কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ডি-হিউমিডিফায়ার, রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি, ক্লিনিং ও ফ্লাশিং, চোক ও লিকেজ টেস্ট, ভ্যাকুয়াম ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জন করতে পাৱৰ ।
৪.৫.১ Refrigerant Charge of Water Cooler
কার্যপ্রনালী
লিক নেই নিশ্চিত হয়ে ভ্যাকুয়াম করে গ্যাস চার্জ এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্যাস চার্জ ও পার্জিং করার আগে ইউনিটে ২-৩ সি, সি পরিমাপ থাউজেন প্রবেশ করানো উত্তম। থাউজেন এক প্রকার তরল পদার্থ। যা জলীয় কণা শোষণ করে। এখন পার্কিং করার জন্য তৈরী হই। পার্লিং হচ্ছে হোজ পাইপের জমাকৃত বাতাসকে বের করে দেয়া। আর-১৩৪এ বা আর-৬০০ নাম্বারের গ্যাস সিলিন্ডার নেই। হোজ পাইপের এক মাথা সিলিন্ডারের সাথে সংযোগ করি। যাতে হোেজ পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে পারে। এখন সিলিন্ডারের ভাল্ব খুলি এবং উপুড় করে তরল রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে পার্সিং করা শেষ করি। পার্কিং শেষে হোজ পাইপটি ভালভাবে গেজ মিটারে সংযোগ করি। এখন গেজের চাবি খুলি এবং গেঞ্জের দিকে লক্ষ করি। গেজের কাঁটা উপরের দিকে উঠবে। এখন যে প্রেশার দেখাবে তা চার্জিং প্রেশার। রেফ্রিজারেটর এর জন্য চার্জিং প্রেশার ২৫-৩০ (পি.এস.আই) তে রাখতে হবে। চার্জিং প্রেশার যতক্ষণ পর্যন্ত ২৫-৩০ না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত ইউনিটের কম্প্রেসর বন্ধ থাকবে চার্জিং প্রেশার ২৫-৩০ (পি.এস.আই) তে আসলে ইউনিটের কম্প্রেসর অন করি এখন যে প্রেশার দেখাবে তা রানিং প্রেশার। গেজের দিকে লক্ষ্য করি। কাটা নিচে নেমে আসতে থাকবে। কাটা যাতে শূণ্য (০) তে আসতে না পারে সে জন্য ভাল্ব অল্প খুলে দেই। এই রানিং প্রেশার কত হবে তাহা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে রানিং প্রেশার ১-৫ এর মধ্যে রাখি। গেজের ভাল্ব বন্ধ রাখি। থার্মোস্ট্যাট ১ বা ২ এ সেট করি ।
গ্যাস চার্জিং ঠিক আছে বোঝার উপায়গুলো নিম্নরূপ
- ডিসচার্জ লাইন গরম হবে এবং সাকশন লাইনে ঘাম ঘাম ভাব দেখা দিবে
- কন্ডেন্সার পরিপূর্ণ রুপে গরম হবে
- ড্রায়ার হাল্কা কুসুম গরম হবে
- ক্লিপ অন মিটারে অ্যাম্পিয়ার ঠিক দেখাবে (০.৫ - ১.৫ অ্যাম্পিয়ার)
- কিছুক্ষণ চলার পর ইভাপোরেটরে ঠান্ডা আসবে
- ৩-৪ ঘন্টা চালনার পর কম্প্রেসরটি থার্মোস্ট্যাট এর মাধ্যমে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। গেজের কাটা আবার উপরে উঠতে থাকবে এখন যে প্রেশার দেখাবে তাকে বলে ব্যাক প্রেশার বা আইডিয়াল প্রেশার। গেজের কাটা ৬০-৮০ পি.এস.আই পর্যন্ত উঠলে আবার কম্প্রেসরটি অন হয়ে যাবে
- থার্মোমিটারের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে ওয়াটার চেম্বারের পানির তাপমাত্রা ৫°c থেকে ১০°c সেলসিয়াস হবে
গ্যাস চার্জ বেশি হলে বোঝার উপায়
- সাকশন লাইনে বরফ জমবে
- কম্প্রেসর অ্যাম্পিয়ার বেশি নেবে
- এরকম হলে কিছু গ্যাস গেজের ভাল্ব খুলে ছেড়ে দিতে হবে
- এখন চার্জিং লাইন টি পিঞ্চিং টুলস এর সাহায্যে সিল্ড করতে হবে। এবার গেজের ভাল্ব অল্প খুলে দেখি রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবার ও সিল্ড করি। বের হওয়া বন্ধ হলে গ্যাস ওয়েল্ডিং বা সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে ঝালাই করি
নিরাপত্তামূলক বিষয়
- ফিউজ ২ অ্যাম্পিয়ার বা ফ্লেক্সিবল তারের দুটি খেই লাগাতে হবে। ফিউজ না থাকিলে ২.৫ অ্যাম্পিয়ার এর উন্নত মানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করতে হবে
- গ্যাস চার্জিং অবস্থায় বিনা কারণে বার বার চালু ও বন্ধ করা যাবে না
- তরল রেফ্রিজারেন্ট যাতে শরীরের কোথাও কোন স্থানে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
- কম্প্রেসরের গায়ে কাংখিত ভোল্টেজ অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে হবে
ওয়াটার কুলার ওভার হোলিং (Water Cooler Overhauling)
ওভার হোলিং কি
কোন যন্ত্রকে কিছুদিন ব্যবহার করার পর তাকে পূনরায় আগের মতো কার্য্যক্ষম করার জন্য যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় তাকে ওভার হোলিং বলে।
ওয়াটার কুলারের ওভার হোলিং প্রক্রিয়া
নিম্নলিখিত ধাপ অনুযায়ী একটি ওয়াটার কুলার ওভার হোলিং করতে হয়-
- প্রথম সুইচ অফ (Off) করতে হবে
- পানির সরবরাহ লাইনের হ্যান্ড শার্ট অফ ভাল্ব বন্ধ করতে হবে
- সরবরাহ লাইন বিছিন্ন করতে হবে
- পানির ড্রেইন লাইন বিছিন্ন করতে হবে
- নীচের সাইড কভার খুলতে হবে
- ব্লোয়ারের (Blower) সাহায্যে ধুলা-বালি দূর করতে হবে
- কন্ডেন্সার ফিন্স (Condenser Fience) পরিষ্কার করতে হবে
- কন্ডেন্সার ফ্যানের ব্লেড (Blade) পরীক্ষা করতে হবে
- ফ্যানের বিয়ারিং এ গ্রিজ দিতে হবে
- কম্প্রেসরের পাম্পিং দেখতে হবে
- ক্যাপিলারী, ড্রায়ার পরিবর্তন করতে হবে
- রিলে, ওভার লোড, থার্মোষ্ট্যাট পরীক্ষা করতে হবে
- সকল সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে
Read more