মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যেই ব্যাংক স্বল্প সুদে বা লাভে আমানত সংগ্রহ, ঋণদান ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদান করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। এই ব্যাংক স্বল্প মেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী। দেশের ব্যবসায় খাতে ঋণ সহায়তা দানে এই ব্যাংক অনন্য প্রতিষ্ঠান । বাংলাদেশে বিশেষায়িত ব্যাংক ও নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় খাতে ঋণ দিলেও তাদের কার্যক্রম সীমিত। যেখানে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সর্বত্র শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব মানুষকে আর্থিক সেবা দিয়ে চলেছে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এরূপ ব্যাংকের সহায়তাসমূহ নিম্নরূপ :
দেশের ছয়টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক এর শাখা সংখ্যা ২০১৫ এর ডিসেম্বরে ছিল ৩,৬৯০টি এবং উক্ত সময়ে ৩৯টি বেসরকারি দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক এর মোট শাখা সংখ্যা ছিল ৪২২৭টি। উল্লেখ্য, এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ৫৬টি যার মধ্যে ২টি বিশেষায়িত ব্যাংক; বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মোট শাখা সংখ্যা ছিল ১,৪০৬টি এবং ৯টি বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ছিল ৭৫টি। এতে দেখা যায় ব্যবসায়ে সহায়তা দানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাসমূহের কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত, সংহত এবং কার্যকর।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে SME (Small) & Medium Enterprise) লোন চালু করেছে। যা সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে কার্যত বাস্তবায়িত হচ্ছে । বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাসমূহ তাদের বিভিন্ন শাখা এবং প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বা ঘোষিত এস.এম.ই শাখার মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
উল্লেখ্য ২০১৪-২০১৫ সালে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মিলে ৭,০৯,০২৪টি এসএমই-এর অনুকূলে সর্বমোট ১,১০,২৮৭.৯৩ কোটি টাকা এসএমই ঋণ বিতরণ করেছে। অন্যদিকে ৯৩,৯৮৭টি, নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সর্বমোট ৩,৯৬৭.৯২ কোটি টাকার এসএমই ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যার অংশবিশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন করেছে।