দোহাজারীর আলুচাষি নাসির আরও ৪০ জন আলুচাষি নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো প্রয়োজনীয় সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় এবং আলু সংরক্ষণ ও বিক্রয় সুবিধালাভ করা। উক্ত সমবায় গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সমবায় নিবন্ধক তার সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল নাসিরকে প্রদান করেন। উত্ত দলিল সমিতির মোট শেয়ারসংখ্যা ১,০০০ উল্লেখ আছে। নাসির ২০০ শেয়ার ক্রয় করেন। আগামী নির্বাচনে সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার জন্য তিনি আরও শেয়ার ক্রয়ের পরিকল্পনা করছেন।
সদস্যদের প্রকৃতির ভিত্তিতে উদ্দীপকের সমবায় সমিতিটির ধরন হলো উৎপাদক সমবায় সমিতি।
কতিপয় উৎপাদক নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যকে অধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোনো সমবায় সমিতি গড়ে তুললে তাকে উৎপাদক সমবায় সমিতি বলে। কমবিত্তসম্পন্ন এ সকল উৎপাদক পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ে নানান অসুবিধায় ভোগে। মহাজন, মধ্যস্বব্যবসায়ী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের দৌরাত্ম্যে এরা দিশেহারা থাকে। এ সকল অসুবিধা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে ক্ষুদ্র উৎপাদকগণ এ ধরনের সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্দীপকে দোহাজারীর আলুচাষি নাসির আরও ৪০ জন আলুচাষি নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো প্রয়োজনীয় সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় এবং আলু সংরক্ষণ ও বিক্রয়ে সুবিধা লাভ করা। যেহেতু কতিপয় আলুচাষি (উৎপাদক) নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উৎপাদন ও বিক্রয়কার্যকে অধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সমবায় সমিতিটি গড়ে তুলেছে। তাই বলা যায়, সদস্যদের প্রকৃতির ভিত্তিতে উদ্দীপকের সমবায় সমিতিটির ধরন হলো উৎপাদক সমবায় সমিতি।