'কুল' কোন শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়? 

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

বচন হলো সংখ্যার ধারণা। বচনের মাধ্যমে গণনাবাচক বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দের সংখ্যা নির্দেশিত হয়। বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকার: একবচন ও বহুবচন। সাধারণত কিছু শব্দাংশ বা লগ্নক একবচন শব্দের পরে যুক্ত হয়ে বহুবচন শব্দ তৈরি করে।

একবচন শব্দের উদাহরণ:

শিক্ষক ক্লাসে এসেছেন। 

বইটা কোথায় হারিয়ে গেল?

এখানে প্রথম বাক্যের 'শিক্ষক' শব্দের সঙ্গে কোনো লগ্নক যুক্ত হয়নি। দ্বিতীয় বাক্যে 'বই' শব্দের সঙ্গে যুক্ত 'টা' একটি নির্দেশক। এর সঙ্গেও কোনো বহুবচন লগ্নক যুক্ত হয়নি।

বহুবচন শব্দের উদাহরণ:

মাঝিরা নৌকা চালায়। 

কলমগুলোর দাম অনেক।

এখানে প্রথম বাক্যের একবচন 'মাঝি' শব্দের সঙ্গে '-রা' লগ্নক যুক্ত হয়ে বহুবচন 'মাঝিরা' হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় বাক্যে '-গুলো' লগ্নক যুক্ত হয়ে বহুবচন 'কলমগুলো' হয়েছে।

 

ক) '-রা', '-এরা', '-গুলো', '-গুলি', '-দের' ইত্যাদি লগ্নক যুক্ত হলে শব্দটির বহুবচন হয়। যেমন - 

রা - ছাত্ররা, ধনীরা 

এরা - ভাইয়েরা, শিক্ষকেরা 

গুলো - ফুলগুলো, গরুগুলো 

গুলি - বইগুলি, ঘরগুলি 

দের - ছেলেদের, মেয়েদের।

 

খ) কিছু একবচন শব্দ বহুবচন হওয়ার সময়ে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটায়। যেমন- 

একবচন - আমি, বহুবচন - আমরা 

একবচন - তুমি, বহুবচন - তোমরা 

একবচন সে, বহুবচন - তারা 

একবচন - তিনি, বহুবচন - তাঁরা।

 

গ) প্রাণী বা বস্তুর নামকে বহুবচন করতে '-সব', '-সমূহ', '-আবলি', '-মালা' ইত্যাদি লগ্নক যোগ করতে হয়। যেমন -

সব - ভাইসব, পাখিসব 

সমূহ - গ্রন্থসমূহ, বৃক্ষসমূহ

আবলি - নিয়মাবলি, রচনাবলি 

মালা - মেঘমালা, পর্বতমালা।

 

ঘ) মানী পক্ষের বহুবচন করার সময়ে '-গণ,' '-বৃন্দ', '-মণ্ডলী', '-বর্গ' ইত্যাদি লগ্নক যোগ করা হয়। যেমন- 

গণ - সদস্যগণ, সচিবগণ 

বৃন্দ - দর্শকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ 

মণ্ডলী - সুধীমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী 

বর্গ - পণ্ডিতবর্গ, মন্ত্রীবর্গ।

 

অনেক ক্ষেত্রে বচন লগ্নক ব্যবহৃত না হলেও বহুবচন হতে পারে। যেমন-

বাজারে লোক কম। 

মৌমাছি মৌচাক বানায়। 

সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন।

Content added By
Promotion