উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রের P অংশটি হলো ফুলের পুংস্তবক। পুংস্তবক ফুলের তৃতীয় এবং একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ। কারণ পুংস্তবক সরাসরি প্রজননে অংশ নেয়। এই স্তবকের প্রতিটি অংশকে পুংকেশর বলা হয়। পুংকেশরের দণ্ডের মতো অংশকে পুংদণ্ড এবং শীর্ষের থলির মতো অংশকে পরাগথলি বলা হয়। পরাগথলিতে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। তাই পরাগরেণু থেকেই পরবর্তীতে পুং জননকোষ তৈরি হয় এবং জনন কাজে অংশ নেয়। প্রজননে অংশ নেওয়ার আগে পরাগায়ন সংঘটিত হওয়া জরুরি। পুংস্তবকের পরাগরেণু পরাগায়নে অংশগ্রহণ করে। পরাগায়ন হলো পরাগ সংযোগ। অর্থাৎ একটি ফুলের পরাগরেণু একই ফুলের বা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়াই হলো পরাগায়ন। অর্থাৎ শুধু স্ত্রীস্তবক কিংবা শুধু পুংস্তবক থাকলেই পরাগায়ন হবে না। পরাগায়নের জন্য দুটো স্তবকের উপস্থিতিই আবশ্যক। আর পরাগায়ন না ঘটলে নিষেকও সংঘটিত হবে না। তাই, এই পরাগায়ন সংঘটিত হওয়ার জন্য স্ত্রীস্তবকের পাশাপাশি পুংস্তবকের অংশগ্রহণও জরুরি।
অতএব, উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, পুংস্তবক ছাড়া উদ্ভিদে পরাগায়ন অসম্ভব।