বাংলাদেশ বিষয়াবলী
All Written Question - (630)
601.
'গম্ভীরা' বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের গান?
602.
বাংলাদেশের কোথায় উন্নতমানের কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে?
603.
‘সুনেত্রা' গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
604.
বাংলাদেশের White gold কাকে বলা হয়?
605.
'ভিশন ২০২১' বলতে কী বুঝায়? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
'ভিশন ২০২১' বলতে কী বুঝায়? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ভিশন ২০২১
বাংলাদেশের রূপকার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ছিল অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তি। যা বিনির্মাণে নিয়ামক ভূমিকায় থাকবে জনগণ। তাঁর এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেশকে ২০২১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে ঘোষণা করা হয়েছে রূপকল্প-২০২১। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রাখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এ লগ্নে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, সেটাই বস্তুত ভিশন ২০২১ এর মূল কথা। ভিশন ২০২১-এর প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হলো নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে বিমোচিত হবে। সেজন্যে একগুচ্ছ সহায়ক কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেমনঃ গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক অবকাঠামো বিনির্মাণ করা; রাজনৈতিক পক্ষপাত বিবর্জিত আইনের শাসন নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা; রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করা; দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা; নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমঅধিকার নিশ্চিত করা; অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা এমনভাবে প্রণয়ন করা যাতে মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা থাকে; জনগণ ও শ্রমশক্তির সুরক্ষার বন্দোবস্ত থাকে, দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যবস্থা থাকে, খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে, ভৌত অবকাঠমো উন্নয়ন, আবাসন, পরিবেশ, পানিসম্পদের নিরাপত্তা থাকে এবং সার্বিকভাবে জনজীবন ও সম্পদের সুরক্ষা থাকে।
606.
PLO
(পূর্ণনাম এবং সদর দপ্তর লিখুন)
607.
UNESCO
(পূর্ণনাম এবং সদর দপ্তর লিখুন)
608.
MIGA
(পূর্ণনাম এবং সদর দপ্তর লিখুন)
609.
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের কী ক্ষতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের কী ক্ষতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট জনেরা। তাঁদের আশঙ্ক সত্যি হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে তপিয়ে যাবে। করলে কোটি কোটি মানুষ। খাদ্যশস্যের উৎপাদন হবে ব্যাহত, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর প্রকোপ বাড়বে, প্রতি হার । আপনা পরিবর্তনের ফলে বাংলদেশে যে সকল ঘটনা ঘটতে পারে তাদের মধ্যে উगा - ১, পৃষ্ঠ বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হবে। ২. সুন্দরবনের অনেকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে, করে জীববৈচিত্র ও উদ্ভিদ প্রজতি ধ্বংশ হবে । ৩. গ্রিষ্মের সময় প্রচন্ড তাপদাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খরার প্রকোপ বাড়বে। ৪. আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফসল উৎপাদন বিপুপভাবে ব্যাহত হবে। ৫. অতিবৃষ্টির কারণে বন্যার প্রকোপ বাড়বে। ৬. সামুদ্রিক লোনা পানি ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূগর্ভস্ত পানির পবণাক্ততা বাড়িয়ে দেবে। যার ফলে দেশে তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দেবে। ৭. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, যার ফলে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা ও পৌনঃপুনিকতা বাড়বে।
610.
আমাদের জাতীয় চার নেতার নাম লিখুন। তাঁরা মুজিবনগর সরকারের কে কোন পদে দায়িত্ব পালন করেন? কোপায় এবং কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন?
আমাদের জাতীয় চার নেতার নাম লিখুন। তাঁরা মুজিবনগর সরকারের কে কোন পদে দায়িত্ব পালন করেন? কোপায় এবং কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন?
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর এক মাসের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় মুজিবনগর সরকার। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) ভবেরপাড়ার আম্রকাননে এই সরকার শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চারনেতাঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহাম্মেদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এর ভূমিকা অপরিসীম।
১। সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ
১৯৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২। তাজউদ্দীন আহমেদঃ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, পরিকল্পনাবিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাধ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য যেসব বিষয় কারও উপর ন্যস্ত হয়নি তার দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। মুক্তিবাহিনীর অস্ত্র সংগ্রহ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর্ন্তজাতিক সমর্থন লাভের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।
৩। মোহাম্মদ মনসুর আলীঃ
একজন সফল আইনজীবী। তিনি অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণ নেন এবং পিএলজি ক্যাপ্টেন পদে অধিষ্ঠিত হন। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন
৪। আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানঃ
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুর্নবাসন এবং কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধ করেন।
611.
বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহ কী কী? 'আগুনের পরশমণি' ছায়াছবির পরিচালক কে? গম্ভীরা কোন অঞ্চলের সঙ্গীত?
বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহ কী কী? 'আগুনের পরশমণি' ছায়াছবির পরিচালক কে? গম্ভীরা কোন অঞ্চলের সঙ্গীত?
612.
ট্রানজিট কী? ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ট্রানজিট কী? ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ট্রানজিট বলতে বুঝায় একটি রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী কোন রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে আরেকটি রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ। যেমন: বাংলাদেশের পণ্য যদি ভারতের মধ্য দিয়ে নেপালে সরবরাহ করা হয় তবে সেটা হবে ট্রানজিট বাণিজ্য।
ট্রানজিটের সুবিধাঃ
আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়াঃ আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এগিয়ে গেছে। পৃথিবীর কিছু কিছু দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং সেই সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। কিছু দেশ আছে যারা ভৌগলিক অবস্থানগত বিশেষ সুবিধা ভোগ করে এবং তা ব্যবহার করে তাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাণিজ্যিক লাভঃ ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে প্রতি টনে একটি সার্ভিস চার্জ পাওয়া যায় যা দেশের জন্য একটি বাণিজ্যিক কর হিসেবে আদায়কৃত অর্থ। যার ফলে জাতীয় আয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
পরিবহন খরচ হ্রাসঃ যেসকল দেশ ট্রানজিট সুবিধা গ্রহণ করে তারা তাদের পণ্য কম খরচে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবহন করতে পারে। ফলে অন্যদেশ সে সকল পণ্য কমদামে ক্রয় করতে পারে।
ট্রানজিটের অসুবিধাঃ
অবকাঠামোগত ক্ষতিঃ ট্রানজিটের ফলে এক দেশ অন্য দেশের পরিবহন ব্যবস্থাগ্রহণ করে ফলে ট্রানজিট দাতা দেশের পরিবহন খাতের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়। এছাড়াও ট্রানজিট প্রদান করার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হয় যার জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।
613.
পার্বত্য শান্তি চুক্তির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করুন ৷
পার্বত্য শান্তি চুক্তির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করুন ৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, ১৯৯৭ বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সামরিক জান্তাদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিষিদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছিল। দুই দশক স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চাকা বন্ধ ছিল। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পার্বত্য এলাকা তার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পায়, সমসাময়িককালে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সফল রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি আমাদের দেশের জন্য এক বিরল অর্জন হিসেবে গণ্য হয়। চুক্তির পরে পুরো পার্বত্যাঞ্চল জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকাশ যথেষ্ট বেগবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন বা ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নসমূহ পার্বত্য এলাকায় সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছে। সরকারের আন্তরিক প্রয়াসের কারণে তিন পার্বত্য জেলার উপজাতি-অ-উপজাতিদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করে যাচ্ছে উপজাতি জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে। এতে করে বাঙালি জনগোষ্ঠীর তুলনায় উপজাতি জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে অনেক বেশি ।
614.
স্মার্ট বাংলাদেশ কী? স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হলে দেশের কী পরিবর্তন হবে?
স্মার্ট বাংলাদেশ কী? স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হলে দেশের কী পরিবর্তন হবে?
615.
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কী কী জ্বালানী ব্যবহার করা হয় এবং এগুলোর উৎস কী?
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কী কী জ্বালানী ব্যবহার করা হয় এবং এগুলোর উৎস কী?
616.
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের অবদান আলোচনা করুন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের অবদান আলোচনা করুন।