SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা - সূত্র ও নীতিগাথা | NCTB BOOK

ধর্মীয় বই, ইন্টারনেট বা অন্যন্য উৎস থেকে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দলীয়ভাবে করণীয় মৈত্রী সূত্র বিষয়ে তথ্যবৃক্ষ তৈরি করি।

করণীয় মৈত্রী সূত্রের গুরুত্ব

করণীয় মৈত্রী সূত্রের নৈতিক শিক্ষা হলো, প্রত্যেক জীবের প্রতি মৈত্রীভাব পোষণ করা। কোনো জীবকে অবহেলা না করা। কারও অমঙ্গল কামনা না করা। ঘুমে, জাগরণে, ধ্যানে সব সময় সকল জীবের প্রতি মৈত্রী ভাবনা করা উচিত। কারণ, মৈত্রী ভাবনা চিত্তকে সমাহিত করে। কায়-মন-বাক্য সংযত করে। বৈরিতা বা শত্রুতা দূর করে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। নিজের জীবনের সঙ্গে তুলনা করে সকল জীবের প্রতি মৈত্রীভাবাপন্ন হতে। শিক্ষা দেয়। অস্থির বা স্থির, দীর্ঘ বা বড়, মধ্যম বা হ্রস্ব, ছোট বা স্কুল, দৃশ্য-অদৃশ্য, কাছের-দূরের, জন্মগ্রহণ করেছে বা করবে এরকম সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলে এবং সর্বদা মঙ্গলকামনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। বঞ্চনা ও অবজ্ঞা করা থেকে বিরত রাখে। হিংসা পরিত্যাগ ও ক্রোধ দমন করতে সাহায্য করে। সুখে নিদ্রা যায়, সুখে ঘুম থেকে জাগে, পাপ স্বপ্ন দেখে না, মনুষ্য-অমনুষ্য সকলের প্রিয় হয়, তাঁর চিত্ত সমাধিস্থ হয়। অজ্ঞানে মৃত্যুবরণ করে না, মৃত্যুর পর ব্রহ্মলোকে উৎপন্ন হয়। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ যথার্থরূপে অনুসরণে প্রেরণা যোগায়। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণকারী ব্যক্তি কায়-মন-বাক্যে কোনো পাপ করে না। ফলে তাঁদের দ্বারা কোনো অকুশল কর্ম সম্পাদনও সম্ভব হয় না। নিজে এবং তাঁর সঙ্গে বসবাসকারীগণ নিরুপদ্রব বা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। এভাবে মৈত্রীভাবনাকারী তৃষ্ণা নিরোধ করে পুনর্জন্ম রোধ করেন এবং নির্বাণ লাভ করতে সক্ষম হন।

Content added || updated By
Promotion