জমা হারিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেট শহরে চলে এসেছেন। কিন্তু বাপ- দাদার ভিটে মাটির জন্য এখনও আফসোস করেন।
উক্ত দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় হলো—
i. শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে
ii. বাড়ির গাছপালা ও শাকসবজি বিক্রি করতে হবে
iii. আগে থেকেই গোয়ালঘর ও রান্নাঘর নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। আমরা জানি যে, ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা উষ্ণায়নের কারণে সারা পৃথিবীতেই আজ জলবায়ুর পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে শুষ্ক মৌসুমে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়। এছাড়া বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুষ্ক মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও অত্যধিক খরা, শিলাবৃষ্টি, ভূমিক্ষয়, টর্নেডো, সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়। শীত মৌসুমে হঠাৎ শৈত্য ও উষ্ণ প্রবাহ এবং ঘন কুয়াশা লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া এ দেশে সংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহের মধ্যে ভূমিকম্প অন্যতম। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এ দুর্যোগ সংঘটনের কারণ । বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতির উপর এইসব দুর্যোগের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
• বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব ;
• বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারব;
• দুর্যোগের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব;
• দুর্যোগের ধরন উল্লেখ করতে পারব;
• বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যথা- ভূমিকম্প, সুনামি, ভূমিধস ও অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব;
• বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ বর্ণনা করতে পারব ;
• বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতির উপর এসব দুর্যোগের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারব;
• প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগে করণীয়, জীবন ও জীবিকা রক্ষায় উপযোগী পদক্ষেপের পরামর্শসহ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারব ;
• পরিবেশ বিষয়ে সচেতন হব।