পরিবেশ দূশণ
মানুষের কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে পরিবেশের উপাদানে অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন হলো পরিবেশ দূষণ। পরিবেশ দূষণ ৪ প্রকার। যথা- পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্ত দূষণ। প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো মানুষ।
বায়ুদূষণ: গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় বিষাক্ত কার্বন মরনাক্সাইড গ্যাস থাকে। কার্বন মনোক্সাইড হিমোগ্লোবিনের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা খর্ব করে। ডিজেল পোড়ালে বাতাসে আসে সালফার-ডাই-অক্সাইড (SO2) গ্যাস। কলকারখানা অথবা যানবাহন হতে নির্গত কার্বন মনো-অক্সাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইড মূল ত বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। যান্ত্রিক পরিবহন ও শিল্পকারখানার দূষণ থেকে SMOG এর সৃষ্টি হয়। SMOG হচ্ছে এক ধরণের দূষিত বায়ু। স্মোগ (SMOG) শব্দটি এসেছে SMOKE + FOG হতে।
শব্দ দূষণ: শব্দ ১-৬০ ডেসিবল পর্যন্ত সহনীয়, ৬০-১০০ ডেসিবল পর্যন্ত বিরক্তিকর এবং ১০০-১৬০ ডেসিবল পর্যন্ত শ্রবণশক্তির জন্য ক্ষতিকর। শব্দ যদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রা (৮০ ডেসিবল) ছাড়িয়ে যায় তখন তা দূষণের পর্যায়ে চলে আসে। শব্দ দূষণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, নিদ্রাহীনতা এবং চরম অবস্থায় মানসিক বৈকল্যের সুষ্টি হতে পারে। ১০৫ ডিবি এর বেশি মাত্রার শব্দ দূষণ হলে মানুষ বধির হয়ে যেতে পারে।
পানি দূষন: কচুরিপানা (Water hyacinth) পানি দূষণ কমাতে সহায়তা করে।