ফার্নের পাতাকে বলা হয়-

Created: 2 years ago | Updated: 8 months ago
Updated: 8 months ago

Pteris এর শ্রেণিবিন্যাসঃ

Kingdom: Plantac 

   Grade: Tracheophyta 

      Division: Filicinophyta 

        Class: Filicineae 

           Order : Filicales 

              Family: Polypodiaceae 

                 Genus: Pteris

Pteris এর বৈশিষ্ঠ্যঃ

১. Pteris একটি স্থলজ ফার্ন জাতীয় স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ। 

২. এর দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত। 

৩. কাণ্ড রাইজোম (rhizome)-এ রূপান্তরিত হয়।

৪. রাইজোম র্যামেন্টা (ramenta) দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। 

৫. পাতা যৌগিক ও কচি অবস্থায় কুণ্ডলিত। 

৬. স্পোরাঞ্জিয়া একত্রিত হয়ে পত্রকের কিনারায় সোরাস (sorus) গঠন করে: স্পোরাঞ্জিয়াম মেকী ইন্ডুসিয়াম (false indusium) দিয়ে ঢাকা থাকে। 

৭. প্রোথ্যালাস (গ্যামেটোফাইট) সবুজ বর্ণের, হৃৎপিণ্ডাকার ও সহবাসী।

আবাসস্থল : Pteris একটি বহুল পরিচিত, বহুবর্ষজীবী স্থলজ ফার্ন জাতীয় বীরুৎ উদ্ভিদ। সাধারণত স্যাঁতসেঁতে, ঠাণ্ডা ও ছায়াঘন পরিবেশে এটি প্রচুর জন্মে। পুরাতন ও ভগ্নপ্রাচীরের গায়ে এবং ফেলে রাখা ইটের স্তূপেও এদের জন্মাতে দেখা যায় । খোলা ও উন্মুক্ত জায়গা অর্থাৎ রোদ পছন্দ করে বলে এরা সানবার্ন (shirtieri) নামে পরিচিত। Pteris গণে প্রায় ২৫০টি প্রজাতি রয়েছে যার মধ্যে ১৬টি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় Pteris vittata.

Pteris-এর দৈহিক গঠন (Vegetative structure of Pteris)

Pteris এর প্রধান উদ্ভিদ রেণুধর বা স্পোরোফাইটিক বা ডিপ্লয়েড। এদের দেহ মূল, কাণ্ড এবং পাতায় বিভক্ত। কাণ্ড রাইজোম (rhizome) (রূপান্তরিত ভূনিম্নস্থ কাণ্ড) জাতীয় এবং আবাসভূমির কয়েক সেন্টিমিটার গভীরে জন্মায়। এটি দেখতে লম্বা এবং এর বৃদ্ধি অনির্দিষ্ট। রাইজোমের নিম্নতল হতে সূক্ষ্ম স্বল্প শাখাযুক্ত অস্থানিক মূল গুচ্ছাকারে বের হয়। পাতা চির সবুজ এবং পক্ষল যৌগিক। ফার্নের পাতাকে ফ্রন্ড (frond) বলে। 

মুকুল অবস্থায় পাতা কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তাকে বলা হয় ভার্নেশন বা মুকুলপত্র বিন্যাস। ফার্নের পাতা মুকুল অবস্থায় কুণ্ডলী পাকানো অবস্থায় থাকে যাকে বলা হয় সারসিনেট ভার্নেশন (circinate vernation)। কুণ্ডলিত কচি পাতাকে ক্রোজিয়ার (crozier) বলে। পত্র যৌগপত্র এবং প্রতিটি পত্রকখণ্ডকে পিনা (pina) বলে। 

পিনা প্রায় অবৃন্তক, সাধারণত অপজিট কখনো কখনো কিছুটা একান্তরভাবে অবস্থিত থাকে। প্রতিটি পিনা অবৃন্তক, সরু লম্বাটে (linear shaped) এবং কিনারা মসৃণ। শীর্ষক পিনা সর্বাধিক লম্বা। পত্রের র‍্যাকিস-এর নিম্নপ্রান্ত এবং রাইজোম এক প্রকার অসংখ্য বাদামি রঙের শল্কপত্র দিয়ে আবৃত থাকে। শল্কপত্রকে র‍্যামেন্টাম (ramentum) বলে। পরিণত পত্রকের নিম্নতলের কিনারায় সোরাই (sori) উৎপন্ন হয়। 

Pteris-এর অভ্যন্তরীণ গঠন (Internal structure of Pteris):

রাইজোমের (কাণ্ড) অন্তর্গঠন (The structure of rhizome) : রাইজোম কাণ্ডের সর্ববাইরে প্যারেনকাইমা কোষের একস্তর বিশিষ্ট এপিডার্মিস বা বহিঃত্বক অবস্থিত। বহিঃত্বক দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় দুস্তর বিশিষ্ট হাইপোডার্মিস (অধঃত্বক) এবং হাইপোডার্মিস দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় বহুস্তর বিশিষ্ট কর্টেক্স অবস্থিত। কর্টেক্স-এ একাধিক ভাস্কুলার বান্ডল আছে। ভাস্কুলার বান্ডল হ্যাড্রোসেন্ট্রিক (hadrocentric) কারণ এর কেন্দ্রে জাইলেম এবং এর চারদিকে ফ্লোয়েম অবস্থিত।

র‍্যাকিস-এর অন্তর্গঠন (The structure of rachis) :

র‍্যাকিসের প্রস্থচ্ছেদে বাইরে এপিডার্মিস, এপিডার্মিস দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় স্ক্লেরেনকাইমা কোষের হাইপোডার্মিস (অধঃত্বক) অবস্থিত। হাইপোডার্মিস দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় বহুস্তর বিশিষ্ট কর্টেক্স অবস্থিত এবং কর্টেক্স টিস্যুতে অশ্বক্ষুরাকৃতির স্টিলি (পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ) অবস্থিত। ভাস্কুলার বান্ডল হ্যাড্রোসেন্ট্রিক।

পত্রকের অন্তর্গঠন (The structure of leaf) :

দীর্ঘাকার পত্রকের প্রস্থচ্ছেদ করলে দেখা যায়, ঊর্ধ্বত্বক ও নিম্নত্বক উভয়ই একসারি কোষ দিয়ে গঠিত। ঊর্ধ্বত্বকে কিউটিকল এবং নিম্নত্বকে পত্ররন্ধ্র বিদ্যমান। উভয় ত্বকের মাঝখানে মেসোফিল স্তর বিদ্যমান। এখানে স্পঞ্জি ও প্যালিসেড প্যারেনকাইমা বিদ্যমান। মেসোফিল প্যারেনকাইমা কোষগুলো ক্লোরোফিল যুক্ত এবং বায়ুগহ্বর বিশিষ্ট হয়। স্টিলি জাইলেম কেন্দ্রিক। মধ্যশিরা অঞ্চলে সংযুক্ত ভাস্কুলার বান্ডল বিদ্যমান যা পরিচক্র (pericycle) ও অন্তত্বক (endodermis) যুক্ত হয়ে থাকে।

Content added || updated By
Promotion