টয়লেটে সুগন্ধি যোগ করার রসায়ন

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
4

টয়লেটে সুগন্ধি যোগ করার রসায়ন


১. সুগন্ধির রাসায়নিক গঠন
সুগন্ধি সাধারণত বিভিন্ন প্রকার এস্টার (ester), অ্যালডিহাইড (aldehyde), এবং কেটোন (ketone) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এস্টার যেমন ইথাইল অ্যাসেটেট ফলমূলের মতো গন্ধ তৈরি করে, তেমনি কেটোন ফুলের সুগন্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।


২. সুগন্ধির কার্যপ্রণালি
সুগন্ধির রাসায়নিক যৌগগুলো টয়লেটের পরিবেশে বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মিশে যায়। এই বাষ্প মানব নাসারন্ধ্র দ্বারা গ্রহণ করা হলে মস্তিষ্কে একটি সুগন্ধি অনুভূতি সৃষ্টি করে।


৩. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগের সংমিশ্রণ
টয়লেটে সুগন্ধি যোগ করার পাশাপাশি এর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেমন ফেনল (phenol) বা ক্লোরোক্সিলেনল (chloroxylenol) মেশানো হয়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।


৪. অ্যারোমাথেরাপি উপাদান
অনেক সুগন্ধিতে ল্যাভেন্ডার (lavender), লেমনগ্রাস (lemongrass) বা অন্যান্য প্রাকৃতিক তেল মেশানো হয়, যা শুধু দুর্গন্ধ দূর করে না, বরং প্রশান্তি প্রদান করে।


৫. রসায়নীয় বিক্রিয়া এবং ফ্রেশনারের ধরণ
সুগন্ধি ফ্রেশনারে প্রোপেল্যান্ট গ্যাস (propellant gas) থাকে যা তরল সুগন্ধি কণাগুলোকে ক্ষুদ্র বাষ্পকণায় রূপান্তর করে ছড়িয়ে দেয়। এদের মধ্যে কিছু কণা বাতাসে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী থাকে, যা দীর্ঘস্থায়ী সুগন্ধির উৎস।


৬. পরিবেশবান্ধব সুগন্ধি
বর্তমানে পরিবেশবান্ধব সুগন্ধি তৈরিতে প্রাকৃতিক অ্যালকোহল ও অপরিহার্য তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি টয়লেটের বায়ু শুদ্ধিকরণে কার্যকর এবং পরিবেশের জন্য নিরাপদ।


Content added By
Promotion