নিচের কোন প্রোগ্রামটি কম্পিউটারে সি-ড্রাইভে থাকে?

Created: 6 years ago | Updated: 6 months ago
Updated: 6 months ago

কম্পিউটার একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুতভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল
১. এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
২. অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে।

কম্পিউটারের বাংলা অর্থ হল গণকযন্ত্র ।  কম্পিউটারের ভাষা/ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ। 

কম্পিউটার এর সংজ্ঞা ঃ
‘‘কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যায্যে উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।’’
কম্পিউটারের উৎপত্তি:
১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড উইলহেম লিবনিজ চাকা ও দন্ড দিয়ে পৌনঃপনিক যোগ করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন। এরপর স্যার স্যামুয়েল মরল্যান্ড ১৭৮৬ সালে একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ১৮৮২ সালে চার্লস ব্যাবেজ যে যন্ত্রটি তৈরি করেন তাকেই আজকের দিনের কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। চার্লস ব্যাবেজের পরেই ১৯৪০ সালে মার্ক-১ বাজারে আসে। এটি একটি মেক্যানিকাল যন্ত্র ছিল। ১৯৫১ সালে উইনিভ্যাক নামে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে।
১৯৭১ সালে বাজারে আসে মাইক্রোপ্রসেসর। আবার ১৯৭৪ সালে বাজারে আসে ৮০৮০ প্রসেসর আর এই মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটার সারা দুনিয়ায় কম্পিউটার বিপ্লবের সূচনা করে। কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ধারণাকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।
প্রাথমিক ও মেকানিক্যাল যুগের এবং ইলেক্ট্রনিক যুগের প্রথম কম্পিউটার গুলোকে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়। ট্রানজিস্টের আবিস্কার হওয়ার পর ষাটের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত যেসব তৈরি হয়েছে সেগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার হল ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭১ সালে আবিস্কৃত মাইক্রোপ্রসেসরের সাহায্যে প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার গুলোর পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুত কম্পিউটার সমূহ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সাম্প্রতিক কম্পিউটার সমুহকে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হত। আবার সাম্প্রতিক কালে অতি উন্নত ও ব্যাপক ক্ষমতাবান মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে অত্যাধুনিক যেসব কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটার এর বিকাশ শুরু হয় ষাটের দশেকের প্রথম থেকেই। ঐ সময় থেকেই ইউরোপ-আমেরিকায়ও কম্পিউটারের ব্যবহার ও প্রসার লাভ করতে থাকে। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকায়। তখন পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের।কম্পিউটারের জঅগ ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৬৪ কিলোবাইট করা হয়। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারে ইনপুট দিতে হতো পাঞ্চকান্ডের সাহায্যে এবং আউটপুট পাওয়া যেত পাঞ্চকার্ডে। ১৯৮২-৮৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের আইবিএম ৪৩৪১ মেইনফ্রেম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে স্থাপন করা হয়।

Content added by
Promotion