বেগম কামরুন নাহার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার এলাকা থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে তিনি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে সংরক্ষিত আসন ছাড়াও অন্যান্য আসনে নারীদের প্রতিযোগিতা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। পরে তিনি একটি নারী শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন । সেখানে নারীদের সেলাই শিক্ষা, বাঁশ ও বেতের কাজ, হাঁস-মুরগি পালন ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করেন । তিনি শিক্ষিত মেয়েদেরকে সরকারি বেসরকারি চাকরিসহ যেকোনো পেশায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন ।
‘নারী শিক্ষা কেন্দ্রে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে ।” - পক্ষে যুক্তি দাও ।
(উচ্চতর দক্ষতা)নারী শিক্ষা কেন্দ্রে গৃহীত পদক্ষেপ নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে'- উক্তিটি যথার্থ।
অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বেগম কামরুন নাহার একটি নারী শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে নারীদের সেলাই শিক্ষা, বাঁশ ও বেতের কাজ, হাঁস-মুরগি পালন ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করেন। নারী শিক্ষাকেন্দ্রে গৃহীত এসব পদক্ষেপ নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে।
নারীরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সেলাই শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেরা অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এছাড়া তারা অন্যদেরও সেলাই শিক্ষা দিতে পারবে। ফলে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবে। বাঁশ ও বেতের কাজ শিখে ঘরে বসেই তারা বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। এগুলো বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। হাঁস-মুরগি পালন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ লাভ করে তারা বাড়িতেই খামার তৈরি করতে পারবে। এই খামারই তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবে। কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে তারা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বিষয়ক কাজ করতে পারবে। যা তাদেরকে আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, নারী শিক্ষাকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নারীরা আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে নিয়োজিত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে। এতে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হবে এবং পরিবারকে সাহায্য করতে পারবে।