গ বিভাগ—উপন্যাস
ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ডুবে মারা যায় আলমের মা-বাবা। ঘটনাক্রমে বাড়িতে থাকায় বেঁচে যায় আলম ও তার ছোট বোন সাদিয়া। অসহায় আলম বোনের মুখের দিকে তাকিয়ে মোটর গ্যারেজে কাজ নেয়। ঘটনা শুনে গ্যারেজের মালিকের স্ত্রী তাদেরকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তাদের আর গ্যারেজে কাজ করতে হয়নি। মালিক ও তাঁর স্ত্রীর স্নেহাদরে তারা দুজনেই এখন লেখাপড়া শিখছে।
পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ থেকে নিচিন্তপুরবাসীকে রক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন স্কুল শিক্ষক জালাল মিয়া। তিনি গেরিলা বাহিনী গঠন করে পাক সেনাদের চেকপোষ্ট ও ক্যাম্প ইত্যাদিতে ঝটিকা আক্রমণ করে সরে পড়তেন। গেরিলা বাহিনীর দুঃসাহসিক বিভিন্ন অপারেশন পাক সেনাদের ঘুম হারাম করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাক হানাদার বাহিনী জালাল মিয়ার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এমন কি তাঁর বৃদ্ধ পিতা-মাতাসহ স্বজনদের গুলি করে হত্যা করে। স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে জালাল মিয়া সিদ্ধান্ত নেন যে, বিজয়ের নিশান উড়িয়েই তিনি গ্রামে ফিরবেন।