জাতীয় গণগ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায়। এখানে প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, প্রামাণ্য দলিল, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক মানচিত্র, চিত্রকর্ম, চিঠিপত্র, এবং ফটোগ্রাফ সংরক্ষিত থাকে। এছাড়াও, গবেষকদের জন্য তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিক প্রতিবেদনও উপলব্ধ থাকে। এসব উপাদান ইতিহাসের গভীরে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। নয় মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের দেশ শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের, গৌরবের কাহিনি। বাঙালি জাতির এমন অনেক গৌরবের কাহিনি আছে। সেসব জানতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে, চর্চা করতে হবে। ইতিহাস সত্য ঘটনা উপস্থাপন করে। ইতিহাস সম্পর্কে গভীর অনুসন্ধান করতে হলে ইতিহাসের উপাদান, প্রকারভেদ সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।
এজন্য আগে আমাদের নামতে হবে ইতিহাস কী? জানতে হবে কত ধরনের ইতিহাস লেখা যার যা ইতিহাস কত ধরনের হয়। ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তাই বা কী? এই অধ্যায়ে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং
এই অধ্যায় শেষে আমরা -
• ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর ব্যাখ্যা করতে পারব;
• ইতিহাসের উপাদান ও প্রকার বর্ণনা করতে পারব;
• ইতিহাস পাঠের প্রজোজনীয়তা আলোচনা করতে পারব;
• ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী হব ।