অ্যান্ড্রয়েড হলো একটি ওপেন-সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা Google দ্বারা উন্নত এবং পরিচালিত। এটি মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবে বর্তমানে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন স্মার্টওয়াচ, টেলিভিশন, গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, এবং অন্যান্য ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়। Android অপারেটিং সিস্টেমটি Linux kernel এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এতে একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) রয়েছে।
Android হলো একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা Google দ্বারা পরিচালিত এবং উন্নয়নশীল। এটি মূলত মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি, তবে ট্যাবলেট, টিভি, স্মার্টওয়াচ এবং আরও বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। Android অপারেটিং সিস্টেমটি Linux kernel এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি Java, Kotlin, C++ ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সমর্থন করে।
Android বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং এর জন্য লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করে। Google Play Store-এর মাধ্যমে Android অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায়।
ওপেন সোর্স: Android একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা Google এর Android Open Source Project (AOSP) এর অধীনে পরিচালিত হয়। যে কেউ এটি কাস্টমাইজ করতে পারে।
Linux Kernel: Android এর ভিত্তি হলো Linux kernel, যা এটি শক্তিশালী এবং নিরাপদ করে তুলেছে।
বহুমুখী ডিভাইস সাপোর্ট: Android শুধুমাত্র স্মার্টফোন নয়, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, টিভি, এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসেও ব্যবহৃত হয়।
অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম: Android এর জন্য লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন Google Play Store-এ পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করে।
ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিং: Android ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে, যা বিভিন্ন কাজ একসাথে সম্পন্ন করার জন্য উপযোগী।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট টুলস: Android এর জন্য ডেভেলপমেন্ট টুল যেমন Android Studio, Kotlin, Java ব্যবহার করা হয়।
Android ডেভেলপমেন্ট হলো Android অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত Android Studio নামক একটি Integrated Development Environment (IDE) ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়, যেখানে Java, Kotlin বা C++ প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড লেখা হয়।
Java বা Kotlin: Android ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা Java বা Kotlin শিখতে হবে। Kotlin বর্তমানে Android এর জন্য অফিসিয়াল প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
XML: Android এর UI (User Interface) তৈরির জন্য XML ব্যবহার করা হয়। অ্যাপ্লিকেশনের লেআউট এবং বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল উপাদান তৈরির জন্য XML জানা প্রয়োজন।
Android SDK (Software Development Kit): Android SDK হলো একটি সেট টুল যা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং চালানোর জন্য প্রয়োজন হয়। Android SDK এর মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি, টুল এবং API রয়েছে।
Android Studio: এটি একটি পূর্ণাঙ্গ IDE যা Android অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কোড লেখার, ডিবাগিং, এবং এমুলেটর ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন টেস্ট করার সুযোগ দেয়।
Firebase বা Backend সেবা: বেশিরভাগ Android অ্যাপ্লিকেশনে Firebase বা অন্যান্য ব্যাকএন্ড সেবা ব্যবহৃত হয়, যা ডেটা ম্যানেজমেন্ট, নোটিফিকেশন এবং ইউজার অথেন্টিকেশন প্রদান করে।
Android অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শুরু করার জন্য প্রথমে Android Studio ইনস্টল করতে হবে, যা একটি অফিসিয়াল IDE।
Android Studio এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে Android Studio ডাউনলোড করুন।
.exe
ফাইল বা .dmg
ফাইল চালু করে ইনস্টলেশন শুরু করুন।Android Studio ব্যবহার করে একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
Android অ্যাপ্লিকেশনের UI ডিজাইন করতে XML ব্যবহার করা হয়। res/layout/activity_main.xml ফাইলটি খুলুন এবং সেখানে আপনার UI উপাদানগুলো যোগ করুন।
উদাহরণস্বরূপ, একটি Button যোগ করতে:
XML এ UI তৈরি করার পরে, আপনাকে Java বা Kotlin কোডে কার্যকারিতা যোগ করতে হবে। MainActivity.java ফাইলে যান এবং সেখানে কোড লিখুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি বোতাম ক্লিক করলে কিছু টেক্সট পরিবর্তন করতে চান:
Button button = findViewById(R.id.button);
button.setOnClickListener(new View.OnClickListener() {
@Override
public void onClick(View v) {
button.setText("Clicked!");
}
});
Activity: Android এর একটি প্রধান উপাদান হলো Activity, যা একটি অ্যাপ্লিকেশনের UI প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনে একাধিক Activity থাকতে পারে, প্রতিটি Activity এর নিজস্ব UI থাকে।
Intent: Intent হলো Android এ বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। এটি সাধারণত একটি Activity থেকে অন্য Activity তে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Fragments: Fragments হলো UI এর ছোট ছোট অংশ, যা একটি Activity এর অংশ হতে পারে। এটি বড় UI কম্পোনেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
Services: Service হলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান কম্পোনেন্ট, যা ব্যবহারকারীর ইন্টারঅ্যাকশনের প্রয়োজন ছাড়াই কাজ সম্পন্ন করে।
Broadcast Receivers: এটি Android সিস্টেম বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে বার্তা গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে।
Content Providers: Content Providers ডেটা শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে ডেটা বিনিময় করতে সক্ষম করে।
আপনার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সম্পন্ন হলে, আপনি এটি Google Play Store এ প্রকাশ করতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
Android এর তুলনা অন্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেমন iOS (Apple এর তৈরি), Windows Phone (Microsoft এর তৈরি), এবং BlackBerry OS এর সাথে করলে, বিভিন্ন দিক থেকে পার্থক্য এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে ওঠে। এখানে Android এবং অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তুলনামূলক আলোচনা করা হলো:
iOS হলো Apple-এর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা iPhone, iPad, এবং iPod Touch ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। Android এবং iOS উভয়ই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, তবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিষয় | Android | iOS |
---|---|---|
ডিভাইসের বৈচিত্র্য | Android বিভিন্ন নির্মাতার (Samsung, Huawei, Xiaomi, etc.) বিভিন্ন মডেলের ডিভাইসে চালানো যায়। | iOS শুধুমাত্র Apple-এর ডিভাইসগুলোতে (iPhone, iPad) ব্যবহৃত হয়। |
ওপেন সোর্স | Android ওপেন সোর্স (AOSP), যা কেউ পরিবর্তন এবং কাস্টমাইজ করতে পারে। | iOS একটি সম্পূর্ণ ক্লোজড-সোর্স প্ল্যাটফর্ম এবং শুধুমাত্র Apple দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। |
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ভাষা | Android এর জন্য Java, Kotlin, C++ ব্যবহার করা হয়। | iOS এর জন্য Swift এবং Objective-C ব্যবহার করা হয়। |
অ্যাপ স্টোর | Android এর Google Play Store ছাড়াও অনেক থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোর সমর্থন করে। | iOS শুধুমাত্র Apple App Store সমর্থন করে এবং অন্যান্য অ্যাপ স্টোর ব্যবহারের সুযোগ নেই। |
কাস্টমাইজেশন | Android ব্যবহারকারীদের হোম স্ক্রিন, থিম, এবং সিস্টেম সেটিংস অনেক বেশি কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। | iOS-এর কাস্টমাইজেশন সীমিত। হোম স্ক্রিন এবং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনগুলো অনেকটাই স্থির। |
নিরাপত্তা | Android ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে কিছুটা নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, তবে Google নিয়মিত নিরাপত্তা আপডেট দিয়ে ঝুঁকি হ্রাস করে। | iOS-এ নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং সাধারণত বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। |
Android হল একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম এবং বহুমুখী ডিভাইসে কাজ করে, যেখানে iOS সম্পূর্ণ Apple কন্ট্রোলড এবং সুনির্দিষ্ট ডিভাইসের জন্য।
iOS সাধারণত নিরাপত্তা এবং পারফরম্যান্সে উন্নত, তবে Android কাস্টমাইজেশন এবং ডিভাইসের বৈচিত্র্যে এগিয়ে।
Windows Phone হলো Microsoft এর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা এখন আর সমর্থন পায় না। তবে একসময় এটি iOS এবং Android এর সাথে প্রতিযোগিতায় ছিল।
বিষয় | Android | Windows Phone |
---|---|---|
ডিভাইস সাপোর্ট | Android বিভিন্ন নির্মাতার ডিভাইস সমর্থন করে। | Windows Phone শুধুমাত্র Microsoft এবং কিছু নির্দিষ্ট নির্মাতার ডিভাইসে সীমাবদ্ধ ছিল। |
অ্যাপ্লিকেশন স্টোর | Android এর জন্য Google Play Store প্রধান অ্যাপ স্টোর। | Windows Phone এর জন্য Microsoft Store ব্যবহার করা হতো। |
অ্যাপ্লিকেশন সংখ্যা | Google Play Store-এ লক্ষ লক্ষ অ্যাপ রয়েছে। | Windows Phone Store-এ অ্যাপের সংখ্যা কম ছিল এবং কিছু জনপ্রিয় অ্যাপের অভাব ছিল। |
ডেভেলপমেন্ট ভাষা | Android এর জন্য Java, Kotlin, C++। | Windows Phone-এর জন্য C#, .NET Framework। |
ব্যবহারকারী ইন্টারফেস | Android এর কাস্টমাইজড UI (জেনুইন, কাস্টম স্কিন) রয়েছে। | Windows Phone এর Metro UI খুবই স্বতন্ত্র এবং একক ধরনের ছিল। |
Android এর কাস্টমাইজেশন ক্ষমতা এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেম অনেক বেশি সমৃদ্ধ, যেখানে Windows Phone এর জনপ্রিয়তা কম ছিল এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেমও সীমিত ছিল।
BlackBerry OS ছিল একসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম, বিশেষত ব্যবসায়িক ও কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে। যদিও BlackBerry এখন মূলত Android ডিভাইসে চলে এসেছে, তবে আগে এটি একটি স্বাধীন সিস্টেম ছিল।
বিষয় | Android | BlackBerry OS |
---|---|---|
বাজারে জনপ্রিয়তা | Android বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। | BlackBerry OS ব্যবসায়িক এবং কর্পোরেট সেক্টরে জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের মধ্যে কম প্রচলিত। |
অ্যাপ ইকোসিস্টেম | Android এর জন্য Play Store-এর বিশাল অ্যাপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। | BlackBerry OS-এর জন্য অ্যাপ ইকোসিস্টেম সীমিত ছিল। |
ডিভাইস সাপোর্ট | Android বিভিন্ন নির্মাতার ডিভাইস সমর্থন করে। | BlackBerry OS শুধুমাত্র BlackBerry ডিভাইসগুলোতে সীমিত ছিল। |
কীবোর্ড | Android সাধারণত টাচস্ক্রিনের উপর ভিত্তি করে, তবে ফিজিক্যাল কীবোর্ডের বিকল্পও রয়েছে। | BlackBerry এর ফিজিক্যাল কীবোর্ড খুবই জনপ্রিয় ছিল। |
সিকিউরিটি | Android এর নিরাপত্তা আপডেট এবং এনক্রিপশন রয়েছে। | BlackBerry OS উচ্চতর নিরাপত্তার জন্য বিখ্যাত ছিল, বিশেষত কর্পোরেট এবং ব্যবসায়িক সেক্টরে। |
BlackBerry OS নিরাপত্তা এবং ফিজিক্যাল কীবোর্ডের জন্য জনপ্রিয় ছিল, তবে Android কাস্টমাইজেশন এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেমের জন্য এগিয়ে।
KaiOS হলো একটি নতুন এবং হালকা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা ফিচার ফোন গুলোকে স্মার্টফোনের মতো সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত কম দামের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বিষয় | Android | KaiOS |
---|---|---|
ডিভাইস সাপোর্ট | Android স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টিভি, এবং আরও অনেক স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। | KaiOS সাধারণত কম দামের ফিচার ফোনগুলোতে ব্যবহৃত হয়। |
অ্যাপ ইকোসিস্টেম | Android এর Google Play Store-এ লক্ষ লক্ষ অ্যাপ রয়েছে। | KaiOS এর KaiStore রয়েছে, তবে এর অ্যাপ সংখ্যা সীমিত। |
কাস্টমাইজেশন | Android উচ্চ মাত্রায় কাস্টমাইজেশন সমর্থন করে। | KaiOS এর কাস্টমাইজেশন সীমিত। |
হার্ডওয়্যার | Android শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সমর্থন করে। | KaiOS কম দামের ডিভাইসের জন্য অপ্টিমাইজড। |
Android শক্তিশালী এবং উন্নত হার্ডওয়্যার সহ স্মার্টফোনের জন্য আদর্শ, যেখানে KaiOS হালকা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
Android মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের দুনিয়ায় তার ওপেন সোর্স প্রকৃতি, ব্যবহারকারীর কাস্টমাইজেশন ক্ষমতা, এবং বিশাল অ্যাপ ইকোসিস্টেমের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। অন্যদিকে, iOS একটি ক্লোজড প্ল্যাটফর্ম হলেও নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য বেশি প্রসিদ্ধ। Windows Phone এবং BlackBerry OS এখন প্রায় বিলুপ্ত, তবে তারা একসময় শক্ত প্রতিযোগী ছিল। KaiOS এর মতো হালকা অপারেটিং সিস্টেমগুলো মূলত কম দামের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যান্ড্রয়েড হলো একটি ওপেন-সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা Google দ্বারা উন্নত এবং পরিচালিত। এটি মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবে বর্তমানে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন স্মার্টওয়াচ, টেলিভিশন, গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, এবং অন্যান্য ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়। Android অপারেটিং সিস্টেমটি Linux kernel এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এতে একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) রয়েছে।
Android হলো একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা Google দ্বারা পরিচালিত এবং উন্নয়নশীল। এটি মূলত মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি, তবে ট্যাবলেট, টিভি, স্মার্টওয়াচ এবং আরও বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। Android অপারেটিং সিস্টেমটি Linux kernel এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি Java, Kotlin, C++ ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সমর্থন করে।
Android বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং এর জন্য লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলো ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করে। Google Play Store-এর মাধ্যমে Android অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায়।
ওপেন সোর্স: Android একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা Google এর Android Open Source Project (AOSP) এর অধীনে পরিচালিত হয়। যে কেউ এটি কাস্টমাইজ করতে পারে।
Linux Kernel: Android এর ভিত্তি হলো Linux kernel, যা এটি শক্তিশালী এবং নিরাপদ করে তুলেছে।
বহুমুখী ডিভাইস সাপোর্ট: Android শুধুমাত্র স্মার্টফোন নয়, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, টিভি, এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসেও ব্যবহৃত হয়।
অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম: Android এর জন্য লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন Google Play Store-এ পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করে।
ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিং: Android ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে, যা বিভিন্ন কাজ একসাথে সম্পন্ন করার জন্য উপযোগী।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট টুলস: Android এর জন্য ডেভেলপমেন্ট টুল যেমন Android Studio, Kotlin, Java ব্যবহার করা হয়।
Android ডেভেলপমেন্ট হলো Android অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত Android Studio নামক একটি Integrated Development Environment (IDE) ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়, যেখানে Java, Kotlin বা C++ প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড লেখা হয়।
Java বা Kotlin: Android ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা Java বা Kotlin শিখতে হবে। Kotlin বর্তমানে Android এর জন্য অফিসিয়াল প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
XML: Android এর UI (User Interface) তৈরির জন্য XML ব্যবহার করা হয়। অ্যাপ্লিকেশনের লেআউট এবং বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল উপাদান তৈরির জন্য XML জানা প্রয়োজন।
Android SDK (Software Development Kit): Android SDK হলো একটি সেট টুল যা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং চালানোর জন্য প্রয়োজন হয়। Android SDK এর মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি, টুল এবং API রয়েছে।
Android Studio: এটি একটি পূর্ণাঙ্গ IDE যা Android অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কোড লেখার, ডিবাগিং, এবং এমুলেটর ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন টেস্ট করার সুযোগ দেয়।
Firebase বা Backend সেবা: বেশিরভাগ Android অ্যাপ্লিকেশনে Firebase বা অন্যান্য ব্যাকএন্ড সেবা ব্যবহৃত হয়, যা ডেটা ম্যানেজমেন্ট, নোটিফিকেশন এবং ইউজার অথেন্টিকেশন প্রদান করে।
Android অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শুরু করার জন্য প্রথমে Android Studio ইনস্টল করতে হবে, যা একটি অফিসিয়াল IDE।
Android Studio এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে Android Studio ডাউনলোড করুন।
.exe
ফাইল বা .dmg
ফাইল চালু করে ইনস্টলেশন শুরু করুন।Android Studio ব্যবহার করে একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
Android অ্যাপ্লিকেশনের UI ডিজাইন করতে XML ব্যবহার করা হয়। res/layout/activity_main.xml ফাইলটি খুলুন এবং সেখানে আপনার UI উপাদানগুলো যোগ করুন।
উদাহরণস্বরূপ, একটি Button যোগ করতে:
XML এ UI তৈরি করার পরে, আপনাকে Java বা Kotlin কোডে কার্যকারিতা যোগ করতে হবে। MainActivity.java ফাইলে যান এবং সেখানে কোড লিখুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি বোতাম ক্লিক করলে কিছু টেক্সট পরিবর্তন করতে চান:
Button button = findViewById(R.id.button);
button.setOnClickListener(new View.OnClickListener() {
@Override
public void onClick(View v) {
button.setText("Clicked!");
}
});
Activity: Android এর একটি প্রধান উপাদান হলো Activity, যা একটি অ্যাপ্লিকেশনের UI প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনে একাধিক Activity থাকতে পারে, প্রতিটি Activity এর নিজস্ব UI থাকে।
Intent: Intent হলো Android এ বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। এটি সাধারণত একটি Activity থেকে অন্য Activity তে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Fragments: Fragments হলো UI এর ছোট ছোট অংশ, যা একটি Activity এর অংশ হতে পারে। এটি বড় UI কম্পোনেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
Services: Service হলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান কম্পোনেন্ট, যা ব্যবহারকারীর ইন্টারঅ্যাকশনের প্রয়োজন ছাড়াই কাজ সম্পন্ন করে।
Broadcast Receivers: এটি Android সিস্টেম বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে বার্তা গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে।
Content Providers: Content Providers ডেটা শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে ডেটা বিনিময় করতে সক্ষম করে।
আপনার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সম্পন্ন হলে, আপনি এটি Google Play Store এ প্রকাশ করতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
Android এর তুলনা অন্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেমন iOS (Apple এর তৈরি), Windows Phone (Microsoft এর তৈরি), এবং BlackBerry OS এর সাথে করলে, বিভিন্ন দিক থেকে পার্থক্য এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে ওঠে। এখানে Android এবং অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তুলনামূলক আলোচনা করা হলো:
iOS হলো Apple-এর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা iPhone, iPad, এবং iPod Touch ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। Android এবং iOS উভয়ই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, তবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিষয় | Android | iOS |
---|---|---|
ডিভাইসের বৈচিত্র্য | Android বিভিন্ন নির্মাতার (Samsung, Huawei, Xiaomi, etc.) বিভিন্ন মডেলের ডিভাইসে চালানো যায়। | iOS শুধুমাত্র Apple-এর ডিভাইসগুলোতে (iPhone, iPad) ব্যবহৃত হয়। |
ওপেন সোর্স | Android ওপেন সোর্স (AOSP), যা কেউ পরিবর্তন এবং কাস্টমাইজ করতে পারে। | iOS একটি সম্পূর্ণ ক্লোজড-সোর্স প্ল্যাটফর্ম এবং শুধুমাত্র Apple দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। |
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ভাষা | Android এর জন্য Java, Kotlin, C++ ব্যবহার করা হয়। | iOS এর জন্য Swift এবং Objective-C ব্যবহার করা হয়। |
অ্যাপ স্টোর | Android এর Google Play Store ছাড়াও অনেক থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোর সমর্থন করে। | iOS শুধুমাত্র Apple App Store সমর্থন করে এবং অন্যান্য অ্যাপ স্টোর ব্যবহারের সুযোগ নেই। |
কাস্টমাইজেশন | Android ব্যবহারকারীদের হোম স্ক্রিন, থিম, এবং সিস্টেম সেটিংস অনেক বেশি কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। | iOS-এর কাস্টমাইজেশন সীমিত। হোম স্ক্রিন এবং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনগুলো অনেকটাই স্থির। |
নিরাপত্তা | Android ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে কিছুটা নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, তবে Google নিয়মিত নিরাপত্তা আপডেট দিয়ে ঝুঁকি হ্রাস করে। | iOS-এ নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং সাধারণত বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। |
Android হল একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম এবং বহুমুখী ডিভাইসে কাজ করে, যেখানে iOS সম্পূর্ণ Apple কন্ট্রোলড এবং সুনির্দিষ্ট ডিভাইসের জন্য।
iOS সাধারণত নিরাপত্তা এবং পারফরম্যান্সে উন্নত, তবে Android কাস্টমাইজেশন এবং ডিভাইসের বৈচিত্র্যে এগিয়ে।
Windows Phone হলো Microsoft এর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা এখন আর সমর্থন পায় না। তবে একসময় এটি iOS এবং Android এর সাথে প্রতিযোগিতায় ছিল।
বিষয় | Android | Windows Phone |
---|---|---|
ডিভাইস সাপোর্ট | Android বিভিন্ন নির্মাতার ডিভাইস সমর্থন করে। | Windows Phone শুধুমাত্র Microsoft এবং কিছু নির্দিষ্ট নির্মাতার ডিভাইসে সীমাবদ্ধ ছিল। |
অ্যাপ্লিকেশন স্টোর | Android এর জন্য Google Play Store প্রধান অ্যাপ স্টোর। | Windows Phone এর জন্য Microsoft Store ব্যবহার করা হতো। |
অ্যাপ্লিকেশন সংখ্যা | Google Play Store-এ লক্ষ লক্ষ অ্যাপ রয়েছে। | Windows Phone Store-এ অ্যাপের সংখ্যা কম ছিল এবং কিছু জনপ্রিয় অ্যাপের অভাব ছিল। |
ডেভেলপমেন্ট ভাষা | Android এর জন্য Java, Kotlin, C++। | Windows Phone-এর জন্য C#, .NET Framework। |
ব্যবহারকারী ইন্টারফেস | Android এর কাস্টমাইজড UI (জেনুইন, কাস্টম স্কিন) রয়েছে। | Windows Phone এর Metro UI খুবই স্বতন্ত্র এবং একক ধরনের ছিল। |
Android এর কাস্টমাইজেশন ক্ষমতা এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেম অনেক বেশি সমৃদ্ধ, যেখানে Windows Phone এর জনপ্রিয়তা কম ছিল এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেমও সীমিত ছিল।
BlackBerry OS ছিল একসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম, বিশেষত ব্যবসায়িক ও কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে। যদিও BlackBerry এখন মূলত Android ডিভাইসে চলে এসেছে, তবে আগে এটি একটি স্বাধীন সিস্টেম ছিল।
বিষয় | Android | BlackBerry OS |
---|---|---|
বাজারে জনপ্রিয়তা | Android বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। | BlackBerry OS ব্যবসায়িক এবং কর্পোরেট সেক্টরে জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের মধ্যে কম প্রচলিত। |
অ্যাপ ইকোসিস্টেম | Android এর জন্য Play Store-এর বিশাল অ্যাপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। | BlackBerry OS-এর জন্য অ্যাপ ইকোসিস্টেম সীমিত ছিল। |
ডিভাইস সাপোর্ট | Android বিভিন্ন নির্মাতার ডিভাইস সমর্থন করে। | BlackBerry OS শুধুমাত্র BlackBerry ডিভাইসগুলোতে সীমিত ছিল। |
কীবোর্ড | Android সাধারণত টাচস্ক্রিনের উপর ভিত্তি করে, তবে ফিজিক্যাল কীবোর্ডের বিকল্পও রয়েছে। | BlackBerry এর ফিজিক্যাল কীবোর্ড খুবই জনপ্রিয় ছিল। |
সিকিউরিটি | Android এর নিরাপত্তা আপডেট এবং এনক্রিপশন রয়েছে। | BlackBerry OS উচ্চতর নিরাপত্তার জন্য বিখ্যাত ছিল, বিশেষত কর্পোরেট এবং ব্যবসায়িক সেক্টরে। |
BlackBerry OS নিরাপত্তা এবং ফিজিক্যাল কীবোর্ডের জন্য জনপ্রিয় ছিল, তবে Android কাস্টমাইজেশন এবং অ্যাপ ইকোসিস্টেমের জন্য এগিয়ে।
KaiOS হলো একটি নতুন এবং হালকা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা ফিচার ফোন গুলোকে স্মার্টফোনের মতো সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত কম দামের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বিষয় | Android | KaiOS |
---|---|---|
ডিভাইস সাপোর্ট | Android স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টিভি, এবং আরও অনেক স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। | KaiOS সাধারণত কম দামের ফিচার ফোনগুলোতে ব্যবহৃত হয়। |
অ্যাপ ইকোসিস্টেম | Android এর Google Play Store-এ লক্ষ লক্ষ অ্যাপ রয়েছে। | KaiOS এর KaiStore রয়েছে, তবে এর অ্যাপ সংখ্যা সীমিত। |
কাস্টমাইজেশন | Android উচ্চ মাত্রায় কাস্টমাইজেশন সমর্থন করে। | KaiOS এর কাস্টমাইজেশন সীমিত। |
হার্ডওয়্যার | Android শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সমর্থন করে। | KaiOS কম দামের ডিভাইসের জন্য অপ্টিমাইজড। |
Android শক্তিশালী এবং উন্নত হার্ডওয়্যার সহ স্মার্টফোনের জন্য আদর্শ, যেখানে KaiOS হালকা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
Android মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের দুনিয়ায় তার ওপেন সোর্স প্রকৃতি, ব্যবহারকারীর কাস্টমাইজেশন ক্ষমতা, এবং বিশাল অ্যাপ ইকোসিস্টেমের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। অন্যদিকে, iOS একটি ক্লোজড প্ল্যাটফর্ম হলেও নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য বেশি প্রসিদ্ধ। Windows Phone এবং BlackBerry OS এখন প্রায় বিলুপ্ত, তবে তারা একসময় শক্ত প্রতিযোগী ছিল। KaiOS এর মতো হালকা অপারেটিং সিস্টেমগুলো মূলত কম দামের ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়।