উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' চিত্রের গর্ভাশয়ে জননকোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। পরাগায়নের মাধ্যমে ফুলের গর্ভাশয়ে জনন কোষ সৃষ্টি হতে পারে। ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু একই ফুলের অথবা একই
জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগরায়ন বলে। ফুলের পরাগায়নের ফলে পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে পতিত হয় এবং পরাগরেণু হতে একটি পরাগনালিকা সৃষ্টি হয়। নালিকাটি গর্ভদন্ডের
ভেতর দিয়ে ক্রমশ গর্ভাশয়ের দিকে বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ডিম্বকের ভূণথলিতে পৌছে। ভূণথলিতে পৌছানোর পর নালিকার অগ্রভাগ ফেটে যায় এবং পুংজনন কোষ দুটি মুক্ত হয়। এর একটি
গর্ভাশয়ের ভিতরে বিদ্যমান ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করে। অপর পুংজনন কোষটি গৌণ নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে শস্য কোষ সৃষ্টি করে। জাইগেট কোষটি স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ। এর প্রথম বিভাজনে দুটি কোষ সৃষ্টি হয়। ডিম্বকরন্দ্রের দিকের কোষকে ভিত্তি কোষ এবং ভ্রূণথলির কেন্দ্রের দিকের কোষকে এপিক্যাল কোষ বলা হয়। একই সাথে এ কোষ দুটির বিভাজন চলতে থাকে। ধীরে ধীরে এপিক্যাল কোষটি একটি ভূণে পরিণত হয়। একই সাথে ভিত্তি কোষ থেকে ভ্রূণধারক উৎপন্ন হয়। ক্রমশ বীজপত্র, ভুণমূল ও ভূণকান্ডের সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে গৌণ নিউক্লিয়াসটি শস্যটিস্যু উৎপন্ন করে। পরিণত অবস্থায় ডিম্বকটি শস্য ও ভ্রূণসহ বীজে পরিণত হয়। ঐ বীজ অঙ্কুরিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্পোরোফাইটের সৃষ্টি করে আর এভা করে। আর এভাবেই ফুলের গর্ভাশয়ে স্পোরোফাইট সৃষ্টির মাধ্যমে জনন কোষের সৃষ্টি হয়।