SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা - বুদ্ধের জীবনকথা | NCTB BOOK

ভিডিও চিত্রটিতে ভগবান বুদ্ধের জীবনী সম্পর্কে নতুন কী কী তথ্য জেনেছ, যা তোমার আগে জানা ছিল না, সে সম্পর্কে লেখো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

 

তোমরা ইতোমধ্যে বুদ্ধ সম্পর্কে জেনেছ। আগের শ্রেণিতে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বুদ্ধের জীবন পরিক্রমা সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করা হলো। 'বুদ্ধ' শব্দে অনন্ত জ্ঞান ও গুণের সমষ্টি বোঝায়। সে জ্ঞান ও গুণ বহুমাত্রিক; মানবের ইহকাল ও পরকাল বিষয়ে সামগ্রিক জ্ঞান। অমিত গুণসম্পন্ন মহাপুরুষ ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। তিনি 'বুদ্ধ' হিসেবে জন্মগ্রহণ করেননি। বুদ্ধত্ব তাঁকে অর্জন করতে হয়েছিল। তাঁর জন্ম হয়েছিল প্রাচীন ভারতের কপিলাবস্তু রাজ্যের রাজপুত্র হিসেবে। এই রাজপুত্রই আপন অধ্যবসায়, প্রচেষ্টা ও অপরিসীম ত্যাগতিতিক্ষার মাধ্যমে বুদ্ধত্বে উপনীত হয়েছিলেন। সে জন্য বলা হয়-সিদ্ধার্থ থেকে বুদ্ধ এক মহাজীবনের ইতিহাস।

 

সিদ্ধার্থের বংশ পরিচয়

 

অনেক বছর আগের কথা। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে হিমালয়ের পাদদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে ক্ষত্রিয়দের একটি রাজ্য ছিল। সে রাজ্যের নাম ছিল কপিলাবস্তু। রাজ্যের রাজা ছিলেন শাক্যবংশীয়। নাম শুদ্ধোদন। রানির নাম মহামায়াদেবী বা মায়াদেবী। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। বহু সাধনার পর তাঁদের একটি সন্তানের জন্ম হয়। সেই শিশুপুত্রের নাম রাখা হয় কুমার সিদ্ধার্থ। এছাড়া শাক্যবংশে জন্মগ্রহণ করার কারণে শাক্যসিংহ নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কুমার সিদ্ধার্থের মামার বাড়ি ছিল কপিলাবস্তুর পাশের অঞ্চল দেবদহে। মায়াদেবী পিত্রালয়ে যাওয়ার পথে লুম্বিনী কাননে কুমার সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্ম হয়। কপিলাবস্তু থেকে কয়েক মাইল দূরে লুম্বিনী কানন।

বর্তমান বিশ্বের ভৌগোলিক পরিচয়ে লুম্বিনী নেপালের অন্তর্গত। এটি বৌদ্ধদের স্বীকৃত চার মহাতীর্থ স্থানের একটি। কুমার সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্মের ঐতিহাসিক স্মৃতির কারণে লুম্বিনী বিশ্ববৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় ও আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের এ স্থানের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। লুম্বিনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ বিহার আছে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেও লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Content added || updated By
Promotion