SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বেগুন চাষ

বেগুন বাংলাদেশের অতি পরিচিত সবজি। এদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, জাপান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট, দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশসহ প্রকৃতি দেশে এর চাষ হয়ে থাকে।

বেগুন জাত 

বেগুনের প্রধান জাতের মধ্যে ইসলাম পুরি, মুক্তকোষি, তাল, নয়নতারা, উত্তরা যশোর লোকাল, খাম্বা, বিজয়, কাটাবেগুন, ঈশ্বরদী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

বারোমাসি সাদা ও কালো বর্ণের জাত রয়েছে। বিদেশে জাতের মধ্যে আছে ব্ল্যাক বিউটি, ফোর্ট, ফ্লোরিডা বিউটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নত জাতের বেগুণ উৎপাদিত। 

চারা উৎপাদন- সরাসরি বীজ বুনে বেগুনের চাষ করা যায় না। প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে পরবর্তীতে রোপণ করতে হয়। প্রতি হেক্টর জমির জন্য ২৫০-৩০০ গ্রাম বীজ লাগে। এ পরিমাণ বীজ ৩ × ১ মিটার পরিমাপের ১৬-২০টি বীজতলায় বোনা যেতে পারে। বপনের আগে বীজ ১০-১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে ভালো হয়। বীজতলায় শীতের বেগুনের বীজ জুলাই এবং বর্ষার বেগুনের বীজ এপ্রিল-মে মাসে বোনা যায়। রোপণের সময় গ্রীষ্মকালীন ফসল জানুয়ারি-মার্চ, বর্ষাকালীন ফসল এপ্রিল-মে এবং শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্ট-অক্টোবর মাসে চারা রোপণ করতে হয়।

জমি তৈরি ও সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে এবং বণ্যামুক্ত উর্বর জমি বেগুন চাষের জন্য উপযুক্ত। ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে জমি পরিষ্কার করে পরিমাণমত দূরত্বে বেড/মাদা তৈরি করে চারা রোপণ করা যায়। তবে শেষ চাষের পূর্বে মৌল সার সমস্ত জমিতে ছিটিয়ে দিতে হয় এবং অর্ধেক গর্তে বা মাদায় দিতে হয়। অর্ধেক গোবর সার জমি তৈরির সময় সমস্ত জমিতে প্রয়োগ করতে হয়। বাকি অর্ধেক গোবর, সম্পূর্ণ টিএসপি এবং ১৩ অংশ করে ইউরিয়া ও এমওপি সার মাদা তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হয়। বাকি ইউরিয়া এবং এমওপি সার গর্তে বা তিনটি সমান কিস্তিতে রোপণের ২১, ৫ ও ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হয়।

চারা রোপণ ও অতবর্তীকালীন পরিচর্যা- গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার কাছের মাটি আগলা করে দিতে হয়। বীজতলায় শীতের বেগুনের বীজ জুলাই এবং বর্ষার বেগুনের বীজ এপ্রিলেও বপন করা যায়। চারা ৫-৬ পাতাবিশিষ্ট হলে জমিতে স্থানান্তরিত করে রোপণ করা হয়।

মাটিতে অধিক পরিমাণে জৈব পদার্থ দিলে ফলন ভালো হয়। চারা রোপণকালে চারার অগ্রভাগ কেটে দিলে গাছে প্রচুর শাখা-প্রশাখা বের হয় এবং তাতে গাছের অধিক পরিমাণ ফল দানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। চারা রোপণের ৪০ ৬০ দিন পরে মাটি কোদাল দিয়ে কুপিয়ে গাছের গোড়ার মাটি উঠিয়ে দেয়া ভালো ।

পোকা দমন- এপিলাকনা বা কাটালে পোকার কীড়া ও বয়স্ক পোকা বেগুনের পাতা খায়। মাজরার পোকা ডগা ও ফলে ছিদ্র করে। মিলিবাগ কাণ্ড ও পাতার রস চুষে খায় এবং উরচুঙ্গা পোকা চারার গোড়া কেটে দেয়। পিঁপড়া শিকড় খায়, কাটুই পোকা চারার গোড়া কেটে দেয়। লিফ-রোলার পাতা মাড়োয় ও ভিতরে বসে পাতার সবুজ অংশ খায়। সাইপারমেথ্রিন বা ক্লোরাপাইরিফস বা ম্যালাথিয়ন ছিটিয়ে এসব পোকা দমন করা যায়। উরচুঙ্গা ও কাটুই পোকা দমনের জন্য সেভিন ডাষ্টিং অথবা বিষটোপ, পিপড়া দমনে ক্যাডুসাফস, মেথোক্সিক্লোর, কারবোফুরান ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

রোগ দমন- বেগুন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়; যথা- ব্যাক্টেরিয়াজনিত, ফিউজেরিয়ামজনিত ও ভার্টিসিলিয়ামজনিত ঢলে পড়া ইত্যাদি। বেগুনের রোগের মধ্যে ফল পচা ও উইল্ট রোগ প্রধান। রোগের জন্য মেটানোক্সাম ও ক্লোরাথোলোনিল, হেক্সাকোনোজল ৫ গ্রাম বা ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ফল পচা রোগে পাতা ও কান্ডে বাদামি দাগ পড়ে। এর জন্য রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার, প্রতিরোধী জাত ও শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হয়। একই জমিতে বারবার বেগুনের চাষ না করা, ব্যাক্টেরিয়াজনিত ঢলে পড়া রোগ প্রতিরোধের জন্য বন্য প্রজাতির বেগুনের সাথে চাষের বেগুন কলম জুড়ে দেয়া যায়।

ফল সহ- বারমাসী ব্যতিত অন্যান্য জাতের গাছের সময়সীমা রোপণের সময় থেকে প্রায় ৫ মাস পর্যন্ত সপ্তাহ করা হয়। ফল ধরা শুরু হলে জমি থেকে দুই একদিন পরপরই বেগুন সংগ্রহ করা উচিত। অন্যথায় বেগুনের কচি অবস্থা নষ্ট হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বড় আকারের বেগুন জন্মাতে হলে মাঝে মাঝে কিছু কিছু বেগুন ঐ অবস্থায় ছিড়ে পাতলা করে ফেলতে হয়। ফলন প্রতি হেক্টরে জাতভেদে ৪০-৬০ টন হতে পারে।

টমেটোর চাষ

টমেটোর চাষ টমেটোর জাত-ফলের আকার, আকৃতি, বর্ণ, স্বাদ ও ব্যবহার এবং গাছের আকার ও প্রকৃতি অনুসারে টমেটো নানা রকমের হয়ে থাকে। যেমন- (ক) অবিরত ও (খ) সবিরত শ্রেণির টমেটো।

(ক) অবিরত- এ শ্রেণির টমেটো গাছ মরার আগ পর্যন্ত কাণ্ডের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে। গাছ ৮০ থেকে ১২০ সেমি: তাই কিছু লম্বা হয়। এ ধরনের গাছে ১৫-২০ টি পাতা হওয়ার পর হতে ফুল জন্মাতে শুরু করে। গাছ লম্বা হয়, শাখা প্রশাখা ছাঁটাই করে কাঠি দিয়ে বেঁধে দিলে ফলন বেশি পাওয়া যায়। উদাহরণ- অঙ্গহার্ট, মারগ্লোব, মানি মেকার, সানমার্জিনো, পূষা আর্লি, জায়েন্ট, বারি টমেটো-১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ইত্যাদি।

খ) সবিরত- এ শ্রেণির টমেটো গাছ অনেকটা খাটো এবং ঝোপালো প্রকৃতির। গাছ ৪০ থেকে ৬০ সেমি. লম্বা হওয়ার পর গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এর কাণ্ডে ঘন ঘন ফুলগুচ্ছ হয় এবং একই সময়ে অধিক সংখ্যক ফল ধরে। উদাহরণ রোসা ভিএফ, পুষা রুবী, পুষা আর্লি ডোয়ার্ফ, আনবিক, মানিক, বারি টমেটো-২। রতন, এছাড়াও টমেটোর অন্যান্য জাত আছে। যেমন- পশ্চিমা জাত, জাপানি, স্থানীয় জাত।

জমি তৈরিকরণ ও সার প্রয়োগ- পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে এমন বণ্যামুক্ত উর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে। জমি ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে শেষ চাষের পূর্বে মৌল সার সমস্ত জমিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। তবে আগাম মৌসুমে ও খারিফ মৌসুমে টমেটো চারা জোড়া সারি পদ্ধতিতে লাগানো যায়। এজন্য ১০০ সেমি. চওড়া ও ৫-৭ সেমি. উঁচু করে বেড তৈরি করতে হয়। বেডের পাশ দিয়ে প্রায় ২০ সেমি, নালা তৈরি করে নিতে হয় ।

সার প্রয়োগ- টমেটোর জমিতে প্রতি হেক্টরে গোবর ১৫ টন, ইউরিয়া ২৫০ কেজি, টিএসপি ১৭৫ কেজি, এমওপি ১৫০ কেজি প্রয়োগ করা যেতে পারে। গোবর ও টিএসপি সারের অর্ধেক শেষ চাষের সময়ে সমস্ত জমিতে মিশিয়ে দিতে হয়। বাকি অর্ধেক চারা লাগানোর সপ্তাহখানেক আগে গর্তে সার প্রয়োগ করা উত্তম।

ইউরিয়া ও পটাশ সার সমান তিন কিত্তিতে ভাগ করে গাছের গোড়ার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়। যেমন- 

১) চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর প্রথম কিস্তি

২) ৩০-৩৫ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি এবং 

৩) ফসল সহ আনা হলে শেষ কিস্তি।

চারা রোপণ ও অন্তবর্তী পরিচর্যা-টমেটো চাষের জন্য চারা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সচরাচর দেখা যায় বীজতলার জমিতে বীজ বপন করে চারা দ্বিতীয় বীজতলা স্থানান্তর করা হয় না। এতে চারা দূর্বল হয়। বীজ গজানোর ৮-১০ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলার স্থানান্তর করতে হয়। এতে চারা শক্ত হর, সুস্থ ও সবল হয়। এই চারা রোপণ করলে ভাল ফলন দেয়।

টমেটো চাষের জন্য প্রতি হেক্টরে ১৫০-২০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। শুরুতে বীজতলায় বীজ বুনে চারা তৈরি করে নিতে হয়। ৩ x ১ মিটার মাপের বীজতলার জন্য ১০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। চারা দুই পাতা বিশিষ্ট হলে দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করে চারাকে শক্ত করে নিলে ভালো হয়। বীজতলায় বীজ ঘন করে বুনলে এবং চারায় পানি ও ইউরিয়া বেশি দিলে চারা লৰা ও দুর্বল হয়। এরূপ চারা দ্বারা ভালো ফলন পাওয়া যায় না।

চারা রোপণ চারার বয়স ৩০-৩৫ দিন হলে রোপণের উপযুক্ত হয়। সাধারণত অবিরত শ্রেণির টমেটোর বেলার ১ মিটার দূরত্বে সারি করে সারিতে ৬০ সেমিঃ ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে। তবে সবিরত শ্রেণির বেলায় ৭৫ সেমি. দূরত্বে সারি করে ৫০ সেমি. দূরে দূরে চারা লাগাতে হয়। নাগার গভীরতা ১৫-২০ সেমি. এবং নালার চওড়া ২৫-৩০ সেমি করে তৈরি করতে হয়।

অন্তবর্তী পরিচর্যা- টমেটোর ভালো ফলনের জন্য গাছে খুঁটি সেরা প্রয়োজন। বাঁশের শক্ত কাঠি অথবা ধৈঞ্চার কাঠি দিয়ে একটি ইংরেজি A অক্ষরের ন্যায় ফ্রেম তৈরি করা যেতে পারে। গাছে প্রথম ফুল দেখা দিলে তখনই ঐ ফুলের গোছার নিচে গোড়ার অংশে বাঁশের কাঠিতে হালকাভাবে বেঁধে দিতে হবে। এভাবে ফুলের গোছা বেঁধে দিলে বেশি ফলন নিশ্চিত হবে।

টমেটো গাছ যাতে অত্যাধিক ঝোপালো না হয় সেজন্য অঙ্গ ছাঁটাই করা প্রয়োজন। প্রাথমিক অবস্থার পাতার পোড়া হতে বের হওৱা লৰ পাৰ্শ্বকুঁড়ি ছাঁটাই করে দিতে হবে। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনমত নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার ও মাটির উপরিভাগ ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। টমেটো চাষে ৪-৫ বার সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয়। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ এবং পরবর্তীতে প্রতি কিন্তুি সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে। তবে মাটির প্রকারভেদে ১৫-২০ দিন অন্তর সেচ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। টমেটোর জমিতে প্লাবন পদ্ধতিতে সেচ দিলে ফসলের ক্ষতি হয়। এছাড়া টমেটো জমির মাটি স্যাঁতসেঁতে রাখা উচিত নয় 

হরমোন প্রয়োগ- উচ্চ তাপমাত্রায় টমেটো গাছে ফুল ধরে না বা ফুল পরিণত না হয়ে ঝরে পড়ে যায়। এ সমস্যা প্রধানত খারিফ মৌসুমে এবং কোন কোন সময় অতি আগাম ও নাবি মৌসুমে দেখা যায়। এ সমস্যা অক্সিজাতীয় হরমোন প্রয়োগ করে অনেকাংশে দূর করা যায়। প্রয়োজনে নিম্ন অনুপাতে যে কোন হরমোনের সংমিশ্রণ তৈরি করে গাছের পাতার ও ফুলগুচ্ছে স্প্রে করা যায়।

১. প্যারাক্লোরেকেনক্সি এসিটিক এসিড- প্রতি লিটার পানিতে ১৫-৫০ মিলিগ্রাম। 

২. বিটানেপথোকসি এসিটিক এসিড- প্রতি লিটার পানিতে ৫০-১০০ মিলিগ্রাম। 

৩. ২, ৪, ডি - প্রতি লিটার পানিতে ১-৫ মিমি।

পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন

জাব পোকা

এ পোকা টমেটোর অন্যতম ক্ষতিকর পোকা। এ পোকা পাতা, কচি ডগা ও কাণ্ড থেকে রুা চুষে খেয়ে গাছের সমূহ ক্ষতি করে থাকে। এ পোকা দমনে ১০ লিটার পানিতে ১২-১৫ মিলি ম্যালাথিয়ন বা ফাইফানন ৫৭ ইসি নামক ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এ হিসেবে হেক্টর প্রতি প্রায় ১০০ জেরার মিশ্রণে ১.২-১.৫ লিটার ঔষধের প্রয়োজন হয় ।

ঢলে পড়া রোগ- এ রোগ টমেটো গাছেরে সবচিয়ে বেশি ক্ষতি করে। রোগাক্রান্ত গাছ ফুলে নষ্ট করে অথবা মানিক ও রতন এ দুটি আাভ রোপণ করে এ রোগের ব্যাপকতা কমানো যায়।

এছাড়া পাঁচ জাতীয় ভাইরাসের আক্রমণ টমেটোর গাছে দেখা যায়। এদের আক্রমণে গাছের অগ্রভাগ কুঁকড়িয়ে যায়, কাণ্ড ও পাতা খর্বাকৃতি হয়। গাছ বিকৃতভাবে কুঁকড়িয়ে যায়। গাছের বিভিন্ন অংশে দাগ পড়ে ও গাছ শুকিয়ে যায়। ঔষধ দ্বারা এ রোগ দমন করা যায় না। আক্রান্ত গাছগুলো তুলে পুড়িয়ে যেতে হবে এবং রোগযুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।

ফল সংগ্রহ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ- চারা লাগানোর ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। প্রতি গাছ থেকে ৭-৮ বার ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছের নিচের দিকের ফলে একটু লালচেভাব দেখা দিলে উঠানোর উপযোগী হয়। রঙিন নয় এরূপ টমেটো ১০-১৫.৫° সে. তাপমাত্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। পাকা টমেটো ১৫.৫° সে. তাপমাত্রার ১০ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। টমেটো বিপণনে দূরে পাঠাতে হলে পরিপুষ্ট ও লালচেভাব হলে উঠাতে হয়। একসাথে একই ঝুড়িতে ২০ কেজির বেশি সাজানো উচিত নয়। বিপণন সমর ছাড়াও ঠান্ডা স্থানে রাখতে হয়।

ফলন হেক্টর প্রতি ভরা মৌসুমে ৩০-৪০ টন এবং অন্য সময় ১৫-২০ টন।

Content added By

এক কথায় উত্তর 

১. ১টি বেগুনের জাতের নাম লেখ । 

২. বেগুণ চাষে ১ হেক্টর জমিতে কত গ্রাম বীজ লাগে ? 

৩. বীজ বপনের আগে কত ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা ভালো? 

৪. টমেটোর ১টি জাতের নাম লেখ । 

৫.৩ × ১ মিটার বীজতলায় কত গ্রাম টমেটো বীজ বপন করা হয়? 

৬. উচ্চ তাপমাত্রায় টমেটো ফলে কী প্রভাব পড়ে ?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. বেগুণের ৫টি জাতের নাম লেখ ৷ 

২. বেগুণ চাষের হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ কত উল্লেখ কর। 

৩. টমেটোর সবিরত জাত সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাও । 

৪. টমেটোতে হরমোন ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা কর। 

রচনামূলক প্রশ্ন 

১. বেগুণ চাষে সার ব্যবহার ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে বর্ণনা কর । 

২. টমেটো চাষে অন্তবর্তী পরিচর্যা ও রোগ-পোকামাকড় দমন সম্পর্কে আলোচনা কর ।

Content added By
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.