Academy

সৃজনশীল প্রশ্ন ১. রাফিন ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার আব্বা সুঠাম দেহের অধিকারী। রাফিন লক্ষ করছে, তার আব্বার দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে শুকাতে দেরি হচ্ছে, চামড়া শুকিয়ে যাচ্ছে, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এসব কারণে রাকিনের বাব্বা ডাক্তার শরণাপন্ন হন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মেনেচলার উপদেশ দিলেন।

রাকিনের আব্বা কী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।

Created: 1 year ago | Updated: 1 week ago
Updated: 1 week ago

রাফিনের আব্বার উপসর্গগুলির ভিত্তিতে বলা যায় যে তিনি সম্ভবত ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

ব্যাখ্যা:

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) রোগ যেখানে দেহে ইনসুলিন নামক হরমোনের কার্যকারিতা কমে যায় বা দেহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  1. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্তে উচ্চ গ্লুকোজের মাত্রা ক্ষত নিরাময়ে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে ক্ষত শুকাতে বেশি সময় লাগে।
  2. চামড়া শুকিয়ে যাওয়া: ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
  3. সহজেই ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়া: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি পায় না, ফলে সহজেই ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অপরিহার্য। ডাক্তার সাধারণত রোগীদের জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে থাকেন যাতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

1 week ago

হৃদযন্ত্রের যত কথা

মানুষ ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণির প্রাণীদের দেহে যেসব তন্ত্র আছে, তার মধ্যে রক্ত সংবহনতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই তন্ত্রের মাধ্যমে দেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের রসদ সারা শরীরে পরিবাহিত হয়। রন্তু সংবহনতন্ত্র গঠিত হয়েছে রুন্তু, হৃৎপিণ্ড ও রক্তবাহিকা নিয়ে। হৃৎপিণ্ড হচ্ছে হৃৎপেশি দিয়ে তৈরি ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতো একটি অঙ্গ। এর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়। আকার, আকৃতি ও কাজের ভিত্তিতে রক্তবাহিকা তিন রকম— ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা। রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃৎপিণ্ড মানব ও অন্য সকল প্রাণীদেহে পাষ্পের মতো কাজ করে। ধমনি দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়। সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। ধমনি ও শিরার সংযোগস্থল জালিকাকারে বিন্যস্ত হয়ে কৈশিক জালিকা গঠন করে। আমরা এ অধ্যায়ে সন্তু এবং রক্ত সঞ্চালনের যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারব।

 

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা :

  • রক্তের উপাদান এবং এদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের স্থানান্তরের নীতি ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তে বিঘ্নতা/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ এবং এর ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • রপ্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালনে কোলেস্টেরলের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • কোলেস্টেরলকে প্রত্যাশিত সীমায় রাখার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রয়ে সুগারের ভারসাম্যতার কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার উপায় বর্ণনা করতে পারব।

 

Promotion