(১) সাপ ধরার মন্ত্র শিখে মৃত্যুঞ্জয় মস্তবড় সাপুড়ে হয়ে উঠল। একদিন সাপ ধরতে গেলে, বিষধর সাপের দংশনে সে আহত হয়। তার শ্বশুরের দেওয়া সব তাবিজ- কবজ তার হাতে বেঁধে দেওয়া হলো আর সেই সাথে বহু সংখ্যক ওঝা মিলে বহু দেব-দেবীর দোহাই এবং ঝাড়ফুঁক করেও তাকে বাঁচাতে পারল না ।
(২) শত্রুর প্রলোভনে পড়ে ইমাম হাসান (রঃ)-কে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী জায়েদা বিষ প্রয়োগ করেন। মৃত্যুপথযাত্রী ইমাম হাসান (রঃ) বিষয়টি জানতে পেরেও তা গোপন রাখেন। তাঁর অনুজ বিষদাতার নাম জানতে চাইলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতে জানতে পারলেও তাকে ক্ষমা করতে বলেন ।
(৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তোতাকাহিনী' পরে রাজা শখ করে একটি তোতা পাখি কিনে সেটির শিক্ষার ব্যবস্থা করলেন। শিক্ষার জন্য বিখ্যাত সব পণ্ডিত নিয়োগ দেওয়া হলো। মহাসমারোহে তোতার শিক্ষাদান চলতে থাকল। পণ্ডিতেরা সেটিকে জোর করে পুস্তকের পাতা মুখের মধ্যে পুরে দিতে থাকল। অবশেষে একদিন সেটি মারা গেল ।
(৪) বাংলা শিক্ষক শ্রেণিতে 'সাহিত্যের রূপ ও রীতি' প্রকল্পটি পড়াতে গিয়ে সাহিত্যের একটি নবীন শাখা নিয়ে কথা বলছিলেন। এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “এতে সকল প্রকার বাহুল্য বর্জন করা হয়। একজন আলঙ্কারিক এটিকে একটি ফুলের সাথে তুলনা করেছেন, যাতে পাতা বা কাঁটার কোনো স্থান নেই ।"