নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ হচ্ছে -

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

যে শব্দ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। নিচের বাক্য তিনটির নিম্নরেখ শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ:

ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়। 

লোকটি ধীরে হাঁটে। 

মেয়েটি গুনগুনিয়ে গান করছে।

অনেক সময়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে '-এ', '-তে' ইত্যাদি বিভক্তি এবং '-ভাবে', '-বশত', '-মতো' ইত্যাদি শব্দাংশ যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবিশেষণ তৈরি হয়। যেমন ততক্ষণে, দ্রুতগতিতে, শান্তভাবে, ভ্রান্তিবশত, আচ্ছামতো ইত্যাদি।

ক্রিয়াবিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে। যেমন-

টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। 

ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।

২. কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে। যেমন- 

আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি। 

যথাসময়ে সে হাজির হয়।

৩. স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ। যেমন- 

মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায় 

তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

৪. নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে। যেমন- 

সে এখন যাবে না। 

তিনি বেড়াতে যাননি। 

এমন কথা আমার জানা নেই

৫. পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলেও 'কি', 'যে', 'বা', 'না', 'তো' প্রভৃতি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে। যেমন- 

কি: আমি কি যাব? 

যে: খুব যে বলেছিলেন আসবেন!

বা: কখনো বা দেখা হবে।

না: একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে। 

তো: মরি তো মরব।

গঠন বিবেচেনায় ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ও বহুপদী এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: আন্তে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালোভাবে ইত্যাদি।

বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ: ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি ইত্যাদি।

Content added By
Promotion