সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর || হিসাব সহকারী/অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (28-02-2025) || 2025

All Written Question

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের ১০টি কার্যকর উপায়

ঢাকা শহরের অন্যতম বড় সমস্যা হলো যানজট। এটি নাগরিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়। যানজট নিরসনে কিছু বাস্তবসম্মত সমাধান গ্রহণ করা যেতে পারে।

১. গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা

  • আধুনিক বাস, মেট্রোরেল ও ট্রেন সার্ভিসের পরিমাণ বাড়ানো
  • নির্দিষ্ট লেনভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করা (BRT - Bus Rapid Transit)
  • গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা এবং নিয়মিত সময়সূচি নিশ্চিত করা

২. মেট্রোরেল ও ট্রেন সেবার বিস্তৃতি

  • মেট্রোরেলের নতুন রুট চালু করা
  • শহরতলির সঙ্গে রেল যোগাযোগ উন্নত করা
  • মেট্রোরেল ও বাসের সমন্বিত টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করা

৩. ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণ

  • গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফ্লাইওভার তৈরি করা
  • যানবাহনের সংঘর্ষ এড়াতে আন্ডারপাস স্থাপন
  • রাস্তার ক্রসিং কমিয়ে বিকল্প পথ তৈরি করা

৪. রাস্তার পরিকল্পিত সম্প্রসারণ

  • সংকীর্ণ রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা
  • অবৈধ পার্কিং ও দোকান উচ্ছেদ করে রাস্তার জায়গা ঠিক রাখা
  • বাইপাস ও সংযোগ সড়ক তৈরি করা

৫. ট্রাফিক সিস্টেম আধুনিকায়ন

  • স্মার্ট ট্রাফিক লাইট স্থাপন
  • স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু
  • ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি

৬. ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ

  • নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট নম্বর প্লেটের গাড়ি চলাচল ব্যবস্থা (Odd-Even System)
  • একাধিক যাত্রী নেওয়া বাধ্যতামূলক করা (Carpooling)
  • ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমাতে ট্যাক্স বৃদ্ধি

৭. ফুটপাথ ও সাইকেল লেন তৈরি

  • পথচারীদের জন্য প্রশস্ত ফুটপাথ তৈরি
  • আলাদা সাইকেল লেন চালু করা
  • সাইকেল ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করা

৮. অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচিতে পরিবর্তন

  • সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি আলাদা করা
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে অনলাইন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা
  • বিভিন্ন অফিসের কর্মঘণ্টার ভিন্নতা আনা

৯. অবৈধ পার্কিং ও স্ট্যান্ড বন্ধ করা

  • নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা
  • অবৈধ রিকশা ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড বন্ধ করা
  • ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ

১০. জনসচেতনতা বৃদ্ধি

  • ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রতি উৎসাহিত করা
  • গণপরিবহনে ভদ্রতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা
  • সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচার কার্যক্রম চালানো

যদি এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটাই কমে আসবে এবং শহরের পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

মূল ভাব:

মানুষের জন্ম কোথায় বা কোন পরিবেশে হবে, তা তার হাতে নেই। কিন্তু তার কর্ম কেমন হবে, তা সম্পূর্ণ তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতপক্ষে, মানুষের সত্যিকারের মূল্যায়ন তার জন্ম দিয়ে নয়, বরং তার কর্মের গুণাবলি ও সমাজের প্রতি তার অবদানের ভিত্তিতে করা হয়।

ভাব-সম্প্রসারণ:

অনেকেই জন্মসূত্রে অভিজাত পরিবারের সদস্য হলেও জীবনে কোনো মহান কীর্তি স্থাপন করতে পারেন না। আবার কেউ কেউ খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে বিশাল সাফল্য অর্জন করেন। ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক মহান ব্যক্তি দরিদ্র বা নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। অন্যদিকে, ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও অনেকে দুঃশাসন, অনৈতিকতা ও দুর্নীতির কারণে ঘৃণিত হয়েছেন। তাই জন্মের উচ্চতা দিয়ে নয়, কর্মের মহত্ত্ব দিয়েই মানুষ তার প্রকৃত পরিচয় গড়ে তোলে।

কর্মই মানুষের প্রকৃত পরিচয় বহন করে এবং তার সমাজে অবস্থান নির্ধারণ করে। যে ব্যক্তি সৎ, পরিশ্রমী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত, সে-ই সমাজের চোখে সম্মানিত হয়। মানুষের উচিত তার কর্মকে মহৎ ও আদর্শবান করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।

উপসংহার:

জন্মের পরিচয় ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মহৎ কর্ম চিরস্থায়ী। তাই মানুষের উচিত তার জন্মপরিচয় নিয়ে অহংকার না করে সৎ ও মহৎ কর্মের মাধ্যমে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করা। প্রকৃত সাফল্য আসে ভালো কাজের মাধ্যমে, জন্ম দিয়ে নয়।

থ মারা = অবাক হওয়া; পরীক্ষার ফলাফল দেখে রফিক এতটাই হতবাক হয়েছিল যে, সে কিছুক্ষণ থ মেরে দাঁড়িয়ে রইল।

প্রিয় বন্ধু রহমান,

আশা করি ভালো আছো। অনেকদিন পর তোমার কাছে চিঠি লিখছি। তোমার সাথে আমার সাম্প্রতিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

সম্প্রতি আমি পরিবারসহ কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়েছিলাম। বিশাল সমুদ্র সৈকত, নীল জলরাশি আর বাতাসের গর্জন মন কেড়ে নেওয়ার মতো ছিল। সকালে সূর্যোদয় ও সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অবিস্মরণীয়। আমরা ইনানি ও হিমছড়ি পাহাড়েও গিয়েছিলাম। পাহাড় থেকে সমুদ্রের দৃশ্য দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম।

এছাড়া, সমুদ্রের ধারে হাঁটতে হাঁটতে ঝিনুক ও নানান ধরনের সামুদ্রিক সামগ্রী সংগ্রহ করেছি। এখানকার সুস্বাদু সি-ফুডও বেশ উপভোগ করেছি। ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আনন্দময়।

তুমি কেমন আছো জানিও। তোমারও সুযোগ পেলে কক্সবাজার ঘুরে আসা উচিত। পরবর্তী দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

ইতি,
তোমার বন্ধু
[তোমার নাম]