শিল্প বর্জ্য ও পানি দূষণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK
6

শিল্প বর্জ্য ও পানি দূষণ


শিল্প বর্জ্যের প্রকারভেদ:
শিল্প থেকে নির্গত বর্জ্য বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন:

  1. তরল বর্জ্য:
    কারখানার নির্গত রাসায়নিক দ্রবণ, তেল, এবং রঞ্জক।
  2. কঠিন বর্জ্য:
    প্লাস্টিক, ধাতব অংশ, এবং অন্যান্য কঠিন পদার্থ।
  3. গ্যাসীয় বর্জ্য:
    রাসায়নিক কারখানার নির্গত বিষাক্ত গ্যাস।
  4. জৈব বর্জ্য:
    খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অবশিষ্টাংশ।

পানি দূষণের কারণ:

  1. রাসায়নিক নির্গমন:
    কারখানার রাসায়নিক দ্রব্য সরাসরি পানিতে ফেলা হলে পানি দূষিত হয়।
  2. তেল নির্গমন:
    জাহাজ এবং তেল শোধনাগার থেকে নির্গত তেল সমুদ্র এবং নদীর পানি দূষিত করে।
  3. কঠিন বর্জ্য:
    প্লাস্টিক এবং ধাতব উপাদান পানির উৎসে ফেলা হলে তা দূষণ সৃষ্টি করে।
  4. জৈব বর্জ্য:
    অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে মিশে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি করে।

প্রভাব:

  1. মানুষের উপর প্রভাব:
    দূষিত পানি পানে এবং ব্যবহারে বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি হতে পারে।
  2. জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব:
    জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস হয়, এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির সম্মুখীন হয়।
  3. পরিবেশের উপর প্রভাব:
    দূষিত পানি মাটির উর্বরতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে।
  4. অর্থনৈতিক ক্ষতি:
    দূষিত পানি কৃষি, মৎস্য এবং পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

  1. শিল্প বর্জ্যের পরিশোধন:
    কারখানাগুলোর বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করা।
  2. নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:
    সরকারের কঠোর আইন প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম।
  3. পুনর্ব্যবহার:
    শিল্প বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
  4. সচেতনতা বৃদ্ধি:
    জনগণের মধ্যে দূষণের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
  5. জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার:
    বর্জ্য শোধনে প্রাকৃতিক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার।

Content added By
Promotion