ফলের পোকা শনাক্তকরণ অনুশীলন

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

পোকা মাকড় সংগ্রহের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ফলের উপকারী ও অপকারী পোকা মাকড় চেনা এবং এ পোকা ক্ষতির ধরন সম্পর্কে জানা, যাতে করে এ পোকা দমনের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেয়া যায় ।

উপকারী পোকা মাকড় শনাক্তকরণ প্রাসঙ্গিক তথ্য

যে সকল পোকা মাকড় প্রত্যক্ষ বা পরাক্ষেভাবে মানুষের কোন না কোন উপকার করে সে সকল পোকাগুে লাকেই উপকারী পোকা বলে ।

  • যে সকল পোকা অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রত্যক্ষভাবে মানুষের উপকার করে সে সকল পোকাকে অর্থনৈতিক কীট পতঙ্গা বলে । যেমন-রেশম পোকা, লাক্ষা পোকা ।
  • যে সকল পোকা ফসলের ক্ষতিকর পোকা মাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে সে সকল পোকাকে পরভোজী পোকা বলে । যেমন-ড্রাগন ফ্লাই, ক্যারাবিড বিটল।
  • যে সকল পোকা ফসলের ক্ষতিকর কোন কোন পোকার ডিম/কীড়া/পুত্তলী / পূর্নাঙ্গ পোকার উপর ডিম পেড়ে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে ও আশ্রয় দাতা পাকার মৃত্যু ঘটায় সে সকল পোকাকে পরজীবী পোকা বলে। যেমন- বালেতা।

প্রয়োজনীয় উপকরণ 

১। পোকা ধরার জাল ২। পানির পাত্র ৩। ড্রইং পেপার ৪। পেন্সিল ৫। রাবার ৬। ফরসেপ ৭। স্কেল ৮। ইনসেক্ট কিলিংজার ৯ শস্যক্ষেত (ফলের গাছ/ফলের বাগান) ১০। পেট্রিভিস বা ছোট পার্টিক কৌটা ।

কাজের ধাপ

১। পোকা ধরার জাল নিয়ে শস্য ক্ষেতে যেতে হবে (কলা, পেঁপে, আনারস, আম, পেয়ার, লিচু, কাঁঠাল, লেবু ইত্যাদি বাগান

২। জল যারা পোকা ধরতে হবে। 

৩। পানির পাত্রের সাহায্যে পোকা ধরতে হবে । 

৪। এরপর পোকা গুলো ইনসেক্ট কিপিং জারে অথবা (ক্লোরাফের্ম দ্বারা ভেজাভুলা বিশিষ্ট কাচের পাত্র কিছুক্ষণ ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে পোকাগুলো মারা যাবে । 

৫। এবার জার থেকে মৃত পাকাগুলো বের করতে হবে। 

৬। মৃত পোকাগুলো ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করতে হবে। 

৭। সংগৃহীত পোকাগুলো বইয়ে দেয়া বর্ণনার সাথে মিলিয়ে কোনটি কি পোকা তা সনাক্ত করতে হবে । 

৮ । এখন ড্রইং পেপারে সনাক্তকৃত পোকা গুলোর চিত্র অঙ্কন করতে হবে। 

৯। অতপর অঙ্কিত পোকার চিত্রে এর বিভিন্ন উপাঙ্গ চিহ্নিত করতে হবে।

সতর্কতা

১। কিপিং বাতেল সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। এটি যাতে ভেঙ্গে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে । কিলিং বোতলে ভুলেও শ্বাস নেয়া বা গন্ধ শুকা যাবে না।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion