Email:
Password:
Remember Me
Forgot your password?
Log in
New to Satt Academy?
Create an account
or
Log in with Google Account
Home
Ask Question?
Business Account
Exam
Exam List
Exam Result
Category
1-12 Class
Board Exam
Admission
Job Solution
Skill Development
Book Collection
Video Content
Blog Content
Question
Ask Question?
Current Affairs
All MCQ Question
All Written Question
Upload Question
General
Study Plan
Hand Note
Notice | News
Other
FAQ
Point
Package
Feedback
Home
Academy
Admission
Job Assistant
Current Affairs
Skill
Forum
Blog
Package
Course
Sign In
Unauthenticate
Guest
example@gmail.com
Login
Description
Home
Edit Description
Back
Edit Description
Fill up the form and submit
Question
'মর্সিয়া' কি?
আগমনী গীতি
শোকগীতি
ধর্মগীতি
ধর্মগীতি পল্লীগীতি
ANSWER : 2
Descrption
<h1>বাংলা মর্সিয়া সাহিত্য</h1> <p>নূরুল আনাম : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ‘মর্সিয়া সাহিত্য' নামে এক ধরনের শোক কাব্য বিস্তৃত অঙ্গন জুড়ে আছে। এমনকি তার বিয়োগান্ত ভাবধারার প্রভাব আধুনিক যুগের পরিধিতেও তা ভিন্ন আংগিকে এসে উপনীত হয়েছে। শোক বিষয়ক ঘটনা অবলম্বনে সাহিত্য সৃষ্টি বিশ্ব সাহিত্যের প্রাচীন রীতি হিসাবে বিবেচিত। ‘মর্সিয়া' শব্দটি আরবী, এর অর্থ শোক প্রকাশ করা। আরবী সাহিত্যে মর্সিয়া উদ্ভব নানা ধরনের শোকাবহ ঘটনা থেকে হলেও পরে কারবালা প্রান্তরে নিহত ইমাম হোসেন ও অন্য শহীদদেরকে উপজীব্য করে লেখা সাহিত্য মর্সিয়া নামে আখ্যায়িত হয়। মূলত : ৭৫০ খৃস্টাব্দে উমাইয়া খিলাফতের পতনের পর থেকেই এই সাহিত্য সৃষ্টির সূচনা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাসহ উমাইয়া দুঃশাসনজনিত কারণে সৃষ্ট মুসলিম জনমনে যে বিক্ষোভের সঞ্চার হয় তা যেমন এই ধারার সাহিত্য সৃষ্টিতে ইন্ধন যোগায় তেমনি বিজয়ী আববাসীয় শাসকরাও একে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে সচেষ্ট হয়। এই উভয়বিধ কারণেই সমগ্র মুসলিম বিশ্বে মর্সিয়া সাহিত্য প্রসার লাভ করে। আরবী সাহিত্য থেকে মর্সিয়া কাব্য ফারসী সাহিত্যে স্থান পায়। উপমহাদেশে সুলতানী শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ফারসি ভাষায় মর্সিয়া প্রচলিত হয় এবং পরে উর্দু ভাষাতেও তার প্রসার ঘটে। মর্সিয়া সাহিত্যের উৎপত্তি কারবালার বিষাদময় কাহিনী ভিত্তি করে হলেও তার মধ্যে আরো শোক ও বীরত্বের কাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। মুসলিম সমাজের খলিফাদের বিজয় অভিযানের বীরত্বব্যঞ্জক কাহিনীও এই শ্রেণীর কাব্যে স্থান পেয়েছে। ‘জঙ্গনামা' নামে বাংলা সাহিত্যে এ ধরনের কাব্য রচিত হয়েছে। মূলত আরবী মাগাজী কাব্য ধারা থেকে উর্দু জঙ্গনামা কাব্যের উৎপত্তি। উর্দু থেকেই বাংলা জঙ্গনামা কাব্যের উৎপত্তি হয়। বাংলা মর্সিয়া কাব্যগুলো প্রধানত অনুবাদ সাহিত্য হিসাবেও গড়ে উঠে। বাঙালী কবিরা মূলতঃ ফারসী ও উর্দু কাব্যের ভাব কল্পনা ও ছায়া আশ্রয় করে তাদের কাব্য রচনা করেছিলেন তথাপি এর মধ্যেও তাদের মৌলিকতার যথেষ্ট পরিচয় বিদ্যমান। ফলে এই কাব্যগুলো এক প্রকার অভিনব সৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে সুদূর আরব পারস্যের কাহিনী কাব্যকার লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে কবিরা যে বাকভঙ্গি ও পরিকল্পনার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তা অনেক ক্ষেত্রে অবাস্তব। এতে প্রমাণিত হয়, বাঙালী কবিরা মাটির প্রভাব অতিক্রম করতে পারেননি। সামগ্রিক মর্সিয়া সাহিত্যকে পৃথক চারটি ধারায় বিন্যস্ত করা যায়। প্রথম ধারা মধ্যযুগের (১২০০ - ১৮০০) ঐতিহ্যবাহী মর্সিয়া সাহিত্য। হামিদুল্লাহ, মোহাম্মদ খান এই ধারার কবি। দ্বিতীয় ধারা মিশ্র ভাষায় রচিত মর্সিয়া সাহিত্য। শাহ গরীবুল্লাহ, রাধা রমন গোপ এই ধারার অনুসারী। তৃতীয় ধারা আধুনিক বাংলায় রচিত মর্সিয়া সাহিত্য এর গদ্যধারায় সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন মীর মোশাররফ হোসেন, হামিদ আলী প্রমুখ এবং কাব্য ধারায় সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন কায়কোবাদ প্রমুখ। চতুর্থ ধারা হচ্ছে লোক সাহিত্যের ধারা। বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই। তবে শেখ ফয়জুল্লাকে এ ধারার প্রথম কবি বলে মনে করা হয়। তিনি ‘জয়নবের চৌতিশা' নামে কাব্যের রচয়িতা। কাব্যটি আকারে ছোট এবং কারবালার কাহিনীর একটি ছোট অংশ অবলম্বনে রচিত। কবির জীবনকাল ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধ বলে মনে করা হয়। তিনি একজন প্রতিভাশালী কবি ছিলেন। দৌলত উজীর বাহরাম খান ‘ইমাম বিজয়ের' নামে কাব্য রচনা করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের অধিবাসী ছিলেন। মোহাম্মদ খান ‘মক্তুল হোসেন' নামে কাব্য রচনা করে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন। এই কাব্যটি ফারসি মক্তুল হোসেন কাব্যের ভাবানুবাদ। তিনিও চট্টগ্রামের অধিবাসী ছিলেন। ১৬৪৫ খৃস্টাব্দের দিকে এটি রচিত হয়। এতে কবি প্রতিভার উৎকর্ষতা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে করুণ রসের উৎকর্ষতা প্রকাশ পেয়েছে।</p> <p>‘‘মোহাম্মদ খান কহে শুনিতে মুরম দহে পাষাণ হইয়া যায় জল’’ অষ্টাদশ শতকের কবি শেরবাজ ‘কাশিমের লড়াই' কাব্য রচনা করেছিলেন। কবির নিবাস ছিল ত্রিপুরা জেলায়। মহররমের একটি ক্ষুদ্র বিবরণী এ কাব্যে স্থান পেয়েছে। বিষয়বস্তু গতানুগতিক এবং তাতে কোন নতুনত্ব নেই। এই কাব্য ছাড়া তিনি ‘মল্লিকার হাজার সওয়াল' ও ‘ফাতেমার সুরতনামা' কাব্য রচনা করেছিলেন। অষ্টাদশ শতকের একজন বিশিষ্ট কবি হায়াত মাহমুদ। কবি রংপুর জেলার ঝাড়বিশিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘জঙ্গনামা' কাব্য কবির প্রথম রচনা। কাব্য রচনাকাল ১৭২৩ খৃস্টাব্দ। কবির উদ্দেশ্য ছিল ইতিহাসের অনুকরণে কারবালা কাহিনী রচনা করা। সে জন্য কবি বলেন :</p> <p>যতেক শুনিনু মুঞ্চি পুস্তক বয়াতে</p> <p>কত আছে কত নাহি কিতাবের মতে।</p> <p>.......................................</p> <p>তাহা শুনি মনে মোর দ্বিধা সর্বক্ষণ</p> <p>রচিনু পুস্তক তবে জানিতে কারণ</p> <p>জাফর নামে একজন অজ্ঞাতনামা কবি ‘শহীদে কারবালা ও সখিনার বিলাপ' নামে মর্সিয়া কাব্য রচনা করেছিলেন। এতে কবির স্বাভাবিক প্রতিভার বিকাশ ঘটেছে। সম্ভবত অষ্টাদশ শতকের কোন এক সময় এ কাব্য রচনা করেন। অষ্টাদশ শতকের আর একজন কবি ছিলেন হামিদ। ‘সংগ্রাম হুসেন' নামে তিনি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাব্য রচনা করেছিলেন। ইংরেজ আমলে বিশেষত এর প্রথম অর্ধে বাংলা সাহিত্যে মর্সিয়া কাব্যের দ্বিতীয় ধারা অর্থাৎ মিশ্র ভাষায় রচিত কাব্য আত্মপ্রকাশ করে। ফকির গরীবুল্লাহ এই ধারার প্রধানতম কবি। মর্সিয়া বিষয়ক কাব্য ‘জঙ্গনামা' তার সমগ্র সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ রচনা। কবি ফারসী কাব্য অবলম্বনে জঙ্গনামা রচনা করেছিলেন। কবি এ কাব্যে যেমন একদিকে যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন তেমনি গভীর বেদনার সুর ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি কল্পনা বাস্তব তার সীমা অতিক্রম করে নানা অলৌকিক বিষয়ের অবতারণা করেছেন। অলৌকিকতা কেবল নয় অসাধারণ ও অস্বাভাবিক বীর বিক্রম এ কাব্যে বড় হয়ে উঠেছে। এর পূর্বে মোহাম্মদ খান, হায়াত মাহমুদ মর্সিয়া কাব্য রচনা করলেও গরীবুল্লাহ এই ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি। মর্সিয়া কাব্য বিষয়ে রাধাচরণ গোপ নামে একজন হিন্দু কবির নাম পাওয়া যায়। তিনি ‘ইমামগণের কেচ্ছা ও আফৎনামা' নামে দুটি কাব্য রচনা করেছিলেন। এগুলো অষ্টাদশ শতকে রচিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মীর মোশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু' মর্সিয়া সাহিত্যের ধারায় উপন্যাস জাতীয় গ্রন্থ। আধুনিক উপন্যাসের সুবিন্যস্ত বন্ধন রীতি আলোচ্য গ্রন্থে অনুসরণ করা হয়নি। গ্রন্থটি ইতিহাস, উপন্যাস, সৃষ্টিধর্মী রচনা এবং নাটক ইত্যাদি সাহিত্যের বিবিধ সংমিশ্রণে রোমান্টিক আবেগ মাখানো এক সংকর সৃষ্টি। মীর মোশাররফ হোসেন অতীতের জঙ্গনামা, মক্তুল হোসেন, শহীদে কারবালা প্রভৃতি কাব্যের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। সে সব গ্রন্থের কল্পনা বহুল কাহিনী দ্বারা তিনি ছিলেন প্রভারিত। তার এই উপন্যাস রূপায়নে ও চরিত্র চিত্রণে এই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর কিছু প্রধান চরিত্র ছাড়া অপরাপর চরিত্র ইতিহাস বহির্ভূত ও কল্পনাশ্রয়ী। ঘটনা বিন্যাসে প্রথমদিকে সামান্য ঐক্য পরিলক্ষিত হলেও পরের দিকে ব্যাপকভাবে কল্পনানির্ভর। অন্যদিকে মর্সিয়া সাহিত্যের ধারায় হামিদ আলী ঊনিশ শতকীয় মহাকাব্যের রীতিতে কাশেম বধ কাব্য রচনা করেন। চরিত্র সৃষ্টি, ঘটনা বিন্যাস এ কাব্য মহাশ্মশান তো বটেই এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বৃত্রসংহারের চেয়ে শ্রেষ্ঠ\ এই কাব্যে কবির দুর্লভ সংযম, প্রদীপ্ত বুদ্ধি ও চমৎকার কবিত্ব শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। কবির পরবর্তী রচনা ‘জয়নালোঘারে কাব্য'। কাশেম বধ কাব্যে যা বর্ণিত হয়েছে তার পরবর্তী ঘটনাবলীই এ কাব্যের বর্ণিতব্য বিষয়। মাইকেলের ব্যাপক প্রভাব এতে লক্ষণীয়। এই ধারার সর্বশেষ সংযোজন হলো কায়কোবাদের ‘মহরম শরীফ' কাব্য। এই কাব্যে কবি তার সহজাত ইতিহাসপ্রীতি, স্বজাত্যবোধ ও নীতিজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু কাব্যকলার উৎকর্ষ সাধন তিনি করতে পারেননি। মর্সিয়া সাহিত্যের আলোচনায় যার কথা সবার শেষে আসে তা হচ্ছে লোকসাহিত্যের অন্তর্গত মর্সিয়া কাব্য। জারি গান এই সাহিত্যের পর্যায়ভুক্ত। অন্যান্য লোকসাহিত্যের মতো এর জন্ম ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চলে। বিষয়ের বৈচিত্র্য, সুরের মাধুর্যে এবং শোকের গভীরতায় এই মর্সিয়া গীতি প্রচলিত কাব্যের চেয়ে উৎকৃষ্টতর দাবি রাখে।</p> <p> </p> <p>সুত্রঃ <a href = "https://www.dailysangram.com/post/102049 - %E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE - %E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE - %E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF" target = "_blank">দৈনিক সংগ্রাম</a></p>
Please, login first.
click here to login
Cancel
Login
©2024 SATT ACADEMY. All rights reserved.
Promotion