Computer terminals usually have

Created: 6 years ago | Updated: 9 months ago
Updated: 9 months ago

কম্পিউটার সংগঠন বলতে কেবল হার্ডওয়্যারের সংগঠনকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ কম্পিউটার সংগঠন হচ্ছে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের বিন্যাস বা গঠন। কম্পিউটারের কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ বিচ্ছিন্নভাবে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। কম্পিউটারের সাহায্যে কাজ করার জন্য তাই প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজন হয়। নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার সংগঠন বলে।

আধুনিক কম্পিউটারের প্রধান সাংগঠনিক অংশগুলো হলো:
১. ইনপুট ইউনিট।
২. অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ (ALU)।
৩. কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ।
৪. মেমোরি।
৫. আউটপুট ইউনিট।

১. ইনপুট ইউনিট : ইনপুট দিয়ে কম্পিউটারকে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজের নির্দিষ্ট নির্দেশ পালনের উপযোগী প্রয়োজনীয় ডাটা দেয়া হয়। এ ইউনিট বিশেষ মাধ্যম থেকে ডাটা ও প্রোগ্রাম গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তর করে কম্পিউটারের মেমোরিতে পাঠায়। কিছু ইনপুট যন্ত্র হলো:
ক. কীবোর্ড;
খ. মাউস;
গ. জয়স্টিক;
ঘ. স্ক্যানার;
ঙ. ডিস্ক;
চ. ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

২. সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) : কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ যা কম্পিউটারের মস্তিষ্কস্বরূপ। সিপিইউ যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, হিসাব নিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। সিপিইউ এর মধ্যে তিনটি প্রধান ইউনিট থাকে। যেমন:
ক. অ্যারিথমেটিক Logic/লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ;
খ. কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ; ও
গ. মেমোরি বা স্মৃতি ভান্ডার।

৩. আউটপুট ইউনিট : আউটপুট ইউনিট প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাওয়া ফলাফল মানুষের অনুধাবনযোগ্যরূপে তুলে ধরে। কিছু আউটপুট যন্ত্রপাতি হলো:
ক. মনিটর;
খ. স্পিকার;
গ. প্রিন্টার;
ঘ. প্লটার ইত্যাদি।

Content added || updated By
Promotion