তারবিহিন টেলিকম্যুনিকেশন ব্যবস্থায় মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রদান ও লেনদেন করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে। ব্যাংকের আর্থিক ও হিসাব সংক্রান্ত ডাটাবেজে ঢুকে দ্রুততার সাথে নিজের তথ্য বের করে আনার এবং অনুমোদিত লেনদেন করতে পারার এক চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা । হোম ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের Pin (Personal Identification Number) ব্যবহার করে তথ্য জানা, ব্যাংক হিসাব বিবরণী সংগ্রহ ও সীমিত ফান্ড ট্রান্সফারের যে সুযোগ প্রচলিত রয়েছে তাকে আরও সহজতর করার জন্যই মূলত মোবাইল ব্যাংকিং এর উৎপত্তি ।
একজন গ্রাহককে এজন্য ব্যাংক প্রদত্ত ফরম পূরণ করে মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হয় । অতঃপর এই মোবাইল নম্বর থেকে নির্দিষ্ট কোডের বিপক্ষে SMS (Short Message Service) করে সাথে সাথে তার হিসাবের ব্যালেন্স জানতে পারে । যা নতুন চেক কাটতে বা আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। সর্বশেষ কী লেনদেন হয়েছে তার তথ্যও সীমিত পরিসরে জানা যেতে পারে । এ ছাড়া SMS পাঠিয়ে বিল প্রদান ও ফাণ্ড অন্য কোনো হিসাবে স্থানান্তরের নির্দেশও দেয়া যায়। মোবাইল বিজিনেস (Mobile Business) বা M-Business এর ক্ষেত্রে মোবাইল হ্যান্ডসেটে ইন্টারনেট সংযুক্তির সুবাদে নির্দিষ্ট ওয়েবে যেয়ে যেভাবে ক্রয়সহ বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণ ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা যায় মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে তার সুযোগ থাকে । বাংলাদেশে ২০১১ সালে ডাচ বাংলা ব্যাংক সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবার প্রচলন করে । তাদের এ সেবা ‘মোবাইল ব্যাংকিং' নামে পরিচিত । পরবর্তীতে ব্রাক ব্যাংক bkash (বিকাশ) নামে এরূপ ব্যাংকিং সেবা চালু করে যা এখন দেশের সর্বত্র খুবই জনপ্রিয় । এছাড়া ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ, ইউসিবিএল ব্যাংক ইউক্যাশ এবং অন্যান্য কিছু ব্যাংক বিভিন্ন নামে এরূপ সেবা প্রদান করছে ।