'নদী শাসন' বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

                                                                                                                     ‘‘নদী শাসন’’

নদীকে তার নিজ নিজ গতিতে চলতে না দিয়ে আমাদের সুবিধা মত নদীর গতিকে নিয়ন্ত্রনকে নদী শাসন করেন। জমিতে চাষ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এটি করা হয়ে থাকে। এর সুফল এবং কুফল দুটি দিকই বিদ্যমান। নদী শাসন ও নগরায়নকে এক সূত্রে বাঁধতে চলেছে সরকার। এ ব্যাপারে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তুতি চলছে। মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে বড় বড় নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ভরাট করে সেখানে নৌবন্দর, নগর, শিল্প ও বাণিজ্য এবং পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশের বেশ কিছু নদী অস্বাভাবিক রকম প্রশস্ত। সে তুলনায় নদীর গভীরতা কম।। কারনে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মতো বিশাল নদীতেও নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এসব নদীর কোথাও কোথাও প্রশস্ততা ২০ - ২২ কিলোমিটার হলেও গভীরতা ৮-৯ ফুট। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নৌপথে পণ্য পরি খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও নাব্যতা না থাকায় নৌ পরিবহনের আওতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ সমস্যার সমাধানে বড় নদীগুলোর তীর ভরাট করে নগরায়ন ও শিল্পায়নের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি নদীগুলোর গভীরতা বৃদ্ধির কথা ভাবা হচ্ছে। নাম প্রশস্ততা কমিয়ে নদীর গভীরতা বাড়ালে নাব্যতা ধরে রাখা যেমন সম্ভব হবে তেমন শিল্পায়ন ও নগরায়নের জন্য প্রয়োজন জমি পাওয়াও সহজলভ্য হবে। নদীর পাড় টেকসইভাবে বাঁধানো এবং নদীকে দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হলে এ মহাপরিকল্প দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নদী শাসন সম্ভব হলে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে অনেকাংশে যেন রক্ষা পাওয়া যাবে তেমন নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। নদী শাসনের ফলে নগরায়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে সকলেরই মঙ্গল সম্ভব।

1 year ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion