মন্ত্রিপরিষদের কেন্দ্রবিন্দু ও বাংলাদেশের শাসনকার্য পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে।
জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর।
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তার মন্ত্রিসভাও ভেঙে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়।
তিনি একসাথে সংসদের নেতা, মন্ত্রিসভার নেতা এবং সরকারপ্রধান।
মন্ত্রিসভা গঠিত, পরিচালিত ও বিলুপ্ত হয়- প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে ।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের বার্ষিক আয় ব্যয়ের (জাতীয়) বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
সংসদে আইন প্রণয়ন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন- প্রধানমন্ত্রী।
কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে না- প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সংস্থা অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ (ECNEC)- এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী।
ECNEC এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী ।
দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (NEC)
দেশের জরুরি অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া যেকোন নির্দেশ দিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে যেসব সংস্থার প্রধান- জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ, জাতীয় প্রশাসন সংস্কার কমিটি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড, জাতীয় পরিবেশ কমিটি, জাতীয় পর্যটন পরিষদ প্রভৃতি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৪ বার)।