রোহিঙ্গা সমস্যা এবং বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের সামরিক অভিযান, নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও পোড়ামাটি নীতির মতো করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষ এখন বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। জীবনরক্ষার তাগিদে। পালিয়ে আসা এসব মানুষের নিরাপত্তা, খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রশ্নটিই এখন আর বিবেচেনার বিষয়। আশ্রয় শিবিরে খাদ্যভাবের আশঙ্কা এবং শরণার্থীদের যথাযথভাবে তালিকাভুক্তির অনুপস্থিতি একাদিক্রমে আশু ও দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। শুরুতে দ্বিধান্বিত বাংলাদেশ সরকারের অপরিকল্পিত পদক্ষেপ শরণার্থী পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্বের অনেক দেশে এই দিনকে 'ত। চিহ্নিত করে সেনাবাহিনী ও সরকারের অবস্থানে স "নিরাপত্তা' দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সব শরণার্থী জীবন বেছে নে বোঝার জন্য কাণ্ডজ্ঞানই যবেই। তদুপরি মিয়ানমার সরকারের সমতলে তত্ত্ববধাে সাংবাদিক রাখাইন সফরের সুযোগ পেয়েছেন, মিয়ানমার থেকে তাদের পাঠানো প্রতিবেদনেই দেখা উপস্থিতিতেই বেসামরিক ব্যক্তিরা ঘতবাড়ি ভুলিয়ে দিচ্ছে (জোনাথান হেডের প্রতিবেদন, "বিবিসি রিপোর্টার ইন নির অমুসলিম ভিলেজ ইন ওয়াজ বার্নিং', ডিবিসি, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। মিয়ানমার সরকার এসব আসে ভাষার 'অগ্নি'দের ওপরই কেবল চাপাচ্ছে না তা নয়, একই সঙ্গে শরণার্থীদের ভবিষ্যতে দেশে ফেরার পর কিছু শর্ত আরোপ করতেও শুরু করেছে।
ভূরাজনৈতিক স্বার্থ, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিবেচনা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ক্ষমতা বিস্তারের কূটকৌশলের হিস থেকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। চীন, রাশিয়া, ভারতের অবস্থান "বন্ধু" মিয়ানমারা সরকারের পক্ষে এবং বর্তমান মানবিক সংকটের জন্য তারা ২৫শে আগস্টের 'চরমপন্থী সহিংসতাকের করেছে। তাদের বক্তব্য এই ধারণাই দেয় যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবকিছু ২৪শে আগস্ট কিংবা গত বছরের অক্টোবরের আগে ছিল শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক। তাদের এই অবস্থান অবশ্যই নতুন নয়, কেননা, চীন ও রাশিয়া বরাবর মিয়ানমার সরকারকের এ ধরনের নীতি ও আচরণের পক্ষে মরিনা অবস্থান নিয়েছে। চীন হচ্ছে মিয়ানমারের সবচেয়ে পরি বন্ধু, তাদের ঘনিষ্ঠতায় ইতিহাসও অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের। ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কের উষ্ণতা সাম্প্রতিক তার কারণ বোমা, গ্রহণযোগ্য না হলেও। চীনের প্রভাববলয়কে সংকুচিত করা, সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, যার সৃষ্টিকার প্রমাণ হচ্ছে এ বছরেই মিয়ানমারের কাছে এর নিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি, প্রাণিরা সম্প্রসারণ, ভারতের দক্ষিণ-পূ অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমনে নিয়ানমারের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা এর সব কারণ না হলেও কিছু কারণ। এর বিপরী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর অবস্থান। তারা আগাগোড়াই জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের অধিকারের কথা বলে এখন তীব্রভাবে মিয়ানমারের সমালোচনা করছে: যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আপাতদৃষ্টিতে কঠোর বলে মনে হলে তার কার্যকারি ও আন্তরিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ।
রআইনির প্রধান হিসেবে রণী নিয়েছে, যদিও মানবাধিকার প্রশ্নে তুরস্কের ভূমিকা কোনো অবস্থাে অনুসরণীয় না, তবু তুরস্কের সক্রিয়তা আন্তর্জাতিক সমাজের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেটা অনস্বীকার্য। বাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষত জাতিসং নিরাপত্তা পরিষদ যে খুব কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে, এমন আশা করছে কারণ নেই। অতীতে চীন ও রাশিয়া একত্রেই মিয়ানমারের পক্ষে তাদের ভেটো প্রয়োগ করেছে। পারস্য উপসাগরে দেশগুলো বা সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগ আশা করার কারণ নেই, যদিও রোহিঙ্গাদের মুসলিম পরিচিতির কারণে অনেকেই এগিয়ে আসার দাবি করছে।