Loading [MathJax]/jax/output/CommonHTML/jax.js
hsc

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি দ্বারা উদ্ভিদের নির্যাস থেকে রঙিন উপাদান পৃথকীকরণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন রসায়ন- প্রথম পত্র | - | NCTB BOOK
104
104

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি দ্বারা উদ্ভিদের নির্যাস থেকে রঙিন উপাদান পৃথকীকরণ

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি হল একটি শক্তিশালী পদ্ধতি যার মাধ্যমে মিশ্রণ থেকে বিভিন্ন উপাদানকে পৃথক করা যায়। বিশেষ করে উদ্ভিদের নির্যাস থেকে বিভিন্ন রঙিন উপাদান, যেমন ক্লোরোফিল, ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি, পৃথক করতে এই পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

কীভাবে কাজ করে?

একটি কলাম ক্রোমাটোগ্রাফিতে একটি লম্বা, সংকীর্ণ কলাম থাকে যা একটি নির্দিষ্ট ধরনের অধিশোষক পদার্থ (যেমন সিলিকা জেল, অ্যালুমিনা) দিয়ে পূর্ণ থাকে। এই অধিশোষক পদার্থের কণাগুলির উপর বিভিন্ন যৌগের আলাদা আলাদা আকর্ষণ শক্তি থাকে।

  • নমুনা প্রয়োগ: প্রথমে উদ্ভিদের নির্যাসকে একটি দ্রাবকে দ্রবীভূত করে কলামের উপরের অংশে প্রয়োগ করা হয়।
  • অধিশোষণ: নির্যাসের বিভিন্ন উপাদানগুলি অধিশোষক পদার্থের কণাগুলির সাথে বিভিন্ন মাত্রায় আবদ্ধ হয়।
  • এলুশন: একটি উপযুক্ত দ্রাবক (এলুয়েন্ট) কলামের উপর দিয়ে প্রবাহিত করা হয়। এই দ্রাবক অধিশোষক পদার্থের সাথে আবদ্ধ উপাদানগুলিকে ধীরে ধীরে মুক্ত করে এবং কলামের নিচে নিয়ে আসে।
  • পৃথকীকরণ: বিভিন্ন উপাদানগুলির অধিশোষক পদার্থের সাথে আকর্ষণ শক্তি ভিন্ন হওয়ায় তারা কলামের নিচে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পৌঁছায়। এভাবে তারা একে অপর থেকে পৃথক হয়।
  • সংগ্রহ: কলামের নিচে থেকে পৃথক পৃথক ফ্লাস্কে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করা হয়।

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফির সুবিধা

  • উচ্চ পৃথকীকরণ ক্ষমতা: খুবই জটিল মিশ্রণ থেকেও বিভিন্ন উপাদানকে পৃথক করা যায়।
  • অল্প পরিমাণ নমুনা দিয়েই কাজ করা যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের যৌগ পৃথক করা যায়।
  • পুনরাবৃত্তিযোগ্য ফলাফল দেয়।

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফির ব্যবহার

  • উদ্ভিদ রঙ্গক পৃথকীকরণ: ক্লোরোফিল, ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি উদ্ভিদ রঙ্গক পৃথক করতে।
  • জৈব যৌগ পৃথকীকরণ: বিভিন্ন জৈব যৌগ, যেমন অ্যামিনো এসিড, শর্করা ইত্যাদি পৃথক করতে।
  • ঔষধ শিল্প: নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং তাদের শুদ্ধিকরণে।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান: পরিবেশের বিভিন্ন নমুনা থেকে দূষণকারী পদার্থ পৃথক করতে।

কলাম ক্রোমাটোগ্রাফির ধরন

  • স্বাভাবিক কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি: এই পদ্ধতিতে অধিশোষক হিসেবে সিলিকা জেল বা অ্যালুমিনা ব্যবহার করা হয়।
  • আয়ন বিনিময় ক্রোমাটোগ্রাফি: এই পদ্ধতিতে অধিশোষক হিসেবে আয়ন বিনিময় রজন ব্যবহার করা হয়।
  • আকার বর্জন ক্রোমাটোগ্রাফি: এই পদ্ধতিতে অধিশোষক হিসেবে ছিদ্রযুক্ত জেল ব্যবহার করা হয়।

উদ্ভিদের নির্যাস থেকে রঙিন উপাদান পৃথক করার জন্য সাধারণত স্বাভাবিক কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

AI2O3
C3H5OH
C6H6
S2O(Con)
Promotion