নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানীয় সরকারের সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের গঠনগত কিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানীয় সরকারের অন্তর্ভুক্ত হলো ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন। ইউনিয়ন পরিষদ ১, জন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন নির্বাচিত সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে ৩ জন মহিলা সদস্য নিয়ে গঠিত। ১ জন চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান ও পৌরসভার (যদি থাকে) মেয়র এবং ৩ জন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হয়। ১ জন মেয়র, প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন করে কাউন্সিলর এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ড থেকে একজন করে মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। ১ জন মেয়র, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে কাউন্সিলর এবং মোট ওয়ার্ডের এক তৃতীয়াংশের সমসংখ্যক আসন থেকে একজন করে মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়।
পার্বত্য জেলা পরিষদ ১ জন চেয়ারম্যান, ৩০ জন সাধারণ সদস্য, ৩ জন মহিলা সদস্যসহ সর্বমোট ৩৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। সদস্যদের সকলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সদস্যদের মধ্যে পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে। জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী কার সংখ্যা কত তা নির্ধারিত হবে। অপরদিকে, মহিলা আসন ব্যতীত পাহাড়িদের জন্য সংরক্ষিত আসন বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বণ্টন করা হবে। ৩ জন মহিলা সদস্যের মধ্যে ২ জন হবেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এবং ১ জন হবেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাইরের বা বাঙালি। চেয়ারম্যান অবশ্যই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্য থেকে হবেন।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, পার্বত্য জেলা পরিষদের গঠনের সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানীয় সরকারের গঠনগত কিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে।