তারিখঃ ০৫.০৫.২০১৮
বরাবর, ব্যবস্থাপক বাংলাদেশ ব্যাংক
মতিঝিল, ঢাকা-১২০০
বিষয়ঃ এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে প্রতিবেদন।
সূত্র/ স্মারক নং ঃ ০৫/০৫/২০১৮ হতে ০৮/০৫/২০১৮ পর্যন্ত সময়কালে পরিদর্শন করা হয়েছে।
জনাব,
বিনীতি নিবেদন এই যে, আমি আপনার আদেশক্রমে স্মারক নং ০৫/০৫/২০১৮ হতে ০৮/০৫/২০১৮ তরিখ অনুসারে এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে প্রতিবেদন উল্লেখ করছি।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এজেন্ট ব্যাংকিং
এজেন্ট ব্যাংকিং মূলত সীমিত আর্থিক সেবা সম্বলিত একটি ব্যাংক সেবা যা চালু হবার ২ বছর পর থেকেই ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং হতে মুনাফা অর্জন শুরু করেছে। বিকল্প আর্থিক সেবা হিসেবে এই এজেন্ট ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলছে । অল্পসুদে টাকা রাখার জন্য ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিতে পারছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৩ সালে এই সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করলেও এর পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালে ।
আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত এবং যাদের কোনো ব্যাংক হিসাব নেই, তাদেরকে এই আর্থিক অন্তর্ভূক্তির সাথে যুক্ত করাই এই এজেন্ট ব্যাংকিং এর লক্ষ্য। এখন এই এজেন্ট ব্যাংকিং অল্প খরচে আমানত সংগ্রহের একটি উত্তম পন্থায় পরিণত হয়েছে। এতে . আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর খরচ প্রায় ১ থেকে ১.৫ শতাংশ হারে কম হয়। বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেল হিসেবে এই এজেন্ট ব্যাংকিং অদূর ভবিষ্যতে এর প্রবৃদ্ধি অনেক বাড়বে কেননা গ্রামাঞ্চলের মানুষ অল্প খরচে আমানত রাখার জন্য এর চেয়ে সহজ কোনো পথ পেয়ে থাকে না। তারা অল্প খরচে হাতের কাছেই বিকল্প কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা অন্বেষণণ করে যার পুরোটাই রয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ।
বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক এই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার সুবিধা মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌছে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো হলো ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোসাল ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, NRB কমার্শিয়াল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ২০১৬ এর অক্টোবর-ডিসেম্বরে বিদেশ থেকে এই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৩০৯.৫৬ কোটি টাকা যা ২০১৭ সালের জানুয়ারি-মার্চে এসে দাঁড়ায় ৫৭২.৪৭ কোটি টাকা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এজেন্টের সংখ্যা ছিল ২,৬০১ জন যা ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দাঁড়ায় ৩,০২৩ জন।
মতামতঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভূক্ত প্রত্যেকটি ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর জন্য আইন করতে হবে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে যেকোনো ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং এর শাখা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ব্যাংকিং চ্যানেলে সাধারণ মানুষে অংশগ্রহণ বাড়বে।
প্রতিবেদকের স্বাক্ষরঃ | প্রতিবেদনের বিষয়ঃ এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে প্রতিবেদন। প্রতিবেদকের নামঃ আনিসুর রহমান খান |