সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালে আসামের করিমগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। আফগানিস্তানের কাবুলে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এছাড়া মিশরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি অধ্যাপনা করেন। তাঁর রচনার একটি বড়ো অংশ ভ্রমণকাহিনি। সরস ভাষায় ভ্রমণ-অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন ‘দেশে-বিদেশে’, ‘জলে ডাঙায়'। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আছে ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘চাচা কাহিনী’, ‘ময়ূরকণ্ঠী’ ইত্যাদি। নিচের লেখাটি সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘জলে ডাঙায়’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া ।
সৈয়দ মুজতবা আলী
পিরামিড! পিরামিড!! পিরামিড!!!
অনেক সময়ে আশ্চর্য প্রকাশ করতে হলে আমরা তিনটা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন-!!!—দিই। তাই কি চোখের সামনে দাঁড়িয়ে তিনটা পিরামিড? কিংবা উলটোটা? তিনটা পিরামিড ছিল বলে আমরা তিনবার আশ্চর্য হই? এই পিরামিডগুলো সম্বন্ধে বিশ্বজুড়ে যা গাদা গাদা বই লেখা হয়ে গিয়েছে তার ফিরিস্তি দিতে গেলেই একখানা আস্ত ‘জলে-ডাঙায়’ লিখতে হয়। কারণ এই তিনটে পিরামিড পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ—যুগ যুগ ধরে মানুষ এদের সামনে দাঁড়িয়ে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা করেছে, দেয়ালে-খোদাই লিপি উদ্ধার করে এদের সম্বন্ধে পাকা খবর সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে। জানো তো, পিরামিডের ঠিক মাঝখানে একটা কুঠুরিতে বিস্তর ধনদৌলত জড়ো করা আছে-তারই পথ অনুসন্ধান করছে পাকা সাড়ে ছ হাজার বছর ধরে। ইরানি, গ্রিক, রোমান, আরব, তুর্কি, ফরাসি, ইংরেজ পর পর সবাই এদেশ জয় করার পর প্রথমেই চেষ্টা করেছে পিরামিডের হাজার হাজার মন পাথর ভেঙে মাঝখানের কুঠুরিতে ঢুকে তার ধনদৌলত লুট করার। এবং আশ্চর্য, যিনি শেষ পর্যন্ত ঢুকতে পারলেন, তিনি ধন লুটের মতলবে ঢোকেননি। তিনি ঢুকেছিলেন নিছক ঐতিহাসিক জ্ঞান সঞ্চয়ের জন্য।
ফারাওয়ের রাজমিস্ত্রিরা কুঠুরি বানানো শেষ করার পরে বেরোবার সময়ে এমনই মস্ত পাথর দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বাইরের দেয়ালে পালিশ পলেস্তারা লাগিয়ে দেয় যে, পৃথিবীর মানুষের সাড়ে ছ হাজার বছর লাগল ভিতরে যাবার রাস্তা বের করতে!
মিশরের ভিতরে বাইরে আরও পিরামিড আছে কিন্তু গিজে অঞ্চলে যে তিনটা পিরামিডের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে সেগুলোই ভুবন-বিখ্যাত, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম।
রাজা | নির্মাণের সময় | ভূমিতে দৈর্ঘ্য | উচ্চতা |
---|---|---|---|
খুফু | ৪৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব | ১৭৫৫ ফুট | ৪৮১ ফুট |
খাফরা | ৪৬০০ খ্রিষ্টপূর্ব | ৭০৬ ফুট | ৪৭১ ফুট |
সেনকাওরা | ৪৫৫০ খ্রিষ্টপূর্ব | ৩৪৬ ফুট | ২১০ ফুট |
প্রায় পাঁচশো ফুট উঁচু বললে, না দেখে চট করে পিরামিডের উচ্চতা সম্বন্ধে একটা ধারণা করা যায় না। এমনকি চোখের সামনে দেখেও ধারণা করা যায় না, এরা ঠিক কতখানি উঁচু। চ্যাপ্টা আকারের একটা বিরাট জিনিস আস্তে আস্তে ক্ষীণ হয়ে পাঁচশো ফুট উঁচু না হয়ে যদি চোঙার মতো একই সাইজ রেখে উঁচু হতো তবে স্পষ্ট বোঝা যেত পাঁচশো ফুটের উচ্চতা কতখানি উঁচু।
বোঝা যায় দূরে চলে গেলে। গিজে এবং কায়রো ছেড়ে বহু দূরে চলে যাওয়ার পরও হঠাৎ চোখে পড়ে তিনটা পিরামিড সব কিছু ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। আর পিরামিড ছেড়ে যদি সোজা মরুভূমির ভিতর দিয়ে যাও, তবে মনে হবে সাহারার শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার পরও বুঝি পিরামিড দেখা যাবে!
তাই বোঝা যায়, এ বস্তু তৈরি করতে কেন তেইশ লক্ষ টুকরা পাথরের প্রয়োজন হয়েছিল। ‘টুকরা' বলতে একটু কমিয়ে বলা হলো কারণ এর চার-পাঁচ টুকরা একত্র করলে একখানা ছোটোখাটো ইঞ্জিনের সাইজ এবং ওজন হয়। কিংবা বলতে পারো ছ ফুট উঁচু এবং তিন ফুট চওড়া করে এই পাথর নিয়ে একটা দেয়াল বানালে সে দেয়াল লম্বায় ছশো পঞ্চাশ মাইল হবে। অর্থাৎ সে দেয়াল কলকাতা থেকে দার্জিলিং গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারবে!
সব চেয়ে বড়ো পিরামিডটা বানাতে নাকি এক লক্ষ লোকের বিশ বৎসর লেগেছিল।
ভেবে কূল-কিনারা পাওয়া যায় না, সে সম্রাটের কতখানি ঐশ্বর্য আর প্রতাপ ছিল, যিনি আপন রাজধানীর পাশে লক্ষ লক্ষ লোককে বিশ বৎসর খাওয়াতে পরাতে পেরেছিলেন। অন্য খরচের কথা বাদ দাও, এই এক লক্ষ লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য যে বিরাট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, সেটা গড়ে তোলা এবং তাকে বিশ বছর ধরে চালু রাখা তারাই করতে পারে, যারা সভ্যতার খুব একটা উঁচু স্তরে উঠে গিয়েছে।
এইবার আমরা পিরামিড নির্মাণের কারণের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।
প্রথম কারণ সকলেরই জানা। ফারাওরা (সম্রাটরা) বিশ্বাস করতেন, তাঁদের শরীর যদি মৃত্যুর পর পচে যায়, কিংবা কোনো প্রকারের আঘাতে ক্ষয় হয় তবে তাঁরা পরলোকে অনন্ত জীবন পাবেন না। তাই মৃত্যুর পর তাঁদের দেহকে ‘মমি’ বানিয়ে সেটাকে এমন একটা শক্ত পিরামিডের ভিতর রাখা হতো যে, তার ভিতরে ঢুকে কেউ যেন ‘মমি’কে ছুঁতে পর্যন্ত না পারে। কিন্তু হায়, তাঁদের এ বাসনা পূর্ণ হয়নি। পূর্বেই বলেছি, হাজার হাজার বছর চেষ্টা করে দুষ্ট (অর্থাৎ ডাকাত) এবং শিষ্টেরা (অর্থাৎ পণ্ডিতেরা) শেষ পর্যন্ত তাঁদের গোপন কবরে ঢুকতে পেরেছেন। তাই করে অবশ্য গৌণত কোনো কোনো ফারাওয়ের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়েছে-পণ্ডিতেরা তাঁদের মমি সযত্নে জাদুঘরে সাজিয়ে রেখেছেন। সেখানে তাঁরা অক্ষত দেহে মহাপ্রলয়ের দিন গুনছেন, যেদিন তাঁরা নব দেহে নব যৌবন ফিরে পেয়ে অমৃতলোকে অনন্ত জীবন আরম্ভ করবেন।
অনুসন্ধান করা: খোঁজ করা। | পালিশ পলেস্তারা: মসৃণ প্রলেপ। |
অমৃতলোক: স্বর্গ। | পিরামিড: বিশেষ আকৃতির প্রাচীন স্থাপনা। |
ঐশ্বর্য: সম্পদ। | প্রতাপ: ক্ষমতা। |
কায়রো: মিশরের রাজধানী। | ফারাও: মিশরের প্রাচীন রাজাদের উপাধি। |
কীর্তিস্তম্ভ: কোনো কাজ বা ঘটনার স্মরণে তৈরি করা স্থাপনা। | ফিরিস্তি: বিবরণ। |
কুঠুরি: ছোটো ঘর। | বিস্তর: অনেক। |
ক্ষীণ: সরু। | মতলব: ফন্দি। |
গিজে: কায়রোর একটি জায়গার নাম । | মনোবাঞ্ছা: মনের ইচ্ছা। |
গৌণত: অপ্রধানভাবে। | মমি: বিশেষ উপায়ে সংরক্ষিত মৃতদেহ। |
চোঙা: ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে আসা গোল পাত্ৰ । | মহাপ্রলয়ের দিন: পৃথিবী ধ্বংসের দিন। |
জল্পনা-কল্পনা: নানা রকম চিন্তা ও অনুমান। | রাজমিস্ত্রি: যাঁরা ইট, পাথর ইত্যাদি দিয়ে দালান তৈরির কাজ করেন। |
দেয়ালে-খোদাই লিপি: দেয়ালে খোদাই করা কোনো লেখা। | সপ্তাশ্চর্য: পৃথিবীর সাতটি অবাক-করা নিদর্শন। |
পরলোক: মৃত্যুর পরবর্তী জগৎ। | সাহারা: মরুভূমির নাম। |
পাকা খবর: প্রকৃত তথ্য। |
ক. লেখক এখানে কীসের বিবরণ দিয়েছেন?……………………………………………………………………………………………………………………………………….’
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
খ. পিরামিডগুলো কারা তৈরি করেছিলেন এবং কখন তৈরি করেছিলেন ?………………………………………………………………………………….’
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
গ. পিরামিডগুলো কেন তৈরি করা হয়েছিল?………………………………………………………………………………………………………………………………………’
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
ঘ. পিরামিডগুলো কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল?…………………………………………………………………………………………………………………………………’
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
ঙ. পিরামিড একটি পুরাকীর্তি। বাংলাদেশের যে কোনো পুরাকীর্তির সাথে এর মিল-অমিল খুঁজে বের করো।…………………….
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
‘পিরামিড' রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা তোমার নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
‘পিরামিড’ রচনাটির যেসব বক্তব্য নিয়ে তোমার মতামত রয়েছে, বা মনে প্রশ্ন জেগেছে, তা নিচের ছকে লেখো। বোঝার সুবিধার জন্যে দুটি নমুনা দেওয়া হলো।
‘পিরামিড' রচনায় যা আছে | আমার মতামত ও জিজ্ঞাসা |
---|---|
১. এই তিনটে পিরামিড পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ | এ তথ্যটি সঠিক কি না যাচাই করতে হবে। |
২. ভেবে কূল-কিনারা পাওয়া যায় না, সে সম্রাটের কতখানি ঐশ্বর্য আর প্রতাপ ছিল, যিনি আপন রাজধানীর পাশে লক্ষ লক্ষ লোককে বিশ বৎসর খাওয়াতে- পরাতে পেরেছিলেন। | শুনেছি আগেকার রাজা-বাদশারা জোর করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ধরে এনে দাস হিসেবে কাজ করাতো, যা অত্যন্ত অমানবিক ছিল। পিরামিড বানানোর সময়ে এ ধরনের কিছু ঘটেছিল কি না জানতে হবে। |
কোনো স্থান, বস্তু, বিষয় বা ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয় যে ধরনের রচনায়, তাকে বিবরণমূলক লেখা বলে। ধরা যাক, পুকুরের ধারে লম্বা একটা তালগাছ তুমি দেখেছ। তুমি তার বিবরণ লিখতে পারো। বিবরণ লিখতে পারো জন্মদিনের সন্ধ্যার, কিংবা নিজের জীবনের বিশেষ কোনো ঘটনার। নিজের চোখে দেখা বিষয় নিয়ে যেমন এ ধরনের লেখা তৈরি করা যায়, তেমনি অন্যের লেখা পড়ে বা অন্যের মুখে শুনেও বিবরণমূলক রচনা লেখা যায়।
বিবরণ লেখার জন্য বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা দরকার। এজন্য লেখা শুরু করার আগে বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হতে পারে, বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করা যেতে পারে, অথবা অভিজ্ঞ লোকের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এরপর ঠিক করতে হবে কীভাবে পুরো রচনাটি তুমি উপস্থাপন করতে চাও। ধরা যাক, তোমার দেখা তালগাছ নিয়ে তুমি একটি বিবরণমূলক লেখা তৈরি করতে চাও। তাহলে শুরুতে লিখতে পারো এ গাছটি তুমি কোথায় দেখেছ কিংবা এর সঙ্গে তোমার পরিচয় হয়েছে কীভাবে। এরপর বলতে পারো তালগাছ দেখতে কেমন, কিংবা অন্য গাছের সঙ্গে এর মিল-অমিল কী। তালগাছের উপকারী দিকের খোঁজ-খবর নিয়ে তাও লিখতে পারো।
লেখার ভাষা সহজ-সরল রাখাই ভালো। বিবরণমূলক লেখায় আবেগ প্রকাশের ব্যাপারটি মুখ্য নয়, তবু তোমার ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যুক্ত হতে পারে। মূল বিবরণের পাশাপাশি লেখার শুরু ও শেষটা যাতে আকর্ষণীয় হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। এ ধরনের লেখায় অনুচ্ছেদের সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে। বিষয় অনুযায়ী রচনাটির একটি সংক্ষিপ্ত শিরোনাম দিতে হয়।
মানুষের তৈরি পুরানো কোনো স্থাপত্য নিদর্শনকে পুরাকীর্তি বলে। বাংলাদেশে অনেক পুরাকীর্তি আছে, যেগুলোর কোনো কোনোটি হাজার বছরের বেশি পুরানো। যেমন: বগুড়ার মহাস্থান গড়, নওগাঁর সোমপুর বিহার, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির, ঢাকার আহসান মঞ্জিল ইত্যাদি। তোমার এলাকার অন্তত পঞ্চাশ বছরের পুরানো কোনো স্থাপত্য সম্পর্কে ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি বিবরণ লেখো।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
আরও দেখুন...