কো খাদ্যে পচন ধরে না?

Created: 6 years ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

খাদ্য সংরক্ষণ (Food Preservation)

খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে উচ্চতাপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- মুডি খই, আমসত্ত্ব ইত্যাদি। আবার খাদ্যদ্রব্য উচ্চতাপে জীবাণু ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- মাছ, মাংস, সবজি, ফল, টিনজাত গুড়াদুধ ইত্যাদি। শুকানোর মাধ্যমে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায় কারণ পচনশীল জীবাণু পানি ছাড়া বাঁচে না। ধান বা চাল, গম, ডাল ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু মাংস, মাছ, তরকারি, ফল ইত্যাদিতে পানি বেশি থাকায় শুধু রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায় না। তাই এগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। বরফ জমানো ঠাণ্ডায় খাদ্যে জীবাণু জন্মায় না। মাছ, মাংস, মটরশুঁটি, গাজর, টমেটো, তেঁড়স ইত্যাদি এভাবে পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফ্রিজের ঠাণ্ডায় সবজি, ফল ও বীজ বেশ কিছুদিন ভালো থাকে। লবণ, চিনি, সিরকা ও তেলের মধ্যে পচনকারী জীবাণু জন্মাতে পারে না। তাই এসবের মাধ্যমে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- নোনা ইলিশ, মাছ, জলপাই, বড়ই, মটরশুঁটি ইত্যাদি।

 

Content added By
Promotion