পাবনার বিল্লালসহ ৫০ জন তাঁতি মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। তিন বছরে তাদের মূলধন দাঁড়ায় ২০ লক্ষ টাকা। চতুর্থ বছরে মোট মুনাফা ১,০০,০০০ টাকা হতে ৩৫,০০০ টাকা তাদের সংরক্ষিত তহবিলে এবং ১৫,০০০ টাকা উন্নয়ন তহবিলে জমা করেন। অবশিষ্ট টাকা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে নিলেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত সমবায় সংগঠনটিতে বিভিন্ন তহবিলে (সংরক্ষিত তহবিল ও উন্নয়ন তহবিল) টাকা সংরক্ষণের পরিমাণ আইন মোতাবেক ন্যূনতম পরিমাণের চেয়েও অধিক যা সদস্যদের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সমর্থনযোগ্য।
সমবায়ের বিধান অনুযায়ী অর্জিত মুনাফার একটা নির্দিষ্ট অংশ বাধ্যতামূলক সংরক্ষণকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ এবং এরূপ নীতিকে সঞ্চিতি সংরক্ষণের নীতি বলে। ২০০১ সালের সমবায় আইনের বিধান অনুযায়ী অর্জিত মুনাফার ১৫% সংরক্ষিত (Reserve) তহবিলে এবং ৩% উন্নয়ন (Development) তহবিলে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে উল্লেখ্য যে, সদস্যদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ন্যূনতম হারের চেয়েও বেশি অর্থ তহবিলে রাখা যায় যা আইনের লঙ্ঘন নয়।
উদ্দীপকে পাবনার বিল্লালসহ ৫০ জন তাঁতি মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। চতুর্থ বছরে মোট মুনাফা ১,০০,০০০ টাকা হতে ৩৫,০০০ টাকা তাদের সংরক্ষিত তহবিলে এবং ১৫,০০০ টাকা উন্নয়ন তহবিলে জমা করেন। কিন্তু সমবায় আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত তহবিলে ন্যূনতম জমা রাখতে হবে অর্জিত মুনাফার ১৫% অর্থাৎ (১,০০,০০০ × ১৫%) = ১৫,০০০ টাকা। আর উন্নয়ন তহবিলে জমা রাখতে হবে অর্জিত মুনাফার ৩% অর্থাৎ (১,০০,০০০ × ৩%) = ৩,০০০ টাকা। সংরক্ষিত তহবিলে ন্যূনতম ১৫% ও উন্নয়ন তহবিলে ন্যূনতম ৩% রাখার কথা, তারা রেখেছে যথাক্রমে ৩৫% ও ১৫%। তবে সদস্যদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ন্যূনতম হারের বেশি তহবিল সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
সুতরাং উদ্দীপকে বর্ণিত সংরক্ষিত তহবিলে টাকা সংরক্ষণের পরিমাণ হবে ন্যূনতম ১৫,০০০ টাকা এবং উন্নয়ন তহবিলে সংরক্ষণের পরিমাণ হবে ন্যূনতম ৩,০০০ টাকা। তবে সদস্যদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ন্যূনতম হারের চেয়েও অধিক তহবিল সংরক্ষণ করা যেতে পারে।