SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা - NCTB BOOK

এ অধ্যায় শেষে আমরা ধারণা নিতে পারব- 

১. বন্দনা কী: 

২. ত্রিরত্ন বন্দনার নিয়মাবলি; 

৩. ত্রিরত্ন বন্দনার গুণ ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি; 

৪. সাত মহাস্থান বন্দনা; 

৫. বোধি বন্দনা; 

৬. বন্দনার গুরুত্ব বা প্রভাব।

Content added || updated By

চলো সবাই মিলে তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি ধর্মীয় গান/কীর্তন/বন্দনা করি। কোন ধর্মীয় গান/কীর্তন/ বন্দনাটি করব তা নিচে লিখি ফেলি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

Content added || updated By

ধর্মীয় গান/বন্দনা কীর্তনের সারমর্ম লিখি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

 

 

 

বন্দনা

 

বৌদ্ধদের ধর্মচর্চায় বন্দনার প্রয়োজনীয়তা অনেক। বন্দনা শব্দের অনেক আভিধানিক অর্থ হলো প্রণাম, প্রণতি, অভিবাদন, সম্মান, ভক্তি, শ্রদ্ধা, নমস্কার, পূজা ইত্যাদি। বৌদ্ধরা প্রতিদিন বিহারে এবং নিজ গৃহে বুদ্ধ প্রতিবিম্বের সামনে বন্দনা নিবেদন করেন। বৌদ্ধধর্মে নানা রকমের বন্দনা রয়েছে। যেমন- ত্রিরত্ম বন্দনা, ভিক্ষু বন্দনা, মাতৃ-বন্দনা, পিতৃ বন্দনা, বোধিবৃক্ষ বন্দনা, সপ্তমহাস্থান বন্দনা প্রভৃতি। বুদ্ধ ধর্ম ও সংঘের গুণরাশিকে স্মরণ করে যে বন্দনা করা হয়, তাকেবলে ত্রিরত্ন বন্দনা। বন্দনা করার প্রধান উদ্দেশ্য- মনের পবিত্রতা সৃষ্টি করা, শ্রদ্ধা নিবেদন করা, অশান্ত মন শান্ত করা এবং লোভ, দ্বেষ ও মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। একইসঙ্গে বন্দনার মাধ্যমে ত্রিরত্নের গুণরাশিকে অন্তরে জাগিয়ে তোলা সম্ভব। এই অধ্যায়ে আমরা কয়েকটি বন্দনা ও বন্দনার নিময় সম্পর্কে জানব।

 

ত্রিরত্ন বন্দনার নিয়ম

 

বিভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করে ত্রিরত্ন বন্দনা করতে হয়। বন্দনা বিহারে এবং বাড়িতে বুদ্ধমূর্তি বা ছবির সামনে করা যায়। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা- দুই বেলা বন্দনা করা ভালো। বন্দনা করার আগে ভালো করে মুখ-হাত ধুয়ে প্রয়োজনবোধে স্নানও করে নিতে হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরতে হয়। মনকে শান্ত করে সমাহিত চিত্তে এবং হাঁটু ভাঁজ করে করজোড়ে বসে বন্দনা করতে হয়।

 

ত্রিরত্ন বন্দনা (পালি)

 

বুদ্ধং বন্দামি

ধম্মং বন্দামি 

সংঘং বন্দামি 

অহং বন্দামি সব্বদা।

দুতিযম্পি বুদ্ধং বন্দামি 

দুতিযম্পি ধম্মং বন্দামি

দুতিযম্পি সংঘং বন্দামি

 অহং বন্দামি সব্বদা।

ততিযম্পি বুদ্ধং বন্দামি 

ততিযম্পি ধম্মং বন্দামি 

ততিযম্পি সংঘং বন্দামি 

অহং বন্দামি সব্বদা।

 

ত্রিরত্ন বন্দনা (বাংলা)

 

আমি বুদ্ধকে বন্দনা করছি 

আমি ধর্মকে বন্দনা করছি 

আমি সংঘকে বন্দনা করছি 

আমি সর্বদা বন্দনা করছি

দ্বিতীয়বার আমি বুদ্ধকে বন্দনা করছি 

দ্বিতীয়বার আমি ধর্মকে বন্দনা করছি 

দ্বিতীয়বার আমি সংঘকে বন্দনা করছি 

আমি সর্বদা বন্দনা করছি 

তৃতীয়বার আমি বুদ্ধকে বন্দনা করছি 

তৃতীয়বার আমি ধর্মকে বন্দনা করছি 

তৃতীয়বার আমি সংঘকে বন্দনা করছি 

আমি সর্বদা বন্দনা করছি

 

বুদ্ধের নয় গুণ বন্দনা (পালি):

 

ইতিপি সো ভগবা অরহং, সম্মাসম্বুদ্ধো, বিজ্ঞাচরণসম্পন্নো, সুগত, লোকবিদূ, অনুত্তরো, পুরিসদম্মা সারথি, সথা

দেবমনুস্মানং বুদ্ধো ভগবা'তি। 

বুদ্ধং জীবিতং পরিযন্তং সরণং গচ্ছামি।

যে চ বুদ্ধা অতীতা চ যে চ বুদ্ধা অনাগতা, 

পচ্চুপ্পন্না চ যে বুদ্ধা অহং বন্দামি সব্বদা।

নথি মে সরণং অঞ্চং বুদ্ধো মে সরণং বরং, 

এতেন সচ্চবজ্জেন হোতু মে জযমঙ্গলং। 

উত্তমঙ্গেন বন্দেহং পাদপংসু বরুত্তমং।

বুদ্ধে যো খলিতো দোসো বুদ্ধো খমতু তং মমং।

 

বুদ্ধের নয় গুণ (বাংলা):

 

ইনি সেই ভগবান, যিনি অর্হৎ, সম্যক সম্বুদ্ধ, বিদ্যা ও আচরণসম্পন্ন, সুগত বা সুপথ অনুগমনকারী, লোকবিদ, অদম্য পুরুষ দমনকারী সর্বশ্রেষ্ঠ সারথি, দেব এবং মানুষের শিক্ষক, বুদ্ধ এবং ভগবান নামে অভিহিত।

আমি আজীবন বুদ্ধের শরণ গ্রহণ করছি।

অতীত, অনাগত এবং বর্তমান বুদ্ধগণকে আমি সর্বদা বন্দনা করি।

বুদ্ধের শরণ ব্যতীত আমার আর অন্য কোনো শরণ নেই। এ সত্য বাক্য দ্বারা আমার জয়মঙ্গল হোক। উত্তম অঙ্গ দ্বারা বুদ্ধের পবিত্র পাদমূলে বন্দনা করছি। আমি যদি না বুঝে বুদ্ধের প্রতি কোনো রকম দোষ করে থাকি, হে বুদ্ধ আমায় ক্ষমা করুন।

 

ধর্মের ছয় গুণ বন্দনা (পালি):

 

স্বাস্থাতো ভগবতো ধম্মো, সন্দিষ্ঠিকো, অকালিকো, এহিপস্সিকো, ওপনযিকো, পচ্চত্তং বেদিতব্বো বিষ্ণুহীতি। ধম্মং জীবিতং পরিযন্তং সরণং গচ্ছামি।

যে চ ধম্মা অতীতা চ, যে চ ধম্মা অনাগতা, 

পচ্চুপ্তন্না চ যে ধম্মা, অহং বন্দামি সব্বদা।

নথি মে সরণং অঞ্চং, ধম্মো মে সরণং বরং, 

এতেন সচ্চবজ্জেন হোতু মে জযমঙ্গলং।

উত্তমঙ্গেন বন্দেহং, ধম্মঞ্চ তিবিধং বরং।

ধম্মে যো খলিতো দোসো, ধম্মো খমতু তং মমং।

 

ধর্মের ছয় গুণ বন্দনা (বাংলা):

 

ভগবানের ধর্ম উত্তমরূপে ব্যাখ্যাত, নিজে দেখার যোগ্য, কালাকালবিহীন, এসে দেখার যোগ্য, নির্বাণ প্রাপক এবং বিজ্ঞগণ কর্তৃক জ্ঞাতব্য।

আমি সারা জীবন ধর্মের শরণ গ্রহণ করছি।

অতীত, অনাগত এবং বর্তমান ধর্মসমূহকে আমি সর্বদা বন্দনা করি।

ধর্মের শরণ ব্যতীত আমার আর অন্য কোনো শরণ নেই। এ সত্য বাক্য দ্বারা আমার জয় হোক এবং মঙ্গল হোক।

আমি উত্তম অঙ্গ দ্বারা ত্রিবিধ শ্রেষ্ঠ ধর্মকে (পরিয়ত্তি, প্রতিপত্তি ও প্রতিভেদ) অবনত মস্তকে বন্দনা করছি। আমি যদি না বুঝে কোনো দোষ করে থাকি, হে ধর্ম আমায় ক্ষমা করুন।

 

সঙ্ঘের নয় গুণ (পালি):

 

সুপটিপন্নো ভগবতো সাবকসঙ্ঘো, উজুপটিপন্নো ভগবতো সাবকসঙ্ঙ্খো, জ্ঞাযপটিপন্নো ভগবতো সাবকসঙ্ঘো, সমীচিপটিপন্নো ভগবতো সাবকসঙ্ঙ্খো, যদিদং চত্তারি পুরিসযুগানি অষ্ঠপুরিসপুগ্নলা এস ভগবতো সাবকসঙ্ঘো, আহুনেয্যো, পাহনেয্যো, দচ্ছিনেয্যো, অঞ্জলিকরণীয্যো, অনুত্তরং পুঞ্চশ্বেত্তং লোকস্সা'তি।

সঙ্ঘং জীবিতং পরিযন্তং সরণং গচ্ছামি। 

যে চ সঙ্ঘা অতীতা চ, যে চ সঙ্ঘা অনাগতা, 

পচুপ্তন্না চ যে সঙ্ঘা, অহং বন্দামি সব্বদা।

নথি মে সরণং অঞ্চং, সঙ্ঘো মে সরণং বরং, 

এতেন সচ্চবজ্জেন হোতু মে জযমঙ্গলং। 

উত্তমঙ্গেন বন্দেহং, সঙ্ঘঞ্চ দ্বিবিধুত্তমং, 

সঙ্ঘে যো খলিতো দোসো, সঙ্ঘো খমতু তং মমং।

 

সঙ্ঘের নয় গুণ (বাংলা)

 

ভগবানের শ্রাবকসঙ্ঘ সুপ্রতিপন্ন, সহজ-সরল পথ প্রতিপন্ন, ন্যায় প্রতিপন্ন, সমীচীন প্রতিপন্ন (উত্তম পথ কিংবা উপযুক্ত পথ)। ভগবানের শ্রাবক চার যুগল (স্রোতাপত্তি, সকৃদাগামী, অনাগামী এবং অর্হৎ) এবং পুদাল দুই প্রকার (মার্গ ও ফল ভেদে) এ আট প্রকার পুনাল। ভগবানের শ্রাবকসঙ্ঘ আহ্বান যোগ্য, সৎকার যোগ্য, উত্তম খাদ্য ভোজ্য দ্বারা পূজার যোগ্য, অঞ্জলিবদ্ধ হয়ে করজোড়ে বন্দনার যোগ্য এবং লোকজগতে সর্বশ্রেষ্ঠ পুণ্যক্ষেত্র। আমি আজীবন সঙ্ঘের শরণ গ্রহণ করছি।

 

অতীত, অনাগত এবং বর্তমান সঙ্ঘকে আমি সর্বদা বন্দনা করি

সঙ্ঘের শরণ ব্যতীত আমার আর অন্য কোনো শরণ নেই। এ সত্য বাক্য দ্বারা আমার জয়মঙ্গল হোক।

আমি উত্তম অঙ্গ দ্বারা দ্বিবিধ (সম্মতি ও আর্যসংঘ) শ্রেষ্ঠ সঙ্ঘকে বন্দনা করছি। আমি যদি না বুঝে কোনো দোষ করে থাকি, হে সঙ্ঘ আমায় ক্ষমা করুন।

 

আহার বন্দনা (পালি):

 

অধিবাসেতু নো ভন্তে ভোজনং পরিকল্পিতং, 

অনুকম্পং উপাদায় পতিগণহাতু মুত্তমং।

বাংলা: প্রভু ভগবান আপনার জন্য সুসজ্জিত উত্তম খাদ্যদ্রব্য দ্বারা পূজা করেছি। অনুগ্রহ করে আপনি এই পূজিত খাদ্যদ্রব্য সাদরে গ্রহণ করুন।

প্রদীপ বন্দনা (পালি): ঘনসারগ্নদীত্তেন দীপেন তমধংসিনা,

তিলোকদীপং সম্বুদ্ধং পূজযামি তমোনুদং।

বাংলা: ঘনসার তৈলযুক্ত বস্তু দ্বারা অথবা অন্ধকারকে আলোকরশ্মি বিনাশপ্রাপ্ত জ্বলন্ত প্রদীপ দ্বারা ত্রিলোক প্রদীপস্বরূপ ভগবান সম্বুদ্ধকে পূজা করছি।

ধূপ বন্দনা (পালি): গন্ধ-সম্ভার যুত্তেন ধুপেনাহং সুগন্ধি না,

পূজয়ে পূজন্যেন্তং পূজা ভাজনং মুত্তমং।

বাংলা: গন্ধ সম্ভারযুক্ত এই সুগন্ধিপ্রাপ্ত ধূপের দ্বারা আমি সেই পূজনীয় উত্তম পূজ্য ভগবানকে পূজা করছি।

সপ্ত মহাস্থান পরিচিতি:

বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার পর বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষমূলে সাত দিন করে উনপঞ্চাশ দিন সেখানে অবস্থান করেন। কোনো সময় ধ্যানাবস্থায়, কোনো সময় চংক্রমণ অবস্থায়, আবার কোনো সময় তাঁর প্রতিষ্ঠিত ধর্মের বিমুক্তি সুখ অনুভব করেছেন। এই সাতটি স্থান সাত মহাস্থান নামে খ্যাত সেই সাতটি তীর্থস্থান দর্শন করার জন্য প্রতিবছর বৌদ্ধরা বুদ্ধগয়ায় যায়। নিচে তীর্থস্থানগুলোর বন্দনা পালি ও বাংলাসহ দেওয়া হলো :

পালি: পঠমং বোধিপলঞ্জং, দুতিযং অনিমিসম্পি চ. ততিযং চক্রমণংসেষ্টং, চতুর্থং রতনঘরং, পঞ্চমং অজপালঞ্চ, মুচলিন্দঞ্চ ছষ্টমং, সত্তমং রাজাযতনং, বন্দে তং বোধিপাদপং।

বাংলা: প্রথম বোধিপালঙ্ক, দ্বিতীয় অনিমেষ, তৃতীয় চংক্রমণ, চতুর্থ রতনঘর, পঞ্চম অজপাল ন্যাগ্রোধ বৃক্ষ, ষষ্ঠ মুচলিন্দ, সপ্তম রাজায়তনসহ এই সাতটি স্থানকে বোধিবৃক্ষের সামনে অবনত শিরে বন্দনা করছি।

বোধিপালঙ্ক স্থান: তথাগত বুদ্ধ বোধিবৃক্ষের নিচে যে আসনে বসে কঠোর ধ্যান করেছিলেন, সে আসনকে বলা হয় বজ্রাসন বা বোধিপালঙ্ক।

অনিমেষ স্থান: বুদ্ধগয়ায় বুদ্ধ সাতদিন ধরে বোধিবৃক্ষের দিকে তাকিয়ে একপলকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটি বজ্রাসন হতে উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত এবং অনিমেষ চৈত্য নামে পরিচিত।

চংক্রমণ স্থান: বোধিপালঙ্ক ও অনিমেষ চৈত্য স্থানের মাঝামাঝি এটির অবস্থান। এখানে বুদ্ধ সব সময় চংক্রমণ করতেন। তাই স্থানটি চংক্রমণ নামে খ্যাত।

রতনঘর স্থান: বোধিপালঙ্কের উত্তর-পশ্চিম পাশের একটু দূরে রতনঘর স্থানটি অবস্থিত। বুদ্ধ ধ্যান করার জন্য এই ঘরে অবস্থান করতেন।

অজপাল ন্যাগ্রোধ স্থান: এটি বোধিপালঙ্কের পূর্ব দিকে এবং অনিমেষ চৈত্যের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। স্থানটি ছিল ছাগল পালকদের বিচরণক্ষেত্র। বুদ্ধ এখানেও কোনো কোনো সময় বসে ধ্যান করতেন।

মুচলিন্দ স্থান: বোধিপালঙ্কের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত স্থানের নাম মুচলিন্দ। নাগরাজার বিচরণ ক্ষেত্র ছিল বিধায় এটি মুচলিন্দ রাজার আবাসস্থল হিসাবে খ্যাত। বুদ্ধের ধ্যানের সময় নাগরাজ বিভিন্নভাবে উপদ্রব থেকে রক্ষা করেছিলেন বলে জানা যায়।

রাজায়তন স্থান: বোধিপালঙ্কের কিছু দূরে দক্ষিণ-পূর্বে এবং মুচলিন্দ হ্রদ পাশে এটির অবস্থান। বুদ্ধ এখানে ধ্যান করতেন এবং বিমুক্তি সুখ অনুভব করতেন।

বোধি বন্দনা: যস্পমূলে নিসিন্নো'ব সব্বারি বিজযংঅকা, পত্তো সৰ্ব্বঞ্চতং সথা বন্দেতং বোধিপাদপং, ইমে হেতে মহাবোধি লোকনাথেন পূজিতং, অহম্পি তে নমস্সামি বোধিরাজ নমথুমে।

বাংলা: সর্বজ্ঞ ভগবান নামে যিনি খ্যাত সেই তথাগত বুদ্ধ মহাবোধি বৃক্ষকে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, আমিও সেই বোধিরাজকে পূজা করছি।

Content added || updated By

ত্রিরত্ন বন্দনাটিতে কিছু নতুন শব্দ পাবে। সেসব নতুন শব্দ খুঁজে বের করো এবং অর্থ বের করে লেখো। বিভিন্ন উৎস থেকে সেগুলোর অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করো অথবা প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নাও।

 

নতুন শব্দ

অর্থ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

Content added || updated By

ত্রিরত্ন বন্দনার মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।

মূলভাব

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

 

 

 

 

বন্দনার গুরুত্ব

 

মানুষের জীবনে বন্দনার প্রভাব অসীম। বন্দনার অনেক সুফল আছে। বন্দনা করার মাধ্যমে মন পবিত্র হয়, পুণ্য লাভ হয় এবং চিত্ত শুদ্ধ হয়। একইসঙ্গে মানবিক গুণ বিকশিত হয়। মানুষ অকুশল কর্ম থেকে দূরে থাকে এবং সদাচরণে উৎসাহিত হয়। বন্দনার মাধ্যমে মন শান্ত থাকে, ধৈর্য বাড়ে, স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় এবং নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করা যায়। নিয়মিত বন্দনা করলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও বন্ধুত্বের মনোভাব সুদৃঢ় হয়। বন্দনার মাধ্যমে লোভ-দ্বেষ-মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়।

Content added || updated By

ত্রিরত্ন বন্দনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর সাত দিনের জন্য নিচের কার্যক্রম ছকটি পূরণ করি।

 

১ম দিন

 

 

বাকি দিনগুলোর কার্যক্রম পত্র নিজে বানিয়ে নাও অথবা শিক্ষক থেকে নিয়ে নাও। কার্যক্রম পত্রটি বই এর পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি।

Content added || updated By

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

 

ফিরে দেখা: নিচের তালিকার সকল কাজ কি আমরা শেষ করেছি? হ্যাঁ হলে হ্যাঁ ঘরে এবং না হলে না এর ঘরে (✔) চিহ্ন দাও।

অংশগ্রহণমূলক কাজ নং

সম্পূর্ণ করেছি

হ্যাঁ

না

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Content added || updated By