একটি জীনের উপস্থিতিতে অন্যটির কার্যক্ষমতা হারানোকে কী বলে ?

Created: 2 years ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

এপিস্ট্যাসিস (Epistasis)

কিছু ক্ষেত্রে দুটি পৃথক জিন জীবের একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশে অংশগ্রহণ করে এবং এদের একটি জিন অপর জিনের কাশকে বাধা দেয় । এভাবে, একটি জিন যখন অন্য একটি নন-অ্যালিলিক (non-allelic) জিনের কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এ প্রক্রিয়াকে এপিস্ট্যাসিস বলে। যে জিনটি অপর জিনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা দেয় সে জিনকে এপিস্ট্যাটিক জিন (epistatic gene), আর যে জিনটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা পায় সে জিনটিকে হাইপোস্ট্যাটিক জিন (hypostatic gene) বলে।

প্রকট এপিস্ট্যাসিস (Dominant Epistasis) অনুপাত ১৩ : ৩। যখন একটি প্রকট জিন অন্য একটি নন-অ্যালিলিক প্রকট জিনের কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এ প্রক্রিয়াকে প্রকট এপিস্ট্যাসিস বলে।

১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বেটসন (Bateson) এবং পানেট (Punnett) পরিচালিত এক পরীক্ষায় আবিষ্কৃত হয় যে সামা লেগহর্ণ (Leghorn) গোষ্ঠীর মোরগ-মুরগীতে রঙিন পালক সৃষ্টির জন্য দায়ী একটি প্রকট জিন (C) থাকে। কিন্তু এপিস্ট্যাটিক জিন (I)- এর কারণে রঙিন পালক সৃষ্টি হতে না পারায় পালকগুলো সাদা হয়। F, জনুতে সব সাদা পালক- বিশিষ্ট হলেও F2 জনুতে ১৩ : ৩ অনুপাতে সাদা ও রঙিন পালক-বিশিষ্ট মোরগ-মুরগী সৃষ্টি হয়।

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যাঃ

ধরা যাক, সাদা লেগহর্ণের রঙিন পালকের জন্য দায়ী প্রকট জিন = C এবং সাদা লেগহর্ণের রঙিন পালকের বাধাদানকারী প্রকট জিন = I.

অতএব, সাদা লেগহর্ণের জিনোটাইপ CCII এবং সাদা ওয়াইনডটের জিনোটাইপ ccii. অর্থাৎ এক্ষেত্রে C হচ্ছে প্রকট হাইপোস্ট্যাটিক জিন এবং I প্রকট এপিস্ট্যাটিক জিন।

সাদা লেগহর্ণ এবং সাদা ওয়াইনডট-এর মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে বিস্ময়কর ফলাফল লক্ষ করা গেছে। একটি সাস পালকযুক্ত লেগহর্ণ-এর সাথে সাদা পালকযুক্ত ওয়াইনডট-এর ক্রস ঘটালে প্রথম বংশধরে (F) জনু) সবগুলো শাবকই সাদা পালকযুক্ত পাওয়া যাবে।F, জনুর মোরগ-মুরগীর মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে দেখা গেছে F2 জনুতে সাদা ও রঙিন উভয় ধরনের পাখিরই আবির্ভাব ঘটে এবং এদের অনুপাত দাঁড়ায় ১৩ : ৩। 

Content added || updated By
Promotion